সুলতানা রাজিয়ার হত্যাকারী ছিল?
A
জামাল উদ্দীন
B
আলতুনিয়া
C
আপন ভ্রাতা মুঈনুদ্দিন বাহরাম
D
রুকন উদ্দীন
উত্তরের বিবরণ
দিল্লি সালতানাতের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়, সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশের মৃত্যুর পর সিংহাসন নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই প্রেক্ষাপটে একাধিক ক্ষমতাসংগ্রামের ঘটনাই ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
দিল্লির আভিজাত আমিরগণ ইলতুৎমিশের তৃতীয় পুত্র মুঈনুদ্দিন বাহরামকে সুলতান ঘোষণা করেন।
-
রাজিয়া সুলতানা ও তাঁর স্বামী ইখতিয়ারউদ্দিন আলতুনিয়া সিংহাসন পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাহরামের বিরুদ্ধে এক বৃহৎ সেনাবাহিনী নিয়ে অগ্রসর হন।
-
কিন্তু দিল্লির নিকটে সংঘটিত যুদ্ধে তাদের সম্মিলিত বাহিনী পরাজিত হয় বাহরামের সেনাদের কাছে।
-
পরবর্তীতে, ১২৪০ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে কাইথল নামক স্থানে, এক হিন্দু আততায়ীর হাতে রাজিয়া সুলতানা ও আলতুনিয়া নিহত হন।
-
এর মাধ্যমে ভারতের ইতিহাসে প্রথম নারী সুলতানের শাসনের অবসান ঘটে, যা দিল্লি সালতানাতের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে আরও তীব্র করে তোলে।

0
Updated: 21 hours ago
দ্বীন-ই-ইলাহী' ধর্মমতের সদস্য সংখ্যা কতজন ছিল?
Created: 16 hours ago
A
১৭ জন
B
১৮ জন
C
২৭ জন
D
৩১ জন
১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর ভারতে বিদ্যমান বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ দূর করে সৌহার্দ্য ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি নতুন ধর্মীয় মতবাদ প্রবর্তন করেন, যা ইতিহাসে দ্বীন-ই-ইলাহি নামে পরিচিত।
-
এই ধর্মের মূল উদ্দেশ্য ছিল সকল ধর্মের উত্তম গুণাবলি একত্রিত করে একটি সার্বজনীন নীতিতে পরিণত করা।
-
দ্বীন-ই-ইলাহি অনুসারীদেরকে তাদের ধন, জীবন, সম্মান ও ধর্ম—এই চারটি বিষয় সম্রাট ও ধর্মের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে হতো।
-
এই ধর্মমত সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করেনি; ইতিহাসে জানা যায়, মাত্র ১৮ জন ব্যক্তি, যার মধ্যে হিন্দু রাজা বীরবল অন্যতম, এই ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
-
আকবরের এই উদ্যোগ ছিল ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবিক ঐক্যের প্রতীক, যদিও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

0
Updated: 16 hours ago
বিখ্যাত তায়েফ নগরী মক্কার কোন্ দিকে অবস্থিত?
Created: 58 minutes ago
A
দক্ষিণ-পূর্ব
B
উত্তর-পশ্চিম
C
উত্তর-পূর্ব
D
দক্ষিণ-পশ্চিম
৬১৬ থেকে ৬১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পরিবার আবু তালিব উপত্যকায় (শিবে আবি তালিব) অবরুদ্ধ অবস্থায় কঠিন সময় অতিবাহিত করেন। এই তিন বছরের অবরোধ শেষে তিনি ইসলামের দাওয়াত প্রচারের নতুন পথ অনুসন্ধান করেন।
-
অবরোধ শেষে নবী করিম (সা.) তাঁর দত্তকপুত্র যায়েদ ইবনে হারিসা (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে মক্কার দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ৭৫ মাইল দূরে অবস্থিত তায়েফ নগরে গমন করেন।
-
সেখানে তিনি প্রায় ১০ দিন অবস্থান করে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানান।
-
কিন্তু তায়েফবাসীরা তাঁর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে তাঁর প্রতি পাথর নিক্ষেপ করে এবং তাঁকে আহত অবস্থায় শহর ত্যাগে বাধ্য করে।
-
এই ঘটনাটি নবীজির জীবনে এক গভীর বেদনাদায়ক অধ্যায় হলেও, পরবর্তীতে এটি ইসলামের সহিষ্ণুতা, ধৈর্য ও দাওয়াতি প্রেরণার এক মহান দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে।

0
Updated: 58 minutes ago
কোন্ মুঘল সম্রাট জিজিয়া কর রহিত করেন?
Created: 58 minutes ago
A
সম্রাট আকবর
B
সম্রাট জাহাঙ্গীর
C
সম্রাট শাহজাহান
D
সম্রাট
সম্রাট আকবর ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ও সহনশীল নীতির জন্য প্রসিদ্ধ মুঘল শাসক, যিনি হিন্দু-মুসলমান ঐক্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনামলে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক সংস্কারের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
-
তিনি হিন্দুদের তীর্থকর (তীর্থযাত্রা কর) ও জিজিয়া কর সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করেন, যাতে অমুসলিম প্রজারা সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে।
-
আকবর নিয়মিতভাবে হিন্দু মেলা ও মন্দির পরিদর্শন করতেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নিতেন।
-
তাঁর এই নীতি ও কর্মকাণ্ড ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্মীয় সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 58 minutes ago