মাতৃগর্ভে শিশুর কোন অঙ্গের বিকাশ সবচেয়ে বেশি হয়?
A
হৃদপিন্ড
B
মস্তিক
C
যকৃত
D
ফুসফুস
উত্তরের বিবরণ
মাতৃগর্ভে মস্তিষ্কের বিকাশ মানব শরীরের সবচেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলোর একটি। এটি শিশুর শারীরিক, মানসিক ও জ্ঞানীয় বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করে এবং জীবনের পরবর্তী সব আচরণ ও সক্ষমতার মূল নির্ধারক হিসেবে কাজ করে।
১. প্রারম্ভিক বিকাশ: নিষিক্তকরণের মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ শুরু হয়, যেখানে মস্তিষ্ক ও সুষুম্না কাণ্ডের গঠন ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ রূপ নিতে থাকে।
২. দ্রুত কোষ বিভাজন: গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে মস্তিষ্ক কোষ বা নিউরন অবিশ্বাস্য গতিতে বিভাজিত হয়। প্রতি মিনিটে লক্ষ লক্ষ নতুন কোষ তৈরি হয়ে স্নায়ু সংযোগ স্থাপন করে।
৩. সংযোগ স্থাপন ও স্নায়ু নেটওয়ার্ক: এই সময়ে নিউরনগুলোর মধ্যে জটিল সংযোগ তৈরি হয়, যা শিশুর ভবিষ্যৎ শেখার ক্ষমতা, স্মৃতি ও সংবেদনশীলতার ভিত্তি স্থাপন করে।
৪. কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে মস্তিষ্ক: মস্তিষ্ক দেহের সব অঙ্গের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে—হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্তসঞ্চালন, হরমোন নিঃসরণ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকাশ তার নির্দেশে পরিচালিত হয়।
৫. গর্ভাবস্থার পুষ্টি ও যত্নের গুরুত্ব: মস্তিষ্কের এই দ্রুত বিকাশ পর্যায়ে মাতৃপুষ্টি, অক্সিজেন সরবরাহ এবং মানসিক প্রশান্তি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কারণ এসব উপাদানই স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যকর গঠন ও কার্যকারিতাকে নিশ্চিত করে।
৬. ভবিষ্যৎ বিকাশের ভিত্তি: গর্ভকালীন মস্তিষ্কের বিকাশ শিশুর জন্মোত্তর চিন্তা, আবেগ, শেখা ও আচরণের সক্ষমতা নির্ধারণ করে, যা সুস্থ জীবনযাপনের মূল চাবিকাঠি।

0
Updated: 23 hours ago
গৃহ ব্যবস্থাপনায় সংগঠন বলতে কি বোঝায়?
Created: 1 day ago
A
কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন
B
কাজের সাফল্য ও ব্যর্থতা পরিমাপ
C
পারিবারিক মূলাবোধের সর্বোচ্চ ব্যবহার
D
গৃহে সবার মধ্যে কর্ম বন্টন ও সমন্বয় সাধন
গৃহ ব্যবস্থাপনায় সংগঠন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যার মাধ্যমে পরিকল্পনাকে বাস্তবে কার্যকর করার জন্য পরিবারে শ্রম, সম্পদ ও সময়কে সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যস্ত করা হয়। এটি পরিবারের দক্ষতা বৃদ্ধি ও লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।
১. কর্ম বণ্টন (Division of Work): পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের যোগ্যতা, আগ্রহ ও সময় অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়, যাতে সবাই নিজ নিজ দায়িত্বে কার্যকরভাবে অবদান রাখতে পারে।
২. দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব নির্ধারণ: কে কোন কাজ করবে এবং সেই কাজের জন্য কে দায়িত্ব নেবে তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়। এতে দায়িত্বজ্ঞান বাড়ে ও বিভ্রান্তি কমে।
৩. সমন্বয় সাধন (Coordination): পরিবারের সব সদস্যের কাজ যেন একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, সে জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়া জরুরি। সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিবারের সব প্রচেষ্টা একটি অভিন্ন লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।
৪. কার্যকর যোগাযোগ: সংগঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো স্পষ্ট ও ইতিবাচক যোগাযোগ, যা ভুল বোঝাবুঝি কমিয়ে পারিবারিক ঐক্য বজায় রাখে।
৫. সম্পদ ব্যবস্থাপনা: মানবশক্তি ছাড়াও সময়, অর্থ ও উপকরণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে একটি।
৬. ফলাফল মূল্যায়ন: নির্ধারিত কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনে পরিবর্তন আনার মাধ্যমেও সংগঠন কার্যকর রাখা যায়।

0
Updated: 1 day ago
পোশাকের ক্ষেত্রে কোনটি গঠনমূলক নকশা?
Created: 11 hours ago
A
বোতাম, ঝালর, লেস
B
বিভিন্ন রং এর সমন্বয়
C
কলার, কুচি, প্লিট
D
আড়াআড়ি, লম্ব ও কৌনিক রেখার ব্যবহার
পোশাকের নকশা মূলত দুই প্রকার— গঠনমূলক নকশা (Structural Design) এবং সজ্জিত নকশা (Decorative Design)। এ দুটি নকশা পোশাকের সৌন্দর্য, ব্যবহারিকতা ও দৃষ্টিনন্দনতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
গঠনমূলক নকশা (Structural Design): এটি পোশাকের মূল আকৃতি, কাঠামো ও কার্যকারিতা থেকে উদ্ভূত নকশা। অর্থাৎ, পোশাক তৈরির সময় যে উপাদানগুলো সরাসরি এর আকার, ফিটিং ও কার্যকর দিক নির্ধারণ করে, সেগুলিই গঠনমূলক নকশার অংশ।
-
উদাহরণ: কলার, কাফ, পকেট, শোল্ডার প্যাড, কুচি, প্লিট, ডার্ট, সেলাই রেখা (Seam Lines)।
-
এগুলির মাধ্যমে পোশাক পায় একটি ত্রিমাত্রিক (Three-dimensional) রূপ ও সঠিক বডি ফিটিং।
-
এই নকশা পোশাকের গঠনকে দৃঢ় করে ও ব্যবহারিক দিক নিশ্চিত করে।
-
-
সজ্জিত নকশা (Decorative Design): এটি পোশাকের উপরে অতিরিক্তভাবে যোগ করা অলঙ্করণমূলক উপাদান, যা কেবল সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এর ফলে পোশাকের গঠন বা কার্যকারিতায় কোনো পরিবর্তন আসে না।
-
উদাহরণ: ঝালর, লেস, সূচিকর্ম (Embroidery), প্রিন্ট, বিভিন্ন রঙের সংযোজন, বোতাম (যদি তা কেবল সৌন্দর্যের জন্য ব্যবহার হয়)।
-
এই নকশা পোশাকে বৈচিত্র্য ও নান্দনিকতা যোগ করে।
-
-
মূল পার্থক্য: গঠনমূলক নকশা পোশাকের মূল কাঠামো নির্ধারণ করে, আর সজ্জিত নকশা তার বাহ্যিক রূপকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
-
প্রাসঙ্গিক উদাহরণ: প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে কলার, কুচি এবং প্লিট পোশাকের আকৃতি ও বডি ফিটিং-এর জন্য অপরিহার্য উপাদান, তাই এগুলো গঠনমূলক নকশার অন্তর্গত।

0
Updated: 11 hours ago
কাদের পোশাকে 'ভি’ এবং 'ইউ’ আকৃতির গলা মানানসই?
Created: 11 hours ago
A
যাদের গ্রীবা খাটো
B
যাদের মুখের আকৃতি লম্বা
C
যাদের মুখের আকৃতি গোল
D
যাদের গ্রীবা লম্বা
মানুষের মুখের গঠন বিভিন্ন রকমের হতে পারে—লম্বা, গোল, চারকোনা এবং ডিম্বাকৃতি। এর মধ্যে ডিম্বাকৃতি মুখ সবচেয়ে আদর্শ বলে ধরা হয়, কারণ এই আকৃতির সঙ্গে প্রায় সব ধরনের পোশাকের গলার নকশা মানানসই হয়। মুখের গঠন অনুযায়ী সঠিক গলার নকশা নির্বাচন করলে সৌন্দর্য আরও ফুটে ওঠে এবং ভারসাম্যপূর্ণ চেহারা বজায় থাকে।
১. ডিম্বাকৃতি মুখ: সব ধরনের গলার নকশা যেমন—গোল, ভি, ইউ, স্কয়ার—সহজেই মানিয়ে যায়।
২. চারকোনা ও গোল মুখ: এ ধরনের মুখে ‘ভি’ আকৃতি ও ‘ইউ’ আকৃতি গলার নকশা বেশি মানানসই, কারণ এগুলো মুখকে লম্বা ও সরু দেখায়।
৩. লম্বা মুখ: ছোট গলার নকশা বা উঁচু কলারযুক্ত পোশাক ভালো মানায়, যা গ্রীবার সরু ভাব ঢেকে মুখের দৈর্ঘ্যকে ভারসাম্যপূর্ণ করে।
৪. মুখের আকৃতির সঙ্গে সঠিক পোশাকের নকশা নির্বাচন শুধুমাত্র সৌন্দর্য বাড়ায় না, বরং ব্যক্তিত্বকেও আরও আকর্ষণীয়ভাবে প্রকাশ করে।

0
Updated: 11 hours ago