ইসলামী সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে খ্রিস্টান ইউরোপের সর্বমোট কতটি ক্রুসেড পরিচালিত হয়?
A
৫টি
B
৬টি
C
৭টি
D
৮টি
উত্তরের বিবরণ
খ্রিস্টান ইউরোপ ইসলামী সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একাধিক যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল, যা ইতিহাসে ক্রুসেড যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ইউরোপ ও মুসলিম বিশ্বের মধ্যে সংঘটিত হয়।
-
মোট আটটি প্রধান ক্রুসেড অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।
-
এ অভিযানগুলো ১০৯৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২৯১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চলে।
-
ক্রুসেডগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল জেরুজালেম ও পবিত্র ভূমি মুসলমানদের কাছ থেকে দখল করা।
-
এই দীর্ঘ সংঘর্ষের ফলে ইউরোপ ও ইসলামী বিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব পড়ে।

0
Updated: 21 hours ago
আরবের গোত্রপতি বাঁচাইয়ের পদ্ধতি ছিল?
Created: 5 days ago
A
জন্ম সূত্রে
B
বিত্তশালী হওয়া
C
গোত্রীয় ঐকমত্য
D
পেশীশক্তি
আরবের গোত্রভিত্তিক শাসনব্যবস্থায় প্রতিটি গোত্রের নেতৃত্ব দিতেন একজন গোত্রীয় প্রধান বা শায়খ। তিনি গোত্রের সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিচারকার্য পরিচালনা করতেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
প্রতিটি গোত্রে ‘শায়খ’ নামে একজন দলপতি বা নেতা নিযুক্ত থাকতেন।
-
বয়স, বিচারবুদ্ধি, সাহস, অর্থনৈতিক অবস্থান ও অভিজ্ঞতা যাচাই করে গোত্রীয় ঐকমত্য বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শায়খ নির্বাচিত হতেন।
-
শায়খের নেতৃত্ব স্থায়ী ছিল না; গোত্রীয় সিদ্ধান্ত বা নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে তাঁকে পরিবর্তন করা যেত।
-
এই শাসনব্যবস্থা ছিল মূলত গোত্রকেন্দ্রিক ও পরামর্শভিত্তিক, যা আরব সমাজে ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখত।

0
Updated: 5 days ago
ইয়াজিদের মনোনয়ন সম্পর্কে কে রাজনৈতিক কবিতা রচনা করেছিলেন?
Created: 5 days ago
A
ওমর ইবনে আবী রাবীয়াহ
B
লাবীদ ইবনে রাবীয়াহ
C
হাসসান ইবনে ছাবিত
D
মিসকিন আল্ দারিমি
উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়া (রা.) যখন তাঁর পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করতে দ্বিধায় ছিলেন, তখন মিসকিন আল-দারিমি নামের এক কবি ইয়াজিদের প্রশংসায় রাজনৈতিক কবিতা রচনা করেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
মিসকিন আল-দারিমি তাঁর কবিতার মাধ্যমে ইয়াজিদের গুণাবলি ও যোগ্যতা তুলে ধরেন।
-
এই কবিতা মুয়াবিয়ার মানসিক দ্বিধা দূর করতে প্রভাব ফেলে, ফলে তিনি ইয়াজিদকে উত্তরসূরি মনোনয়নে আগ্রহী হন।
-
কবিতার মাধ্যমে মিসকিন আল-দারিমি মুয়াবিয়া ও ইয়াজিদের ঘনিষ্ঠতা অর্জন করেন।
-
এই ঘটনা ইসলামী ইতিহাসে রাজনৈতিক কবিতার প্রভাবের অন্যতম উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 5 days ago
'আইন-ই-আকবরী' মূলতঃ কে রচনা করেন?
Created: 58 minutes ago
A
সম্রাট আকবর
B
গুলবদন বেগম
C
আবুল ফজল
D
আবদুল কাদির বাদাউনী
মুঘল সম্রাট আকবরের প্রধানমন্ত্রী ও নবরত্নদের অন্যতম আবুল ফজল ছিলেন এক মহান ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলো মুঘল প্রশাসন, সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অমূল্য তথ্য প্রদান করে।
-
তিনি মূলত ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থটি রচনা করেন, যা ছিল তাঁর বৃহৎ ঐতিহাসিক গ্রন্থ ‘আকবরনামা’-এর তৃতীয় ও শেষ খণ্ড।
-
গ্রন্থটি ১৬শ শতাব্দীতে ফারসি ভাষায় রচিত হয়।
-
এতে আকবরের রাজ্যব্যবস্থা, প্রশাসনিক কাঠামো, রাজস্বনীতি, সেনাবাহিনী, শিক্ষা, ধর্ম, সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতি—সবকিছুর বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
-
‘আইন-ই-আকবরী’ শুধু ইতিহাস নয়, বরং এটি মুঘল সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের পূর্ণাঙ্গ দলিল হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 58 minutes ago