কোনটি স্বেচ্ছা সঞ্চয়?
A
পেনশন
B
প্রভিডেন্ড ফান্ড
C
জীবন বীমা
D
গ্র্যাচুইটি
উত্তরের বিবরণ
স্বেচ্ছা সঞ্চয় হলো এমন একটি ব্যক্তিগত আর্থিক সিদ্ধান্ত, যেখানে ব্যক্তি নিজের ইচ্ছা ও সামর্থ্য অনুযায়ী ভবিষ্যতের নিরাপত্তা বা প্রয়োজন পূরণের জন্য অর্থ সঞ্চয় করেন। এই সঞ্চয় কোনো সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মে বাধ্যতামূলক নয়, বরং সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তির সচেতন পরিকল্পনার ফল।
-
জীবন বীমা (Life Insurance): এটি একটি স্বেচ্ছা সঞ্চয় পদ্ধতি, যেখানে ব্যক্তি নিজের ও পরিবারের ভবিষ্যৎ আর্থিক সুরক্ষার কথা ভেবে নিজ উদ্যোগে প্রিমিয়াম প্রদান করেন। এটি বাধ্যতামূলক নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এক মাধ্যম।
-
পেনশন (Pension): এটি সাধারণত সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বাধ্যতামূলক সঞ্চয় ব্যবস্থা, যা চাকরি শেষে অবসরকালীন ভাতা হিসেবে প্রদান করা হয়।
-
প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund - PF): এটি চাকরির শর্ত অনুযায়ী নিয়োগকর্তা ও কর্মচারী উভয়ের যৌথ অবদানে গঠিত, এবং চাকরির সময়ে এটি বাধ্যতামূলকভাবে কেটে রাখা হয়।
-
গ্র্যাচুইটি (Gratuity): এটি চাকরির নির্দিষ্ট মেয়াদ পূরণের পর নিয়োগকর্তার পক্ষ থেকে প্রদত্ত এককালীন অর্থ, যা কোনো সঞ্চয় নয় বরং একটি পুরস্কার বা সুবিধা হিসেবে বিবেচিত।
-
স্বেচ্ছা সঞ্চয় সাধারণত ব্যক্তির আত্মনিয়ন্ত্রণ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও আর্থিক সচেতনতার প্রতিফলন, যা ব্যক্তি ও পরিবারের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।

0
Updated: 23 hours ago
নিয়ন্ত্রনের ধাপ কোনটি
Created: 11 hours ago
A
কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন
B
পর্যবেক্ষণ
C
কর্ম বিন্যাস
D
প্রশিক্ষণ
প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ (Control) হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যা নিশ্চিত করে যে কাজগুলো নির্ধারিত মান ও লক্ষ্য অনুযায়ী সম্পন্ন হচ্ছে। এটি কর্মসম্পাদনের গুণমান, অগ্রগতি এবং বিচ্যুতি শনাক্ত করে সেগুলোর সমাধান নির্ধারণে সহায়তা করে।
-
শক্তি প্রয়োগ বা সক্রিয়করণ (Activating/Energizing): কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ, জনবল ও শক্তি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়।
-
পর্যবেক্ষণ (Checking/Monitoring): এটি নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার মূল ধাপ। এখানে কাজের অগ্রগতি ও মান নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপ করা হয় এবং নির্ধারিত মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
-
নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় সাধন (Adjusting/Correcting): যদি কাজের মধ্যে কোনো ত্রুটি বা বিচ্যুতি পাওয়া যায়, তবে তা সংশোধন করে কাজকে পুনরায় পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়ে আসা হয়।
-
ফলাফল বিশ্লেষণ: এই ধাপে কাজের ফলাফল ও মান বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার উন্নয়ন করা হয়।
-
প্রতিক্রিয়া (Feedback): নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার শেষে প্রাপ্ত তথ্য পরবর্তী পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে, যা নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন ও মান রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 11 hours ago
গৃহ সম্পদের বৈশিষ্ট কোনটি?
Created: 11 hours ago
A
সম্পদের আয়ত্বাধীনতা
B
পরস্পর নির্ভরশীলতা
C
ব্যবহারের অফুরন্ত সুযোগ
D
সম্পদের অসীমতা
গৃহ সম্পদের বৈশিষ্ট্যগুলো এমন কিছু গুণ যা পরিবারকে তার চাহিদা পূরণ ও লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। প্রতিটি সম্পদের নির্দিষ্ট কার্যকারিতা, ব্যবহারযোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানো সম্ভব।
-
উপযোগী (Utility): সম্পদের মূল গুণ হলো এটি মানুষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানির উপযোগিতা বেশি, কারণ তখন তা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন পূরণ করে।
-
আয়ত্তাধীন (Accessibility): কোনো সম্পদ ব্যবহারের জন্য সেটি পরিবারের নিয়ন্ত্রণ বা মালিকানার আওতায় থাকা জরুরি। যেমন—নিজস্ব জমি, বাড়ি বা অর্থ কেবল তখনই কাজে লাগানো যায় যখন তা পরিবারের আওতায় থাকে।
-
সীমাবদ্ধতা (Limitation): সব সম্পদই পরিমাণ ও গুণগত দিক থেকে সীমিত। যেমন—সময়, শক্তি ও অর্থ সবসময় পর্যাপ্ত নয়, তাই এগুলোর সঠিক পরিকল্পনা ও বণ্টন প্রয়োজন।
-
পরস্পর পরিবর্তনশীল (Inter-changeability): সম্পদকে প্রয়োজনে বিকল্প কাজে ব্যবহার বা রূপান্তর করা যায়। যেমন—পুরনো জামা দিয়ে কাঁথা বা ব্যাগ তৈরি করা সম্পদের সৃজনশীল ব্যবহার নির্দেশ করে।
-
পরিচালনা যোগ্যতা (Manageability): সম্পদের পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা করলে পারিবারিক লক্ষ্য সহজে অর্জন করা যায়। কার্যকর ব্যবস্থাপনা পরিবারে অর্থনৈতিক স্থিতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
-
অতিরিক্ত তথ্য: গৃহ সম্পদের মধ্যে সময়, শ্রম, অর্থ, দক্ষতা ও সামগ্রী—সবই পরস্পর নির্ভরশীল। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এগুলো পরিবারের কল্যাণ ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।

0
Updated: 11 hours ago
প্রারম্ভিক শৈশবকালে শিশু পরিচালনার ক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানীদের নির্দেশিকা কোনটি?
Created: 11 hours ago
A
ইতিবাচক নির্দেশ প্রদান করা
B
অন্যের সাথে প্রতিযোগিতায় নামানো
C
কাজে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করা
D
শিশুর পছন্দের বিষয়কে সর্বোচ্চ প্রধান্য দেয়া
প্রারম্ভিক শৈশবকাল সাধারণত ১৮ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময়ে শিশুর মানসিক, সামাজিক ও শারীরিক বিকাশ দ্রুত ঘটে। মনোবিজ্ঞানী এরিক এরিকসনের মনোসামাজিক বিকাশ তত্ত্ব অনুযায়ী, এটি “autonomy vs. shame and doubt” পর্যায়, যেখানে শিশুর মধ্যে স্বনির্ভরতা (autonomy) গড়ে ওঠে। এই পর্যায়ে অভিভাবকরা যদি শিশুকে নিজে খাওয়া, পোশাক পরা বা খেলার সুযোগ দেয়, তবে তার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং লজ্জা বা সন্দেহ কমে।
১. এই সময়ে শিশু বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করে, যা তার ভবিষ্যৎ বিকাশে ভূমিকা রাখে।
২. শৈশবে নতুন সামাজিক প্রত্যাশা উদ্ভব হয়, যা শিশুর আগ্রহ, মূল্যবোধ ও আচরণে পরিবর্তন আনে।
৩. শিশুর মধ্যে সমাজ ও পরিবেশ সম্পর্কে মৌলিক ধারণা গঠিত হয়।
৪. সে ন্যায়-অন্যায়ের বোধ সম্পর্কে সচেতন হতে শুরু করে এবং আচরণে এর প্রতিফলন দেখা যায়।
৫. এই পর্যায়ের মূল কার্যাবলী হলো—
-
শক্ত খাবার খেতে শেখা
-
হাঁটতে শেখা
-
কথা বলতে শেখা
-
মূলমূত্র নিয়ন্ত্রণ করা শেখা
-
লেখাপড়া শুরু করার জন্য প্রস্তুত হওয়া

0
Updated: 11 hours ago