মুতার যুদ্ধে ইসলামের বিজয় নিশ্চিত করেন সেনাপতি-
A
জায়িদ (রাঃ)
B
জাফর (রাঃ)
C
আবদুল্লাহ (রাঃ)
D
খালিদ বিন ওয়ালিদ সায়ফুল্লাহ (রাঃ)
উত্তরের বিবরণ
৬২৯ খ্রিস্টাব্দে, রোমান সম্রাট সুহারবিল একজন মুসলিম দূতকে হত্যা করলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কঠোর প্রতিবাদস্বরূপ আরবের বাইরে প্রথম সামরিক অভিযান প্রেরণ করেন, যার নেতৃত্বে ছিলেন যায়েদ ইবনে হারিসা (রা.)।
-
এই অভিযানে সংঘটিত হয় বিখ্যাত মুতা যুদ্ধ, যেখানে মুসলমানরা রোমান বাহিনীর মুখোমুখি হন।
-
যুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে তিনজন সেনাপতি—যায়েদ ইবনে হারিসা (রা.), জাফর ইবনে আবি তালিব (রা.), ও আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রা.)—শহীদ হন।
-
এরপর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.), যিনি অসাধারণ কৌশল ও বীরত্বের মাধ্যমে মুসলমানদের বিজয় এনে দেন।
-
মহানবী (সা.) তাঁর এই বীরত্বে গভীরভাবে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে “সাইফুল্লাহ” অর্থাৎ “আল্লাহর তরবারি” উপাধি প্রদান করেন।

0
Updated: 21 hours ago
বিখ্যাত তায়েফ নগরী মক্কার কোন্ দিকে অবস্থিত?
Created: 58 minutes ago
A
দক্ষিণ-পূর্ব
B
উত্তর-পশ্চিম
C
উত্তর-পূর্ব
D
দক্ষিণ-পশ্চিম
৬১৬ থেকে ৬১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পরিবার আবু তালিব উপত্যকায় (শিবে আবি তালিব) অবরুদ্ধ অবস্থায় কঠিন সময় অতিবাহিত করেন। এই তিন বছরের অবরোধ শেষে তিনি ইসলামের দাওয়াত প্রচারের নতুন পথ অনুসন্ধান করেন।
-
অবরোধ শেষে নবী করিম (সা.) তাঁর দত্তকপুত্র যায়েদ ইবনে হারিসা (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে মক্কার দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ৭৫ মাইল দূরে অবস্থিত তায়েফ নগরে গমন করেন।
-
সেখানে তিনি প্রায় ১০ দিন অবস্থান করে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানান।
-
কিন্তু তায়েফবাসীরা তাঁর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে তাঁর প্রতি পাথর নিক্ষেপ করে এবং তাঁকে আহত অবস্থায় শহর ত্যাগে বাধ্য করে।
-
এই ঘটনাটি নবীজির জীবনে এক গভীর বেদনাদায়ক অধ্যায় হলেও, পরবর্তীতে এটি ইসলামের সহিষ্ণুতা, ধৈর্য ও দাওয়াতি প্রেরণার এক মহান দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে।

0
Updated: 58 minutes ago
কোন্ যুদ্ধের মাধ্যমে সাময়িক ভাবে মুঘল সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে এবং পুনরায় আফগান শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 21 hours ago
A
চৌসার যুদ্ধ
B
বিলগ্রামের যুদ্ধ
C
গোগরার যুদ্ধ
D
খানুয়ার যুদ্ধ
১৫৪০ খ্রিস্টাব্দের ১৭ মে, কনৌজের নিকটবর্তী বিলগ্রাম নামক স্থানে মুঘল ও আফগান বাহিনীর মধ্যে এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যা ইতিহাসে কনৌজ বা বিলগ্রামের যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধ মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।
-
এই যুদ্ধে সম্রাট হুমায়ুন দুর্ভাগ্যবশত আফগান শাসক শের শাহ সূরির হাতে পরাজিত হন।
-
শের শাহের জয়লাভের ফলে মুঘল সাম্রাজ্যের সাময়িক পতন ঘটে এবং তিনি ভারতে আফগান শূরী বংশের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
-
শের শাহের শাসনামল ছিল প্রশাসনিক দক্ষতা, রাজস্ব সংস্কার ও সড়কব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয় ও প্রভাবশালী।

0
Updated: 21 hours ago
হজরত আবু বকর (রাঃ)- রিদ্দার যুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুসলিম বাহিনীকে কতটি দলে বিভক্ত করেন?
Created: 5 days ago
A
৮টি
B
৯টি
C
১১টি
D
১৫টি
‘রিদ্দা’ (Ridda) একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ প্রত্যাবর্তন, পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়া বা স্বধর্মত্যাগ। ইসলামের ইতিহাসে এটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় সেই সময়ের জন্য, যখন কিছু গোত্র ইসলাম ত্যাগ করে বিদ্রোহে লিপ্ত হয়েছিল।
মূল ধারণাসমূহ—
-
রিদ্দার অর্থ: স্বধর্মত্যাগ বা ইসলাম থেকে ফিরে যাওয়া।
-
নবী মুহাম্মদের (সা.) মৃত্যুর পর বিভিন্ন আরব গোত্রের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
-
তারা যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়, মদীনা রাষ্ট্রের প্রাধান্য অস্বীকার করে, এবং মিথ্যা নবী হিসেবে পরিচিত কয়েকজন—তোলায়হা, সাজাহ, মুসায়লামা ও আসওয়াদ আল-আনসি—উদ্ভূত হন।
-
এ অবস্থায় খলিফা আবু বকর (রা.) সকল স্বধর্মত্যাগীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, যা ইতিহাসে “রিদ্দার যুদ্ধ” (৬৩২–৬৩৩ খ্রি.) নামে পরিচিত।
-
তিনি সেনাবাহিনীকে ১১টি দলে বিভক্ত করে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরণ করেন।
-
এই যুদ্ধে প্রধান মুসলিম সেনাপতিরা ছিলেন: খালিদ বিন ওয়ালিদ, ইকরামা, শুরাহবিল এবং মুহাজির বিন আবি উমাইয়া।

0
Updated: 5 days ago