'আইয়াম আল-আরব' কোন্ যুগ?হযরত ইসমাইল (আঃ) এর যুগ
A
হযরত ইসমাইল (আঃ) এর যুগ
B
খৃষ্ট পূর্ব দুই শতাব্দী
C
ফিহিরের যুগ
D
প্রাক ইসলাম যুগ
উত্তরের বিবরণ
প্রাক-ইসলামি যুগে আরব সমাজে গোত্রীয় বিভাজন ছিল অত্যন্ত প্রবল। সামান্য কারণেও এক গোত্রের সঙ্গে অন্য গোত্রের সংঘর্ষ শুরু হয়ে দীর্ঘস্থায়ী বৈরিতায় রূপ নিত।
-
ছোটখাট বিষয়, যেমন সম্মানহানি, সম্পদ বা প্রতিশোধের দ্বন্দ্ব, থেকেই গোত্রীয় কলহের সূত্রপাত হতো।
-
এই সংঘর্ষগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও প্রতিশোধের শৃঙ্খলে চলতে থাকত।
-
এসব যুদ্ধ ও বীরত্বপূর্ণ ঘটনাবলির সামগ্রিক ইতিহাসকে ‘আইয়ামুল আরব’ বলা হয়।
-
‘আইয়ামুল আরব’ মূলত ইসলামের পূর্ব যুগে আরব গোত্রগুলোর যুদ্ধ, বীরত্ব ও প্রতিশোধের কাহিনির ধারাবাহিক দলিল, যা সে সময়ের সামাজিক ও মানসিক অবস্থার প্রতিফলন।

0
Updated: 21 hours ago
হজরত মুহাম্মদ (সঃ) খন্দক যুদ্ধের অভিনব কৌশল কার পরামর্শে গ্রহণ করলেন?
Created: 1 day ago
A
হযরত সালমান ফারসী
B
হযরত আবু বকর (রাঃ)
C
হযরত ওসমান (রাঃ)
D
হযরত সা'দ (রাঃ)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ মদিনায় এক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যেখানে ইসলামের শত্রুরা সম্মিলিতভাবে মুসলমানদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধ ইসলামী ইতিহাসে কৌশল, ঐক্য ও বিশ্বাসের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে পরিচিত।
-
এই যুদ্ধে কুরাইশ, বেদুইন ও ইহুদিরা মিলিতভাবে মদিনা আক্রমণ করে।
-
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পারস্যের সাহাবী সালমান ফারসির পরামর্শে মদিনার চারপাশে পরিখা খনন করেন, যা ছিল সেই সময়ের এক অভিনব প্রতিরক্ষা কৌশল।
-
পবিত্র কুরআনে এই যুদ্ধকে “আহযাবের যুদ্ধ” বলা হয়েছে, যার অর্থ “সম্মিলিত বাহিনীর যুদ্ধ”।

0
Updated: 1 day ago
দ্বীন-ই-ইলাহী' ধর্মমতের সদস্য সংখ্যা কতজন ছিল?
Created: 16 hours ago
A
১৭ জন
B
১৮ জন
C
২৭ জন
D
৩১ জন
১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর ভারতে বিদ্যমান বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ দূর করে সৌহার্দ্য ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি নতুন ধর্মীয় মতবাদ প্রবর্তন করেন, যা ইতিহাসে দ্বীন-ই-ইলাহি নামে পরিচিত।
-
এই ধর্মের মূল উদ্দেশ্য ছিল সকল ধর্মের উত্তম গুণাবলি একত্রিত করে একটি সার্বজনীন নীতিতে পরিণত করা।
-
দ্বীন-ই-ইলাহি অনুসারীদেরকে তাদের ধন, জীবন, সম্মান ও ধর্ম—এই চারটি বিষয় সম্রাট ও ধর্মের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে হতো।
-
এই ধর্মমত সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করেনি; ইতিহাসে জানা যায়, মাত্র ১৮ জন ব্যক্তি, যার মধ্যে হিন্দু রাজা বীরবল অন্যতম, এই ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
-
আকবরের এই উদ্যোগ ছিল ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবিক ঐক্যের প্রতীক, যদিও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

0
Updated: 16 hours ago
'সিয়ামত নামা' গ্রন্থের লেখক কে ছিলেন?
Created: 21 hours ago
A
উমর ইবনে আবদুল আজিজ
B
আল মামুন
C
নিজামুল মূলক্ তুসী
D
তুঘ্রিল বেগ
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও প্রশাসক নিযাম-উল-মুলক ইসলামী ইতিহাসে জ্ঞান, প্রশাসন ও শিক্ষাব্যবস্থার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা ও নীতিশাস্ত্র বিষয়ে অমূল্য অবদান রেখে গেছেন।
-
তিনি ‘সিয়াসত নামা’ (বা সিয়ামত নামা) নামে একটি ফার্সি ভাষার গ্রন্থ রচনা করেন, যেখানে রাজ্যশাসন, প্রশাসনিক নীতি ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
-
১০৬৫-১০৬৭ খ্রিস্টাব্দে, তিনি বাগদাদে ‘নিযামিয়া মাদ্রাসা’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে ইসলামী বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পায়।
-
তাঁর এই উদ্যোগ পরবর্তীকালে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার বিস্তারে গভীর প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 21 hours ago