'Animal Liberation' গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
A
হেগেল
B
কান্ট
C
বেন্থাম
D
পিটার সিঙ্গার
উত্তরের বিবরণ
পিটার সিঙ্গার আধুনিক নৈতিক দর্শনের এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, যিনি প্রাণী অধিকার ও জৈব-নৈতিকতার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন। তাঁর রচিত ‘Animal Liberation’ বইটি মানব ও অমানব প্রাণীর সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার একটি বিপ্লবী প্রচেষ্টা হিসেবে গণ্য হয়।
এই বইয়ে তিনি দেখিয়েছেন, নৈতিকতার আলোচনায় প্রাণীদের কষ্টও বিবেচনার দাবিদার। মানবকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে এসে সকল জীবের কল্যাণে সমান গুরুত্ব দেওয়ার কথা তিনি তুলে ধরেন।
-
পিটার সিঙ্গারের পূর্ণ নাম Peter Albert David Singer, এবং তিনি একজন অস্ট্রেলিয়ান নৈতিক ও রাজনৈতিক দার্শনিক।
-
তিনি জৈব-নৈতিকতা (Bioethics) ও Animal Rights আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত। তাঁর গবেষণায় নৈতিক দর্শনকে বাস্তব জীবনের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত করার প্রয়াস দেখা যায়।
-
সিঙ্গারের ব্যবহারিক নীতিবিদ্যার বৈশিষ্ট্য হলো বাস্তব তথ্যের ব্যবহার, যা তাঁর তত্ত্বগুলোকে জীবনের সঙ্গে সংযুক্ত করে। তিনি মনে করেন, “তথ্য যেখানে থেমে যায়, দর্শন সেখান থেকে শুরু হয়”, অর্থাৎ দর্শন মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতার পরিসরকে বিস্তৃত করে।
-
তাঁর ‘Animal Liberation’ বইটি প্রাণীদের প্রতি মানুষের আচরণ কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণ দেয়। বইটির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ অংশে প্রাণীদের প্রতি নৈতিক দায়বদ্ধতার ব্যবহারিক দিক তুলে ধরা হয়েছে।
-
যদিও তিনি উপযোগবাদ (Utilitarianism) পুরোপুরি অনুসরণ করেন না, তবুও তাঁর দর্শন মানবিক বোধ ও যুক্তির উপর ভিত্তি করে। এই কারণেই বইটি আধুনিক দর্শনে এক অনন্য স্থান দখল করেছে।
-
তিনি বিশ্বাস করেন, নৈতিক দর্শন কেবল চিন্তাগত নয়, বাস্তব জীবনের পরিবর্তনের জন্যও প্রয়োজনীয়।
তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘The Life You Can Save’, ‘The Most Good You Can Do’, ‘Ethics in the Real World’, এবং অবশ্যই ‘Animal Liberation’। এইসব রচনায় সিঙ্গার মানুষের দায়িত্ব, নৈতিক সিদ্ধান্ত ও সামাজিক পরিবর্তনের সম্পর্ক নিয়ে বাস্তবভিত্তিক আলোচনা করেছেন। তাঁর চিন্তা আমাদের শেখায়—নৈতিকতা কেবল মানুষের জন্য নয়, সমস্ত জীবের মঙ্গলের জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য।

0
Updated: 20 hours ago
UNCAC-এর লক্ষ্য কী?
Created: 1 week ago
A
শিক্ষা প্রসার
B
রাষ্ট্রের উন্নয়ন
C
দুর্নীতি প্রতিরোধ
D
কৃষি উন্নয়ন
মেরিডা কনভেনশন (আনুষ্ঠানিক নাম: United Nations Convention Against Corruption – UNCAC) হলো জাতিসংঘের দুর্নীতি বিরোধী একমাত্র বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গৃহীত।
-
লক্ষ্য: দুর্নীতি প্রতিরোধ, অপরাধীকরণ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সম্পদ পুনরুদ্ধার এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান।
-
সাধারণ পরিষদে অনুমোদন: ৩১ অক্টোবর, ২০০৩
-
স্বাক্ষরকাল: ৯–১১ ডিসেম্বর, ২০০৩
-
স্বাক্ষরস্থল: মেরিডা, ইউকাটান, মেক্সিকো
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৫
-
বর্তমান স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৯১টি
-
বাংলাদেশের স্বাক্ষর ও অনুমোদন: ২০০৭ সালে

0
Updated: 1 week ago
জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি -
Created: 2 weeks ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
নৈতিক মূল্যবোধ
C
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
D
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সমাজ ও রাষ্ট্রে এই মূল্যবোধের ধারণা বেশি উন্নত, সেই সমাজ ও রাষ্ট্র তত উন্নত ও প্রগতিশীল হয়।
-
জাতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তি: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ একটি জাতির রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। এর ওপর ভিত্তি করে জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গড়ে ওঠে।
-
জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাতিকে কর্মঠ ও পরিশ্রমী করে এবং দ্রুত উন্নতি অর্জনের পথ সুগম করে।
-
দেশাত্মবোধ জাগ্রত করে: এটি নাগরিকদের মধ্যে নিজের প্রতি ও দেশের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে এবং দেশের মঙ্গলের জন্য কর্তব্য পালন করার মনোভাব জাগ্রত করে।
-
সামাজিক বন্ধন ও জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করে: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রত্যেকের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ববোধ, সহানুভূতি ও সহমর্মিতা তৈরি করে, যার ফলে সামাজিক বন্ধন ও জাতীয় ঐক্য দৃঢ় হয়।
-
নাগরিকের ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহায্য করে: এটি নাগরিকের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ ও পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করে।
-
উদারতা ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ফলে রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, সহিষ্ণুতা, সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘিষ্ঠের প্রতি শ্রদ্ধা, বিরোধী মত প্রচার ও নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়ার মনোভাব তৈরি হয়। এর ফলে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
-
জবাবদিহিতার মানসিকতা ও দায়িত্বশীল আচরণ: নাগরিক ও সরকার উভয়েই দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে। সরকার তাদের কাজের জন্য জনগণের নিকট জবাবদিহি করে এবং আইনসভায় জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর বা কৈফিয়ত প্রদান করে।
-
শৃঙ্খলাবোধ জাগ্রত করে: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাতিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করে, যা রাষ্ট্রের অগ্রগতি ও উন্নতি ত্বরান্বিত করে।
-
নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকার পরিবর্তন: এটি নির্বাচনি রায় ও জনগণের ম্যান্ডেট মেনে সরকারকে নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজ করতে দেয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে সরকার গঠন ও পরিবর্তনের মানসিকতা তৈরি করে।

0
Updated: 2 weeks ago
বিশ্বব্যাংক সুশাসনের কয়টি স্তম্ভের কথা বলেছেন?
Created: 1 week ago
A
৫টি
B
৪টি
C
৮টি
D
৬টি
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
-
সুশাসনের ধারণা:
-
‘সুশাসন’ (Good Governance) ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার এই শব্দ ব্যবহার করা হয়।
-
এতে উন্নয়নশীল দেশের অনুন্নয়ন চিহ্নিত করা হয় এবং বলা হয়, সুশাসনের অভাবেই অনুন্নয়ন ঘটেছে।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা: "সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই হলো গভর্নেন্স।"
-
-
বিশ্বব্যাংকের ঘোষিত চারটি সুশাসনের স্তম্ভ:
১. দায়িত্বশীলতা (Accountability)
২. স্বচ্ছতা (Transparency)
৩. আইনি কাঠামো (Rule of Law)
৪. অংশগ্রহণ (Participation)

0
Updated: 1 week ago