নিচের কোনটি 'SMART Bangladesh' এর উপাদান?
A
Smart Democracy
B
Smart Politics
C
Smart Society
D
Smart Parliament
উত্তরের বিবরণ
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হচ্ছে একটি ভবিষ্যতমুখী রূপকল্প, যার লক্ষ্য একটি আধুনিক, দক্ষ ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এটি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর ধারাবাহিক সাফল্যের পরবর্তী ধাপ, যেখানে নাগরিক জীবন থেকে শুরু করে সরকার, অর্থনীতি ও সমাজ—সব কিছুই স্মার্ট পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।
এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রযুক্তিকে মানুষের দৈনন্দিন জীবন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ও প্রশাসনে কার্যকরভাবে সংযুক্ত করে একটি টেকসই ও উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
এই ধারণায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতকে স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে রূপান্তর করা হবে, যাতে সরকারি সেবাগুলো সহজলভ্য, স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী হয়। প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাতেও আধুনিকায়ন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে, ফলে নাগরিকরা পাবেন দ্রুত ও কার্যকর সেবা।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের মধ্যে একটি সমন্বিত ডিজিটাল নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে, যা উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত করবে।
-
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা হবে ২০৪১ সালের মধ্যে।
-
এই কর্মসূচির মূল ভিত্তি চারটি—স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ।
-
স্মার্ট নাগরিক (Smart Citizen) হলো এমন এক জনগোষ্ঠী যারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজের জীবনযাত্রা উন্নত করে, জ্ঞান ও দক্ষতায় এগিয়ে থাকে।
-
স্মার্ট অর্থনীতি (Smart Economy) এমন একটি অর্থনৈতিক কাঠামো যেখানে উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো হয়।
-
স্মার্ট সরকার (Smart Government) মানে এমন প্রশাসন যা প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সেবা প্রদান করে।
-
স্মার্ট সমাজ (Smart Society) হলো এমন একটি সামাজিক ব্যবস্থা যেখানে নাগরিকরা প্রযুক্তি, নীতি ও মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয়ে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, এবং সমাজ হয় অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায্য।
এই সব উপাদান একসাথে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর ভিত্তি তৈরি করে, যেখানে মানুষের কল্যাণ, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং টেকসই উন্নয়ন একসঙ্গে অগ্রসর হবে। সূত্র: এটুআই প্রোগ্রাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও আইসিটি বিভাগ।

0
Updated: 20 hours ago
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত-
Created: 1 week ago
A
গণমাধ্যম
B
সেনাবাহিনী
C
বিচার বিভাগ
D
শিক্ষক সমাজ
সুশাসন ও গণমাধ্যম
-
গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয়।
-
বর্তমান সমাজে সুশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
-
গণমাধ্যম একমাত্র ব্যবস্থা যা সুশাসনের নিয়ামকগুলোকে জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে সুসংহত করতে পারে।
-
শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যমের অনুপস্থিতি সুশাসনের অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
-
গণতান্ত্রিক সমাজে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকা তা প্রতিহত করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 week ago
আধুনিক বিশ্ব কোন মূল্যবোধের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়?
Created: 2 weeks ago
A
আধুনিক মূল্যবোধ
B
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ
C
সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ
D
অর্থনৈতিক মূল্যবোধ
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ হলো সেই নৈতিক ও আচার-আচরণের মানদণ্ড যা একজন ব্যক্তির নিজের রুচি, বিশ্বাস, মনোভাব, ধারণা ও নীতি-নৈতিকতা থেকে উদ্ভূত হয় এবং তার ব্যক্তিগত জীবনকে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত করে। আধুনিক বিশ্বে ব্যক্তিগত মূল্যবোধকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়, কারণ এটি ব্যক্তির স্বাধীনতা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণকে লালন করে।
-
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ একজন ব্যক্তির আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
-
প্রতিটি শিশুই ব্যক্তিগত মূল্যবোধ নিয়ে জন্মায় এবং পরিবার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।
-
ব্যক্তির ব্যক্তিজীবন তার মূল্যবোধের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়।
-
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ ব্যক্তিকে নৈতিকভাবে দৃঢ় এবং সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল করে তোলে।

0
Updated: 2 weeks ago
আধুনিক গণতন্ত্রের জনক কে?
Created: 1 week ago
A
জন মিল
B
জন লক
C
প্লেটো
D
আব্রাহাম লিংকন
গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন, যেখানে সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকে। এটি আধুনিক যুগের সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারী ব্যবস্থা।
জন লক আধুনিক গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী চিন্তাবিদ:
-
ইংরেজ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং আলোকিত যুগের অন্যতম চিন্তাবিদ।
-
জন্ম: ১৬৩২ সালের ২৯ আগস্ট, ব্রিস্টল।
-
জ্ঞানতত্ত্বে (Epistemology) তিনি অভিজ্ঞতাবাদ (Empiricism) প্রয়োগ করেছেন এবং দার্শনিক চিন্তাধারায় মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।
-
রাজনীতি সংক্রান্ত লিখিত গ্রন্থগুলো আধুনিক রাজনৈতিক দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
-
অসংখ্য দার্শনিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদের উপর তার প্রভাব বিস্তৃত।
উল্লেখযোগ্য:
-
গণতন্ত্রের প্রাচীন জনক অ্যারিস্টটল।
-
ক্লিসথেনিসকে বলা হয় ‘এথেনীয় গণতন্ত্রের জনক’।

0
Updated: 1 week ago