'সিয়ামত নামা' গ্রন্থের লেখক কে ছিলেন?
A
উমর ইবনে আবদুল আজিজ
B
আল মামুন
C
নিজামুল মূলক্ তুসী
D
তুঘ্রিল বেগ
উত্তরের বিবরণ
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও প্রশাসক নিযাম-উল-মুলক ইসলামী ইতিহাসে জ্ঞান, প্রশাসন ও শিক্ষাব্যবস্থার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা ও নীতিশাস্ত্র বিষয়ে অমূল্য অবদান রেখে গেছেন।
-
তিনি ‘সিয়াসত নামা’ (বা সিয়ামত নামা) নামে একটি ফার্সি ভাষার গ্রন্থ রচনা করেন, যেখানে রাজ্যশাসন, প্রশাসনিক নীতি ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
-
১০৬৫-১০৬৭ খ্রিস্টাব্দে, তিনি বাগদাদে ‘নিযামিয়া মাদ্রাসা’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে ইসলামী বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পায়।
-
তাঁর এই উদ্যোগ পরবর্তীকালে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার বিস্তারে গভীর প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 21 hours ago
আল-ফে কী?
Created: 16 hours ago
A
বাণিজ্য কর
B
ভুমি কর
C
রাষ্ট্রের খাস জমির আয়
D
নিরাপত্তা কর
খলিফাদের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল আল-ফাই। এটি এমন জমি ও সম্পদের ওপর ভিত্তি করে গঠিত ছিল, যা ব্যক্তিগত মালিকানার বাইরে থেকে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আসত।
-
আল-ফাই বলতে বোঝানো হতো দাবিদারহীন খাস জমি, অনাবাদী ও অরণ্যভূমি, এবং বিদ্রোহী বা রাষ্ট্রদ্রোহীদের বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি।
-
এসব জমি রাষ্ট্রের অধীনে চলে আসত এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত আয় সরকারী কোষাগারে জমা হতো।
-
এই জমি বা সম্পদ থেকে সংগৃহীত রাজস্বকে বলা হতো “আল-ফাই রাজস্ব”।
-
এই আয় মূলত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম, সেনাবাহিনী রক্ষণাবেক্ষণ ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হতো।

0
Updated: 16 hours ago
হজরত আবু বকর (রাঃ)- রিদ্দার যুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুসলিম বাহিনীকে কতটি দলে বিভক্ত করেন?
Created: 5 days ago
A
৮টি
B
৯টি
C
১১টি
D
১৫টি
‘রিদ্দা’ (Ridda) একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ প্রত্যাবর্তন, পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়া বা স্বধর্মত্যাগ। ইসলামের ইতিহাসে এটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় সেই সময়ের জন্য, যখন কিছু গোত্র ইসলাম ত্যাগ করে বিদ্রোহে লিপ্ত হয়েছিল।
মূল ধারণাসমূহ—
-
রিদ্দার অর্থ: স্বধর্মত্যাগ বা ইসলাম থেকে ফিরে যাওয়া।
-
নবী মুহাম্মদের (সা.) মৃত্যুর পর বিভিন্ন আরব গোত্রের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
-
তারা যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়, মদীনা রাষ্ট্রের প্রাধান্য অস্বীকার করে, এবং মিথ্যা নবী হিসেবে পরিচিত কয়েকজন—তোলায়হা, সাজাহ, মুসায়লামা ও আসওয়াদ আল-আনসি—উদ্ভূত হন।
-
এ অবস্থায় খলিফা আবু বকর (রা.) সকল স্বধর্মত্যাগীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, যা ইতিহাসে “রিদ্দার যুদ্ধ” (৬৩২–৬৩৩ খ্রি.) নামে পরিচিত।
-
তিনি সেনাবাহিনীকে ১১টি দলে বিভক্ত করে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরণ করেন।
-
এই যুদ্ধে প্রধান মুসলিম সেনাপতিরা ছিলেন: খালিদ বিন ওয়ালিদ, ইকরামা, শুরাহবিল এবং মুহাজির বিন আবি উমাইয়া।

0
Updated: 5 days ago
দ্বীন-ই-ইলাহী' ধর্মমতের সদস্য সংখ্যা কতজন ছিল?
Created: 16 hours ago
A
১৭ জন
B
১৮ জন
C
২৭ জন
D
৩১ জন
১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর ভারতে বিদ্যমান বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ দূর করে সৌহার্দ্য ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি নতুন ধর্মীয় মতবাদ প্রবর্তন করেন, যা ইতিহাসে দ্বীন-ই-ইলাহি নামে পরিচিত।
-
এই ধর্মের মূল উদ্দেশ্য ছিল সকল ধর্মের উত্তম গুণাবলি একত্রিত করে একটি সার্বজনীন নীতিতে পরিণত করা।
-
দ্বীন-ই-ইলাহি অনুসারীদেরকে তাদের ধন, জীবন, সম্মান ও ধর্ম—এই চারটি বিষয় সম্রাট ও ধর্মের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে হতো।
-
এই ধর্মমত সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করেনি; ইতিহাসে জানা যায়, মাত্র ১৮ জন ব্যক্তি, যার মধ্যে হিন্দু রাজা বীরবল অন্যতম, এই ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
-
আকবরের এই উদ্যোগ ছিল ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবিক ঐক্যের প্রতীক, যদিও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

0
Updated: 16 hours ago