কোন শ্রেণির ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত?
A
নৈতিকতা-নিরপেক্ষ ক্রিয়া
B
সামাজিক ক্রিয়া
C
ঐচ্ছিক ক্রিয়া
D
ইচ্ছা-নিরপেক্ষ ক্রিয়া
উত্তরের বিবরণ
নীতিবিদ্যা এমন এক শাস্ত্র যা মানুষের আচরণ ও তার নৈতিক মূল্য নির্ধারণ করে। এটি বিচার করে কোন কাজ নৈতিকভাবে সঠিক বা ভুল, এবং মানুষ কীভাবে নৈতিক আদর্শ মেনে চলে।
মানুষের আচরণের মধ্যে নীতিবিদ্যা মূলত সেই কাজগুলো নিয়েই আলোচনা করে, যা ইচ্ছাশক্তি বা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, অর্থাৎ ঐচ্ছিক ক্রিয়া। তাই ঐচ্ছিক ক্রিয়া নীতিবিদ্যার অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয়।
-
নীতিবিদ্যার কাজ হলো মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্য ও আদর্শ নির্ধারণ করা।
-
এখানে “আচরণ” বলতে বোঝায় মানুষের ঐচ্ছিক ক্রিয়া, যা সচেতনভাবে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে সম্পাদিত হয়।
-
অনৈচ্ছিক ক্রিয়া, অর্থাৎ ইচ্ছার বাইরে ঘটে যাওয়া কাজগুলো নীতিবিদ্যার আওতাভুক্ত নয়।
-
নীতিবিদ্যা বিশ্লেষণ করে ঐচ্ছিক ক্রিয়ার স্বরূপ, এর বিভিন্ন ধাপ, উৎস, উদ্দেশ্য এবং অভিপ্রায়।
-
এই আলোচনার মাধ্যমে বোঝা যায় মানুষ কেন কোনো কাজ করে, তার উদ্দেশ্য কতটা নৈতিক, এবং সে কাজ সমাজ ও ব্যক্তির জন্য কতটা কল্যাণকর।
নীতিবিদ্যার আলোচনায় চারটি প্রধান ধারা দেখা যায়, যা নৈতিকতার বিভিন্ন দিককে আলাদা করে ব্যাখ্যা করে।
-
পরানীতিবিদ্যা (Meta-Ethics): এটি নৈতিক ধারণাগুলোর ভিত্তি ও অর্থ বিশ্লেষণ করে। যেমন—“সৎ”, “অসৎ”, “ভালো”, “মন্দ” ইত্যাদি শব্দের প্রকৃত অর্থ কী, তা অনুসন্ধান করা।
-
ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা (Applied Ethics): জীবনের বাস্তব ক্ষেত্র—যেমন চিকিৎসা, রাজনীতি, ব্যবসা বা প্রযুক্তি—এ নৈতিক নীতিগুলোর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে।
-
বর্ণনামূলক নীতিবিদ্যা (Descriptive Ethics): মানুষ কীভাবে বাস্তবে আচরণ করে এবং কোন মূল্যবোধে বিশ্বাস করে, তা বর্ণনা করে।
-
মানমূলক নীতিবিদ্যা (Normative Ethics): মানুষকে কীভাবে আচরণ করা উচিত, কোন কাজ নৈতিকভাবে সঠিক বা ভুল—এই প্রশ্নের উত্তর দেয়।
সব মিলিয়ে, নীতিবিদ্যা মানুষের চিন্তা, ইচ্ছা ও আচরণকে নৈতিকতার মানদণ্ডে বিচার করে এবং সমাজে সুশৃঙ্খল ও মূল্যবোধনির্ভর জীবন গঠনের দিকনির্দেশনা দেয়।

0
Updated: 20 hours ago
কোন মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যাপক ব্যর্থতার ফসল হিসেবে সুশাসনের ধারণার উদ্ভব ঘটে?
Created: 2 weeks ago
A
আফ্রিকা মহাদেশে
B
ইউরোপ মহাদেশে
C
এশিয়া মহাদেশে
D
উত্তর আমেরিকা মহাদেশে
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা এবং এটি কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত। সুশাসন হলো ন্যায়নীতি অনুসারে দেশ বা রাষ্ট্রকে উত্তমভাবে, সুষ্ঠুভাবে ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে শাসন করা। অন্যভাবে বলা যায়, এটি রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজ, সরকার ও শাসিত জনগণ, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্ককে বোঝায়। সুশাসন অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও ন্যায়সংগত ব্যবস্থা যা আইনের শাসনকে নিশ্চিত করে এবং সরকারের উচ্চতর দক্ষতার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
সুশাসনের উদ্ভব: মূলত ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যর্থতার পর ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক সুশাসনের ধারণা উদ্ভব করে।
-
এটি বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন নামে পরিচিত।
-
১৯৮০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বব্যাংক সুশাসনকে উন্নয়নের এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করে।
-
সুশাসন সরকার ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, যা উভয়ের জন্যই লাভজনক হওয়ায় এটিকে একটি ‘Win-Win Game’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

0
Updated: 2 weeks ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য নয় -
Created: 2 weeks ago
A
নিয়মিত কর প্রদান
B
আইন মান্য করা
C
সন্তানদের শিক্ষাদান
D
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
সুশাসন ও নাগরিকের কর্তব্য
সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা:
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের অধিকার ভোগের পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করাও অপরিহার্য। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু সরকার সচেষ্ট হলে হবে না; নাগরিককেও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কর্তব্যবিমুখ জাতি কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় না।
নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্যসমূহ:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন: সমাজ ও কমিউনিটির কল্যাণে অবদান রাখা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা: রাষ্ট্রের কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ।
-
সন্তানদের শিক্ষাদান: ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিক ও শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন: দেশের সংবিধান ও নীতি মেনে চলা।
-
আইন মান্য করা: আইন এবং বিধি-নিষেধ মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন: সততার সঙ্গে ভোট প্রদান ও যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন।
-
নিয়মিত কর প্রদান: রাষ্ট্রের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা।
উল্লেখযোগ্য:
নাগরিকের এই কর্তব্যসমূহের যথাযথ পালনই সুশাসনের মূল ভিত্তি।

0
Updated: 2 weeks ago
মূল্যবোধ পরীক্ষা করে কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
ন্যায় ও অন্যায়
B
ভালো ও মন্দ
C
নৈতিকতা ও অনৈতিকতা
D
উপরের সবগুলো
মূল্যবোধ
সংজ্ঞা:
মূল্যবোধ হলো একটি মানদণ্ড, যার মাধ্যমে কোনো কাজ বা আচরণের ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, নৈতিক-অনৈতিক দিক বিচার করা হয়।
বৈশিষ্ট্য ও ব্যাখ্যা:
-
মূল্যবোধ একটি মানবিক গুণাবলী, যা মানুষের নীতি-নৈতিকতা ও বিবেকের উপর নির্ভরশীল।
-
এটি সামাজিক আচার-ব্যবহার, সংস্কৃতি চর্চা এবং পরিবেশে বসবাসের মাধ্যমে বিকশিত হয়।
-
মূল্যবোধ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিক-অনৈতিক বিচার করতে সহায়তা করে।
-
এটি আপেক্ষিক এবং সম্পর্কের ভিত্তিতে পরিবর্তনশীল হতে পারে।
-
মূল্যবোধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত উপাদানসমূহ:
-
নীতিবোধ
-
শৃঙ্খলা
-
মানবিকতা
-
সহমর্মিতা
-
সৌজন্যবোধ
-
আইনের প্রতি শ্রদ্ধা
-

0
Updated: 2 weeks ago