'জাজিরাতুল আরব' প্রধানত কয়টি অঞ্চলে বিভক্ত?
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
উত্তরের বিবরণ
ভূপ্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে জাজিরাতুল আরব বা আরব উপদ্বীপকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিটি অঞ্চলের প্রকৃতি, জলবায়ু ও জীবনযাত্রা ভিন্ন হলেও, এদের সম্মিলিত বৈশিষ্ট্যই আরব সভ্যতার ভিত্তি গঠন করেছে।
-
মরু অঞ্চল (Arabian Desert): এটি উপদ্বীপের বৃহত্তম অংশজুড়ে বিস্তৃত। এখানে বালুময় মরুভূমি, শুষ্ক জলবায়ু ও সীমিত উদ্ভিদজগৎ বিদ্যমান।
-
পাহাড়ী অঞ্চল (Arabian Petraca): মূলত পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে পাথুরে পাহাড়, উপত্যকা ও দুর্গম এলাকা দেখা যায়।
-
উর্বর অঞ্চল (Arabian Felix): দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত এই অঞ্চলটি তুলনামূলকভাবে সবুজ ও কৃষির উপযোগী, যেখানে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও উর্বর মাটি রয়েছে।

0
Updated: 21 hours ago
আব্বাসীয় কোন্ খলিফার শাসনামলে চিকিৎসকদের পেশাগত যোগ্যতা নির্ধারণ পরীক্ষা শুরু হয়?
Created: 21 hours ago
A
আল-মামুন
B
আবু জাফর আল মানসুর
C
আল মুতাওাক্কিল
D
আল মুক্তাদির
আব্বাসীয় খলিফা আল-মুকতাদির-এর শাসনামলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যা ইসলামী চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসে যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।
-
৯৩১ খ্রিস্টাব্দে, তাঁর আমলে চিকিৎসকদের জন্য পেশাগত যোগ্যতা নির্ধারণ পরীক্ষা প্রবর্তন করা হয়।
-
এই পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসকদের জ্ঞান, দক্ষতা ও চিকিৎসা নীতিমালা সম্পর্কে পারদর্শিতা যাচাই করা হতো।
-
পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকেই চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হতো।
-
এই ব্যবস্থা চিকিৎসাবিদ্যায় মান নিয়ন্ত্রণ ও রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইসলামী সভ্যতায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

0
Updated: 21 hours ago
মানজানিকের সাহায্যে বৃহদাকার প্রস্তর নিক্ষেপ করে মুসলিম বাহিনী কোন্ দুর্গটি ধ্বংস করে?
Created: 58 minutes ago
A
আরোর
B
সিওয়ান
C
রাওয়ার
D
দাইবুল
সিন্ধু বিজয়ের অভিযানে সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসিম অসাধারণ সামরিক দক্ষতা ও কৌশল প্রদর্শন করেন। তাঁর অভিযানের সূচনা হয়েছিল উপকূলীয় গুরুত্বপূর্ণ নগর দেবল (বা দাইবুল) বন্দরের দখল দিয়ে।
-
প্রথমেই তিনি দেবল/দাইবুল বন্দর অবরোধ করেন, যা ছিল শত্রুর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি।
-
শহরের প্রধান মন্দিরের চূড়ায় একটি লাল নিশান উড়ছিল, যা ছিল স্থানীয়দের ধর্মীয় ও প্রতিরোধের প্রতীক।
-
মুহাম্মদ বিন কাসিম দুর্গের চারপাশে পরিখা খনন করে সৈন্য মোতায়েন করেন, যাতে শত্রুপক্ষ পালানোর সুযোগ না পায়।
-
এরপর তিনি মানজানিক (বৃহৎ প্রস্তর নিক্ষেপ যন্ত্র) ব্যবহার করে দেবল দুর্গে প্রস্তর নিক্ষেপ করেন।
-
এতে দুর্গটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং দেবলের সৈন্যদের মনোবল ভেঙে পড়ে, ফলে মুসলিম বাহিনী সহজেই বিজয় অর্জন করে।

0
Updated: 58 minutes ago
'সিয়ামত নামা' গ্রন্থের লেখক কে ছিলেন?
Created: 21 hours ago
A
উমর ইবনে আবদুল আজিজ
B
আল মামুন
C
নিজামুল মূলক্ তুসী
D
তুঘ্রিল বেগ
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও প্রশাসক নিযাম-উল-মুলক ইসলামী ইতিহাসে জ্ঞান, প্রশাসন ও শিক্ষাব্যবস্থার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা ও নীতিশাস্ত্র বিষয়ে অমূল্য অবদান রেখে গেছেন।
-
তিনি ‘সিয়াসত নামা’ (বা সিয়ামত নামা) নামে একটি ফার্সি ভাষার গ্রন্থ রচনা করেন, যেখানে রাজ্যশাসন, প্রশাসনিক নীতি ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
-
১০৬৫-১০৬৭ খ্রিস্টাব্দে, তিনি বাগদাদে ‘নিযামিয়া মাদ্রাসা’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে ইসলামী বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পায়।
-
তাঁর এই উদ্যোগ পরবর্তীকালে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার বিস্তারে গভীর প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 21 hours ago