বাংলাদেশের 'নব্য-নৈতিকতার' প্রবর্তক হলেন-
A
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
B
জি. সি. দেব
C
আরজ আলী মাতুব্বর
D
আব্দুল মতীন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের যুক্তিবাদী দর্শনের ইতিহাসে আরজ আলী মাতুব্বর একটি অনন্য নাম। তিনি ছিলেন এমন এক চিন্তাবিদ যিনি উচ্চশিক্ষা না থাকা সত্ত্বেও স্বশিক্ষিত মননের মাধ্যমে সমাজে নতুন এক দার্শনিক ধারা সৃষ্টি করেন।তাঁর দর্শনের মূল লক্ষ্য ছিল মানুষকে কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে মুক্ত করা এবং যুক্তি, বিজ্ঞান ও মানবিকতার আলোয় সত্যকে উপলব্ধি করানো।
জীবনের অভিজ্ঞতা ও প্রকৃতির বাস্তবতা থেকে তিনি শিখেছেন এবং সেই শিক্ষা থেকেই নির্মাণ করেছেন নিজের ভাবনাজগৎ, যা পরবর্তীতে পরিচিত হয় ‘নব-নৈতিকতা’ নামে।
তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষের মুক্তি আসবে চিন্তার স্বাধীনতা ও যুক্তিনিষ্ঠ মনোভাব থেকে। তাই জীবনের প্রতিটি প্রশ্নে তিনি খুঁজেছেন যুক্তিসঙ্গত উত্তর, ধর্মীয় অনুশাসন বা সমাজের প্রচলিত ধারণার অন্ধ অনুসরণ নয়।
তাঁর চিন্তাধারা মূলত বস্ত্তবাদী দর্শননির্ভর, যেখানে মানবজীবন, প্রকৃতি, পরিবেশ ও বিশ্বজগতের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ দেখা যায়। আরজ আলী মাতুব্বর কখনো গোঁড়ামির সঙ্গে আপস করেননি; বরং দৃঢ়চিত্তে অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন।
তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে যুক্তি, বাস্তবতা ও মানবতার আহ্বান। সহজ ভাষায় গভীর ভাব প্রকাশ করার ক্ষমতার কারণে সাধারণ মানুষও তাঁর চিন্তাধারার সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করত। জীবনের নানা অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ ও যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণের সমন্বয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন এমন এক দর্শন, যা আজও প্রাসঙ্গিক।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
‘সত্যের সন্ধান’ (১৯৭৩) – এখানে তিনি সত্য ও যুক্তির ভিত্তিতে ধর্ম ও সমাজকে বিশ্লেষণ করেছেন।
-
‘সৃষ্টিরহস্য’ (১৯৭৭) – জগৎ ও জীবনের উৎপত্তি নিয়ে তাঁর দার্শনিক অনুসন্ধান প্রকাশ পেয়েছে।
-
‘অনুমান’ (১৯৮৩) – মানবচিন্তা ও অভিজ্ঞতার ভূমিকা সম্পর্কে তাঁর গভীর উপলব্ধি প্রকাশিত হয়েছে।
-
‘মুক্তমন’ (১৯৮৮) – চিন্তার স্বাধীনতা ও যুক্তিনিষ্ঠ মানবতাবাদের দার্শনিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।
আরজ আলী মাতুব্বরের জীবন ও চিন্তা বাংলাদেশের বৌদ্ধিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়, যেখানে যুক্তি ও মানবতার পথেই তিনি খুঁজেছেন সমাজের সত্যিকারের মুক্তি।

0
Updated: 20 hours ago
সুশাসনের মানদণ্ড কী?
Created: 2 weeks ago
A
শাসকের সম্মতি ও সন্তুষ্টি
B
জনগণের সম্মতি ও সন্তুষ্টি
C
আন্তর্জাতিক সম্মতি ও সন্তুষ্টি
D
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সন্তুষ্টি
সুশাসন (Good Governance)
সুশাসন হলো একটি শাসন ব্যবস্থার নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী পরিচালনা, যার লক্ষ্য হলো জনকল্যাণ ও মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন।
মূল দিকসমূহ:
-
আইনের শাসন: সুশাসনের মূলভিত্তি হলো আইন অনুসরণ ও কার্যকর করা।
-
স্বচ্ছতা: সরকার ও প্রশাসনের কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা সুশাসনের চালিকাশক্তি।
-
জনগণের আস্থা ও সম্মতি: একটি শাসন ব্যবস্থা কতটা সুশাসিত তা পরিমাপ করা হয় জনগণের আস্থা, সম্মতি এবং সন্তুষ্টির মাধ্যমে।
-
কার্যকারিতা: সরকার ও প্রশাসন দক্ষ ও ফলপ্রসূভাবে কাজ করতে সক্ষম হতে হবে।
উপসংহার:
সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের জনগণ স্বচ্ছ, জবাবদিহি এবং ন্যায়নিষ্ঠ শাসনের মাধ্যমে তাদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশ সরকারিভাবে দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন করে কত সাল থেকে?
Created: 1 week ago
A
২০১২ সালে
B
২০১৫ সালে
C
২০১৭ সালে
D
২০০৫ সালে
আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন
জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
-
বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৭ সাল থেকে এ দিবস পালন শুরু করে।
-
যদিও কমিশন প্রতিবার দিবসটি পালন করলেও, আগে সরকারিভাবে দেশে এ দিবস উদযাপিত হতো না।
-
২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর, কমিশন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে একটি পত্র পাঠায় ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে পালনের অনুরোধ জানিয়ে।
-
এর প্রেক্ষিতে সরকার ১৮ জুলাই, ২০১৭ তারিখে ৯ ডিসেম্বরকে সরকারিভাবে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
-
একই সঙ্গে দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণীভুক্ত করা হয়।
-
২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে এ দিবস উদযাপিত হয়।

0
Updated: 1 week ago
’জাতিসংঘ মানবউন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২৫' এর বাংলাদেশের অবস্থান- [ আগস্ট,২০২৫]
Created: 1 week ago
A
১২৫ তম
B
১৩০ তম
C
৮৯ তম
D
১৪০ তম
মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২৫ অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০তম।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মানব উন্নয়ন সূচকে অবস্থান:
-
শ্রীলঙ্কা: ৮৯তম
-
ভারত: ১৩০তম
-
পাকিস্তান: ১৬৮তম
-
নেপাল: ১৪৫তম
-
ভূটান: ১২৫তম

0
Updated: 1 week ago