দৈনিক ক্যালারির চাহিদা কিসের উপর নির্ভর করে?
A
দেহের মৌল বিপাক
B
দৈহিক পরিশ্রম
C
খাদ্যের প্রভাব
D
উপরের সবকটি সঠিক
উত্তরের বিবরণ
দৈনিক ক্যালরির চাহিদা মানুষের শরীরে শক্তির ভারসাম্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি মূলত শরীরের মোট শক্তি ব্যয়ের (Total Energy Expenditure – TEE) তিনটি প্রধান উপাদানের উপর নির্ভর করে। এই উপাদানগুলো শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম, শারীরিক পরিশ্রম এবং খাদ্য হজমের প্রক্রিয়ায় শক্তি ব্যয় নির্ধারণ করে।
-
দেহের মৌল বিপাক (Basal Metabolic Rate – BMR): এটি হলো শরীরের বিশ্রাম অবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন, রক্ত সঞ্চালন এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন ক্যালরির পরিমাণ। বয়স, লিঙ্গ, দেহের গঠন, ওজন এবং হরমোনের মাত্রা এর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
-
দৈহিক পরিশ্রম (Physical Activity): দৈনন্দিন কাজ যেমন হাঁটা, ওঠা-নামা, খেলাধুলা বা শ্রমের কাজের সময় অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহৃত হয়। পরিশ্রমের মাত্রা যত বেশি হবে, শরীরের ক্যালরি চাহিদাও তত বৃদ্ধি পাবে। এটি ব্যক্তির জীবনযাত্রার ধরণ ও পেশার উপর নির্ভর করে।
-
খাদ্যের প্রভাব (Thermic Effect of Food – TEF): খাবার হজম, শোষণ ও বিপাক প্রক্রিয়ায় যে শক্তি ব্যয় হয়, তাকে খাদ্যের তাপোৎপাদক প্রভাব বলা হয়। এটি মোট দৈনিক শক্তি ব্যয়ের প্রায় ৫-১০% অংশ জুড়ে থাকে।
-
অতিরিক্তভাবে, মোট ক্যালরি চাহিদা নির্ধারণে জীবনযাত্রার ধরণ, পরিবেশের তাপমাত্রা, এবং দেহের গঠনগত পার্থক্যও ভূমিকা রাখে। ভারসাম্যপূর্ণ ক্যালরি গ্রহণ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 23 hours ago
আসবাব নির্বাচনে প্রথম বিবেচ্য বিষয় কোনটি?
Created: 1 day ago
A
আসবারের স্থায়িত্ব
B
নিজ পেশা
C
কক্ষের অন্যান্য আসবাবের সাথে সামঞ্জস্য
D
দেশের কালচারের সাথে সামঞ্জস্য
আসবাবপত্র নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ গৃহস্থালি সিদ্ধান্ত, যা শুধু সৌন্দর্যের বিষয় নয় বরং ব্যবহারিক প্রয়োজন ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের সঙ্গেও সম্পর্কিত। স্থায়িত্ব (Durability) এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ—আসবাব সাধারণত দীর্ঘদিন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কেনা হয়, এবং টেকসই না হলে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি ঘটে যা অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আসবাবপত্র নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন—
-
পরিবারের আয় অনুযায়ী ব্যয় নির্ধারণ করা উচিত।
-
মূল্য যেন মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।
-
উপযোগিতা অর্থাৎ নির্দিষ্ট প্রয়োজন পূরণে আসবাবের সক্ষমতা থাকতে হবে।
-
প্রয়োজনীয়তা বিচার করে অপ্রয়োজনীয় জিনিস এড়ানো উচিত।
-
আরামদায়কতা ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।
-
নমনীয়তা বা ব্যবহারভেদে স্থানান্তরের সুবিধা থাকা ভালো।
-
স্থায়িত্ব অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারযোগ্যতা অবশ্যই যাচাই করতে হবে।
-
নির্মাণ উপকরণ যেমন কাঠ, ধাতু, বা প্লাস্টিক—গুণমানের দিক থেকে বিবেচনা করা জরুরি।
-
রুচি বা ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন বেছে নিতে হবে।
-
নকশা ঘরের সজ্জা ও ব্যবহারিক দিকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া দরকার।
-
পরিবারের আকার ও কাঠামো অনুযায়ী আসবাবের পরিমাণ ও আকার নির্ধারণ করতে হবে।
-
চাকরির প্রকৃতি যেমন স্থানান্তরযোগ্য পেশা হলে হালকা ও সহজে বহনযোগ্য আসবাব উত্তম।
-
যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হওয়া প্রয়োজন যাতে দীর্ঘস্থায়িত্ব বজায় থাকে।
-
কক্ষের আকার ও আয়তন অনুযায়ী উপযুক্ত মাপের আসবাব বেছে নেওয়া উচিত।
-
শিল্পনীতি ও উপাদান বিবেচনায় দেশীয় উৎপাদন ও মানসম্পন্ন উপকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া ভালো।

0
Updated: 1 day ago
ফুড গাইড পিরামিডের কার্বোহাইড্রেট সবার নীচে থাকে কেন?
Created: 1 day ago
A
দেহ গঠনে তেমন ভূমিকা রাখে না
B
পরিমানগত চাহিদা বেশী
C
দামে সবচাইতে সন্তা
D
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই
খাদ্য পিরামিড এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি স্পষ্টভাবে দেখায় কোন খাদ্য উপাদান দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। পিরামিডের গঠন অনুযায়ী নিচের স্তর সবচেয়ে প্রশস্ত, যা অধিক প্রয়োজনীয় খাদ্য নির্দেশ করে, আর উপরের স্তর অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় উপাদানকে নির্দেশ করে।
-
পিরামিডের ভিত্তি (Base) সবচেয়ে চওড়া অংশ, যেখানে থাকে শস্যজাতীয় খাদ্য যেমন ভাত, রুটি, পাউরুটি, আলু, ভুট্টা ইত্যাদি। এগুলো দৈনন্দিন খাদ্যের প্রধান অংশ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।
-
এই স্তরের খাদ্যগুলোতে প্রচুর শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা দেহের প্রধান শক্তির উৎস (Primary source of energy) হিসেবে কাজ করে।
-
কার্বোহাইড্রেট দেহকে দৈনন্দিন কাজ, শারীরিক পরিশ্রম ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে শক্তি প্রদান করে।
-
পিরামিডের উপরের স্তরগুলোতে থাকে কম পরিমাণে প্রয়োজনীয় উপাদান, যেমন প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন ও খনিজ, যেগুলো শক্তি ছাড়াও শরীরের বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে।
-
খাদ্য পিরামিডের এই বিন্যাস আমাদের শেখায় সুষম খাদ্যের অনুপাত, অর্থাৎ কোন খাদ্য বেশি ও কোন খাদ্য কম খাওয়া উচিত তা বোঝার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রদান করে।
-
এর মাধ্যমে বোঝা যায়, যেসব খাদ্যের চাহিদা শরীরে বেশি, তারা পিরামিডের নিচের স্তরে থাকে, আর যেগুলোর প্রয়োজন কম, তারা উপরের দিকে অবস্থান করে।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি গৃহ ব্যবস্থাপনায় প্রেষণা সৃষ্টিকারী বিষয়?
Created: 1 day ago
A
পরিকল্পনা
B
মূল্যায়ন
C
জ্ঞান
D
মান
মান এমন একটি নির্ধারিত স্তর বা আদর্শ যা ব্যক্তি বা পরিবার তাদের কাজ, আচরণ বা ফলাফলে অর্জন করতে চায়। এটি একধরনের মানদণ্ড যা কাজের গুণগত মান নির্ধারণে সাহায্য করে এবং ব্যক্তিকে লক্ষ্য অর্জনের পথে পরিচালিত করে।
১. মান কাজের পরিধি ও মান যাচাইয়ের জন্য একটি পরিমাপক মানদণ্ড হিসেবে কাজ করে।
২. এটি মানুষকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে অনুপ্রাণিত করে এবং তাদের আচরণকে সুশৃঙ্খল করে তোলে।
৩. ব্যক্তি বা পরিবার যখন কোনো বিষয়ে উচ্চ মান নির্ধারণ করে, তখন তারা সেই মান রক্ষা বা অতিক্রম করার চেষ্টা করে।
৪. মান রক্ষা ও উন্নয়ন সমাজে মর্যাদা, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ তৈরি করে।
৫. উদাহরণস্বরূপ, একটি পরিবার যদি তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মান উঁচু রাখে, তবে সেই মান তাদের প্রতিনিয়ত ঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রেষণা দেয়।
৬. মান শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, শিক্ষা, পেশা, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে গুণগত উৎকর্ষ অর্জনের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 1 day ago