কোনটি শিশু পরিচালনার গনতান্ত্রিক পদ্ধতি?
A
সর্বদা বিপদের হাত থেকে রক্ষা করা
B
কাজে সর্বাত্নক স্বাধীনতা দেওয়া
C
সিদ্ধান্ত গ্রহণে আলোচনা
D
ভবিষ্যতে তাকে কি হতে হবে বুঝিয়ে দেওয়া।
উত্তরের বিবরণ
গণতান্ত্রিক শিশু পরিচালনা পদ্ধতি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে শিশুদের মতামত, যুক্তি এবং চিন্তাভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে পিতা-মাতা ও শিশু উভয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেয়, যা শিশুর মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ: এই পদ্ধতিতে পিতা-মাতা শিশুর মতামত মনোযোগ দিয়ে শোনেন, যুক্তিসঙ্গতভাবে আলোচনা করেন এবং তাদের বয়স ও বোঝার ক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণের সুযোগ দেন।
-
দায়িত্ববোধের বিকাশ: শিশু যখন কোনো সিদ্ধান্তে অংশ নেয়, তখন সে নিজের কাজ ও আচরণের জন্য দায়িত্ব নিতে শেখে।
-
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: মতামত প্রকাশ ও আলোচনা করার সুযোগ শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তাকে নিজের চিন্তাকে মূল্যবান বলে মনে করতে সাহায্য করে।
-
যুক্তি ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা: এ ধরনের পরিবেশে শিশু যুক্তি দিয়ে চিন্তা করতে শেখে এবং সমস্যার সমাধানে বিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে।
-
সম্পর্কের উন্নতি: পিতা-মাতা ও শিশুর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি পায়, যা পারিবারিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।

0
Updated: 23 hours ago
অটিজম আক্রান্ত শিশুটির ভাষা ও সামাজিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ কোন্ ধরনের অটিজমে আক্রান্ত?
Created: 11 hours ago
A
ক্লাসিক্যাল
B
এসপারজার
C
রেট সিনড্রোম
D
সি ডি ভি
অটিজম (Autism) হলো একটি স্নায়ুবিক ও বিকাশজনিত ব্যাধি, যা শিশুর সামাজিক যোগাযোগ, ভাষা ব্যবহার ও আচরণে অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করে। এটি বিভিন্ন মাত্রা ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে কয়েকটি ভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়, যা শিশুর বিকাশ ও আচরণগত পার্থক্য বোঝার জন্য সহায়ক।
-
১. ক্লাসিক্যাল অটিজম (Classical Autism): এ ধরনের শিশুরা সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট বস্তু বা শব্দে বিশেষ আগ্রহ প্রদর্শন করে। তারা অন্য শিশুদের মতো খেলাধুলা করে না এবং ভাষার বিকাশ অত্যন্ত সীমিত বা অনুপস্থিত থাকে। সামাজিক যোগাযোগ ও আবেগ প্রকাশের ক্ষেত্রেও তারা সমস্যায় ভোগে।
-
২. এসপারজার সিনড্রোম (Asperger’s Syndrome): এই অবস্থায় শিশুর ভাষার বিকাশ ঘটলেও কথার ভঙ্গি ও ব্যবহার অস্বাভাবিক হয়। শিশুকে প্রায়ই যান্ত্রিক ও আবেগহীন মনে হয়। ১৯৪৪ সালে হান্স এসপারজার (Hans Asperger) প্রথম এই ধরনের শিশুদের নিয়ে গবেষণা করেন। এদের সাধারণত বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিক বা বেশি, কিন্তু সামাজিক মিথস্ক্রিয়া ও সহানুভূতি প্রকাশে দুর্বলতা দেখা যায়।
-
৩. পরিব্যাপক বিকাশমূলক সমস্যা (Pervasive Developmental Disorder Not Otherwise Specified – PDD-NOS): এটি এমন এক অবস্থা যেখানে শিশুর মধ্যে ক্লাসিক্যাল অটিজম ও এসপারজারের উভয় বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
-
ভাষা ব্যবহারে জড়তা বা অস্বাভাবিকতা থাকে।
-
খেলাধুলা ও সামাজিক আচরণে অপ্রাকৃত ধরণ লক্ষ্য করা যায়।
-
অঙ্গ সঞ্চালনে পুনরাবৃত্তি (Repetitive Movement) দেখা যায় এবং পরিচিত পরিবেশে সামান্য পরিবর্তন ঘটলে তীব্র প্রতিক্রিয়া করে।
-
-
৪. রেট সিনড্রোম (Rett Syndrome): এটি এক ধরনের স্নায়ুবিক বিকাশজনিত ব্যাধি, যেখানে শিশু প্রথমে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে কিন্তু কিছুদিন পর পেশি নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চালন ক্ষমতা হঠাৎ কমে যায়। এই অবস্থায় হাতের নড়াচড়া, ভারসাম্য ও শারীরিক বিকাশ ব্যাহত হয়। এটি সাধারণত মেয়েশিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
-
৫. সিডিডি (Childhood Disintegration Disorder – CDD): এতে শিশুর ভাষা, মলমূত্র নিয়ন্ত্রণ, ও মোটর দক্ষতা (Motor Skills) হঠাৎ হারিয়ে যায়। আগে অর্জিত আত্মনিয়ন্ত্রণমূলক বা দৈনন্দিন জীবনযাপনের দক্ষতাগুলো ক্রমে লোপ পায় এবং শিশুটি সামাজিক ও মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
-
সারসংক্ষেপে: অটিজমের এই বিভিন্ন রূপগুলোর মধ্যে সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো সামাজিক যোগাযোগের সমস্যা, পুনরাবৃত্ত আচরণ, এবং পরিবেশগত পরিবর্তনে সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া; তবে লক্ষণ ও তীব্রতার ভিন্নতা অনুযায়ী প্রতিটি শ্রেণির বৈশিষ্ট্য আলাদা।

0
Updated: 11 hours ago
'টি স্কোয়ার' পোশাকের জন্য কিসের সরঞ্জাম?
Created: 11 hours ago
A
কাটার
B
দাগ দেয়ার
C
মাপ নেয়ার
D
সেলাই করার
ঘরে পোশাক তৈরি করা অনেকের কাছে সুবিধাজনক, কারণ এতে নিজের পছন্দ, প্রয়োজন ও মাপ অনুযায়ী পোশাক তৈরি করা যায় এবং অর্থের সাশ্রয়ও হয়। এই কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরণের প্রয়োজন হয়, যেগুলো নির্দিষ্টভাবে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায়।
১. মাপ নেওয়ার সরঞ্জাম: মানানসই ও আকর্ষণীয় পোশাক তৈরির জন্য সঠিকভাবে দেহের মাপ নেওয়া অপরিহার্য। এই মাপের ভিত্তিতেই পোশাকের নকশা আঁকা হয়। নির্দিষ্ট নকশা অনুযায়ী দেহের বিভিন্ন অংশের প্রয়োজনীয় মাপ গ্রহণ করা হয়।
২. এই কাজে ব্যবহৃত প্রধান সরঞ্জামগুলো হলো—
-
মাপের ফিতা: দেহের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মাপার জন্য অপরিহার্য।
-
স্কেল: সেলাইয়ের অংশে সোজা লাইন টানতে ব্যবহৃত হয়।
-
টি-স্কোয়ার: সঠিক কোণ নির্ধারণে সাহায্য করে।
-
শেইপ কাঠ ও ফ্রেঞ্চ কার্ভ: গোলাকার বা বক্র অংশের মাপ ও নকশা নির্ধারণে সহায়ক।
-
গজ কাঠি: নির্দিষ্ট পরিমাপে মাপ নিতে ব্যবহৃত হয়।
৩. মাপ নেওয়ার গুরুত্ব: সঠিক মাপ ছাড়া পোশাক কখনো ফিটিং হয় না; তাই পোশাকের সৌন্দর্য ও আরামের জন্য মাপ নেওয়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 11 hours ago
আসবাব বিন্যাস কোন্ নিয়ম অনুসরণীয়?
Created: 11 hours ago
A
কক্ষে আলো বাতাস প্রবেশ বাধা সৃষ্টি না করা
B
বড় আসবাবের সাথে ছোট আসবাব রাখা
C
প্রত্যেক ভারসাম্য নীতি রক্ষা করা
D
আকর্ষণীয় আসবাবটি মাঝে স্থাপন করে প্রধান্য সৃষ্টি করা
আসবাব বিন্যাসে (Furniture Arrangement) কক্ষের আলো ও বাতাস প্রবেশের পথে বাধা না সৃষ্টি করা একটি মৌলিক এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারিক নিয়ম। এটি গৃহসজ্জার কার্যকারিতা, আরাম এবং স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য।
-
কার্যকারিতা ও স্বাস্থ্য: গৃহসজ্জার মূল উদ্দেশ্য হলো ঘরকে এমনভাবে সাজানো যাতে তা ব্যবহার উপযোগী, আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর হয়।
-
আলো ও বাতাসের গুরুত্ব: প্রাকৃতিক আলো ও বায়ু ঘরের পরিবেশকে উজ্জ্বল, সতেজ এবং জীবাণুমুক্ত রাখে। আসবাবপত্র যদি জানালা, দরজা বা ভেন্টিলেটরের সামনে স্থাপন করা হয়, তবে আলো প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হয় এবং বায়ু চলাচল (Ventilation) ব্যাহত হয়।
-
ক্ষতিকর প্রভাব: ঘরে পর্যাপ্ত আলো না থাকলে অন্ধকার ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ তৈরি হয়, যা চোখের সমস্যা, অবসাদ এবং ছত্রাক বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। অপর্যাপ্ত বায়ু চলাচল শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ও অস্বস্তি বাড়ায়।
-
সঠিক বিন্যাসের দিকনির্দেশ: আসবাবপত্র এমনভাবে রাখতে হবে যাতে জানালা ও বায়ু চলাচলের পথ অবাধ থাকে, এবং আলো সরাসরি কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।
-
অতিরিক্ত বিবেচনা: বড় আকারের আসবাব কক্ষের দেয়ালের পাশে, আর হালকা ও ছোট আসবাব কেন্দ্রীয় অংশে রাখলে কক্ষ প্রশস্ত দেখায় এবং বায়ু চলাচলও সহজ হয়।

0
Updated: 11 hours ago