খাদ্যে উপস্থিত কোন উপাদানটি খাদ্য পচনের কারণ হতে পারে?
A
প্রোটিন
B
পানি
C
লবণ
D
স্নেহ
উত্তরের বিবরণ
খাদ্যে উপস্থিত পানি খাদ্য পচনের একটি মূল কারণ, কারণ এটি অণুজীব ও এনজাইমের কার্যক্রমকে সক্রিয় রাখে। পানির উপস্থিতি যত বেশি, খাদ্য তত দ্রুত নষ্ট হতে শুরু করে।
-
অণুজীবের বংশবৃদ্ধি: ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং ইস্ট-এর মতো অণুজীব খাদ্য পচনের জন্য দায়ী। এদের বেঁচে থাকা, সক্রিয় হওয়া এবং বংশবৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত আর্দ্রতা বা পানি অপরিহার্য। খাদ্যে পানির পরিমাণ যত বেশি থাকে, অণুজীবের বৃদ্ধি ও কার্যক্রম তত দ্রুত ঘটে।
-
এনজাইমের সক্রিয়তা: খাদ্য পচনের জন্য দায়ী এনজাইমসমূহের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্যও পানি প্রয়োজন। পানি এনজাইমকে সক্রিয় রাখে, ফলে তারা খাদ্যের প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ভেঙে ফেলে।
-
সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার মূলনীতি: খাদ্য সংরক্ষণের অধিকাংশ পদ্ধতি—যেমন শুকানো, লবণ দেওয়া, চিনি যোগ করা—সবই খাদ্যের পানির পরিমাণ কমানো বা পানির কার্যকারিতা হ্রাস করার ওপর নির্ভরশীল।
-
অতিরিক্ত প্রভাব: পানির উপস্থিতি শুধু অণুজীব নয়, বরং অক্সিডেশন বিক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করে, যা খাদ্যের রং, স্বাদ ও গুণমান নষ্ট করে।
-
উপসংহার: তাই খাদ্যের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা খাদ্য সংরক্ষণের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

0
Updated: 23 hours ago
প্রতিষ্ঠানিক খাদ্য ব্যবস্থাপনার সাথে কোন্ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট নয়?
Created: 1 day ago
A
খাদ্য গুদামজাতকরণ
B
খাদ্য সমৃদ্ধকরণ
C
মেনু পরিকল্পনা
D
খাদ্য পরিবশন
প্রতিষ্ঠানিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা হলো একটি বৃহৎ পরিসরের সংগঠিত প্রক্রিয়া, যেখানে খাদ্য ক্রয়, সংরক্ষণ, প্রস্তুত, পরিবেশন এবং সামগ্রিক পরিচালনা পদ্ধতিগতভাবে সম্পন্ন হয়। এটি সাধারণত হাসপাতাল, ছাত্রাবাস, ক্যান্টিন, রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হয়, যেখানে খাদ্যের মান, পুষ্টি ও দক্ষতা একসঙ্গে বজায় রাখা জরুরি।
-
খাদ্য গুদামজাতকরণ (Food Storage/Inventory Management): খাদ্য উপকরণ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে অপচয় ও নষ্ট হওয়া রোধ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য ব্যবহারের সময় উপকরণের ঘাটতি রোধ করা সম্ভব হয়।
-
মেনু পরিকল্পনা (Menu Planning): গ্রাহকের চাহিদা, পুষ্টিমূল্য, মৌসুমি উপাদান ও বাজেট বিবেচনায় খাদ্য তালিকা নির্ধারণ করা হয়। এটি ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, কারণ এখানেই খাদ্য ব্যবস্থার দিকনির্দেশনা স্থির হয়।
-
খাদ্য প্রস্তুত (Food Preparation): অভিজ্ঞ পাচক বা কর্মীদের দ্বারা সঠিক রেসিপি অনুসরণ করে খাদ্য তৈরি করা হয়। এখানে সময় বাঁচানোর চেয়ে খাদ্যের মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
-
খাদ্য পরিবেশন (Food Service/Presentation): প্রস্তুত খাদ্যকে সুষ্ঠুভাবে গ্রাহকের কাছে পরিবেশন করা হয়। উপস্থাপনা ও সৌন্দর্য গ্রাহকের সন্তুষ্টি বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে।
-
ব্যবস্থাপক নিয়োগ ও নেতৃত্ব: প্রতিষ্ঠানের আকার, উদ্দেশ্য ও নীতিমালা অনুসারে একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক নিয়োগ দেওয়া হয়, যিনি কর্মীদের পরিচালনা, অনুপ্রেরণা, মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব পালন করেন।
-
গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ: খাদ্য প্রস্তুত ও পরিবেশনের প্রতিটি ধাপে স্বাস্থ্যবিধি ও মান বজায় রাখা হয়, যাতে খাদ্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর থাকে।
-
দক্ষতা ও অর্থনৈতিক দিক: সীমিত বাজেটে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে কাজ করা হয়, যাতে প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রম দীর্ঘস্থায়ী ও লাভজনক হয়।

0
Updated: 1 day ago
আংশিক পচনশীল খাদ্য কোনগুলো?
Created: 1 day ago
A
মাংস, দুধ, পাকা ফল
B
ডাল, চিনি, গুড়া মশলা
C
মাছ, বীচি, দই
D
আলু, সবজি, বেকারি খাদ্য
খাদ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে খাদ্যবস্তুর প্রকৃতি ও নষ্ট হওয়ার গতির ওপর ভিত্তি করে এগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। এই শ্রেণিবিন্যাস খাদ্যের সংরক্ষণপদ্ধতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং খাদ্যের পুষ্টিগুণ রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
-
পচনশীল খাদ্য (Perishable Foods): এ ধরনের খাদ্য খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ রোধে শীতল পরিবেশে সংরক্ষণ অপরিহার্য। উদাহরণ—মাংস, মাছ, দুধ, পাকা ফল, তাজা শাকসবজি, রান্না করা খাবার ইত্যাদি। এদের সংরক্ষণে সাধারণত রেফ্রিজারেশন বা ফ্রিজিং ব্যবহার করা হয়।
-
আংশিক পচনশীল খাদ্য (Semi-Perishable Foods): এই খাদ্যগুলো সীমিত সময়ের জন্য ভালো থাকে—সাধারণত কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত। সময়ের সাথে সাথে এর গুণগত মান কমে যায়, তবে সম্পূর্ণ নষ্ট হয় না। উদাহরণ—আলু, পেঁয়াজ, গাজর, মিষ্টি আলু, ডিম, মাখন, পনির, রুটি, বিস্কুট, আটা, ডাল ও শস্যদানা। এই খাদ্যগুলোর জন্য শুষ্ক, ঠান্ডা ও বাতাস চলাচল উপযোগী পরিবেশে সংরক্ষণ উপযুক্ত।
-
অপচনশীল খাদ্য (Non-Perishable Foods): এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণযোগ্য এবং তাপমাত্রার পরিবর্তনে সহজে নষ্ট হয় না। উদাহরণ—চাল, গম, শুকনো ডাল, লবণ, চিনি, শুকনো মশলা, টিনজাত খাদ্য ইত্যাদি। এদের সংরক্ষণের জন্য বায়ুরোধী পাত্র ও আর্দ্রতামুক্ত স্থান সবচেয়ে উপযুক্ত।
-
অতিরিক্তভাবে বলা যায়, খাদ্য সংরক্ষণের মান বাড়াতে উপযুক্ত তাপমাত্রা, আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অপরিহার্য। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে খাদ্যের অপচয় কমে এবং পুষ্টিমান বজায় থাকে।

0
Updated: 1 day ago
কোন খাদ্যগুচ্ছটি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে?
Created: 11 hours ago
A
রুই মাছ, ছোট মুরগীর মাংস
B
ঘি, চিনা বাদাম
C
পেয়ারা, আপেল
D
মুড়ি, রুটি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) শক্তিশালী রাখার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান হলো ভিটামিন সি (Vitamin C)। এটি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে, সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
পেয়ারা ও আপেল:
-
পেয়ারা হলো ভিটামিন সি-এর অন্যতম সেরা উৎস, যা শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে শরীরের সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
আপেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা কোষকে মুক্ত মৌল (free radicals) থেকে রক্ষা করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
-
-
ভিটামিন সি-এর ভূমিকা: এটি শরীরে ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, প্রদাহ কমায় এবং ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি লৌহ (Iron) শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে।
-
অন্যান্য বিকল্পের পুষ্টিগুণ:
-
রুই মাছ, ছোট মুরগীর মাংস: এগুলো মূলত প্রোটিনের উৎস, যা কোষের বৃদ্ধি ও মেরামতে সহায়তা করে।
-
ঘি, চিনা বাদাম: এগুলো স্নেহ (Fat) সরবরাহ করে, যা শক্তির উৎস এবং কিছু ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন শোষণে সহায়তা করে।
-
মুড়ি, রুটি: এগুলো শর্করা (Carbohydrate) সরবরাহ করে, যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান করে।
-
সুতরাং, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পেয়ারা, আপেল, লেবু, কমলা ও অন্যান্য ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সর্বাধিক উপকারী।

0
Updated: 11 hours ago