অতিরক্ষিত সন্তানের ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য?
A
শিশুসুলভ আচরণের দীর্ঘ মেয়াদ
B
স্বাধীনচেতা মনোভাব
C
আক্রমনাত্মক আচরণ
D
নির্দেশ অমান্য করার প্রবনতা
উত্তরের বিবরণ
অতিরিক্ত রক্ষিত সন্তানরা সাধারণত এমন একটি পরিবেশে বেড়ে ওঠে যেখানে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়া বা সমস্যার সমাধান করার সুযোগ খুব সীমিত থাকে। এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা তাদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে এবং শিশুসুলভ আচরণ দীর্ঘ সময় ধরে বজায় থাকে।
-
আবেগীয় নির্ভরশীলতা: এরা নিজেদের আবেগ ও সিদ্ধান্তের জন্য সবসময় অন্যের ওপর নির্ভর করে, বিশেষত পিতা-মাতা বা অভিভাবকের উপর।
-
আত্মবিশ্বাসের অভাব: যেহেতু তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত নয়, তাই নতুন বা কঠিন পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।
-
অস্বাধীনতা ও সিদ্ধান্তহীনতা: নিজের জীবন ও কর্মকাণ্ডে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা গড়ে ওঠে না, ফলে তারা প্রায়ই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বা ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।
-
সমস্যা সমাধানে দুর্বলতা: ছোট-বড় যে কোনো সমস্যার সমাধানে তারা অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভর করে, যার ফলে বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়।
-
শিশুসুলভ আচরণের স্থায়িত্ব: তারা বয়স বাড়লেও আচরণে শিশুসুলভ বৈশিষ্ট্য (যেমন—অতিরিক্ত বায়না ধরা, সহজ কাজ করতে অনীহা, আবেগপ্রবণতা) বজায় রাখে।
-
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব: এই ধরনের লালনপালন ভবিষ্যতে তাদের সামাজিক অভিযোজন, কর্মজীবন ও সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করে, কারণ তারা স্বাধীনভাবে চিন্তা ও কাজ করতে অভ্যস্ত হয় না।

0
Updated: 23 hours ago
কোনটি ফ্যাশন চক্রের ধাপ?
Created: 1 day ago
A
প্রসার → প্রবর্তন → বিলুপ্তি
B
প্রবর্তন → বিলুপ্তি → প্রসার
C
প্রসার → বিলুপ্তি → প্রবর্তন
D
প্রবর্তন → প্রসার → বিলুপ্তি
ফ্যাশন চক্র হলো কোনো নির্দিষ্ট পোশাক, স্টাইল বা নকশার জনপ্রিয়তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটি দেখায় কীভাবে একটি নতুন ফ্যাশন সমাজে প্রবেশ করে, জনপ্রিয় হয় এবং সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যায়।
১. প্রবর্তন (Introduction) – এই ধাপে নতুন ফ্যাশন বা স্টাইল প্রথমবারের মতো বাজারে আসে। এটি সাধারণত ফ্যাশন ডিজাইনার, মডেল বা ট্রেন্ড-সচেতন অল্পসংখ্যক মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। দাম তুলনামূলক বেশি থাকে এবং জনসাধারণের আগ্রহ তখনও সীমিত থাকে।
২. প্রসার (Growth/Peak/Acceptance) – ফ্যাশনটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পায়। উৎপাদন বাড়ে, দাম তুলনামূলকভাবে কমে, এবং এটি মূলধারার ফ্যাশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। এই সময়েই ফ্যাশন তার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছায়।
৩. বিলুপ্তি (Decline/Obsolescence) – সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশনের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। নতুন স্টাইল আসার ফলে পুরনো ফ্যাশন ধীরে ধীরে অপ্রচলিত হয়ে বাজার থেকে হারিয়ে যায়।
এই চক্রের মাধ্যমে বোঝা যায়, ফ্যাশন একটি গতিশীল ও পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়া, যা সমাজ, সংস্কৃতি ও সময়ের প্রভাবের ওপর নির্ভর করে।

0
Updated: 1 day ago
একটি পরিবারের বাবা, মা ও চার জন শিক্ষার্থী সন্তান রয়েছে। তাদের মাসিক আয় ৫০,০০০ টাকা হলে খাদ্য+বাসস্থান খাতে কত টাকা বাজেট বরাদ্দ যুক্তিযুক্ত হবে?
Created: 11 hours ago
A
১৫,০০০ টাকা + ৫,০০০ টাকা= ২০ হাজার টাকা
B
৩০,০০০ টাকা + ১০,০০০ টাকা= ৪০ হাজার টাকা
C
১০,০০০ টাকা + ১০,০০০ টাকা= ২০ হাজার টাকা
D
১৫,০০০ টাকা + ১৫,০০০ টাকা= ৩০ হাজার টাকা
যখন কোনো পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যের সংখ্যা উপার্জনকারী সদস্যের তুলনায় বেশি হয়, বিশেষ করে যদি সেখানে একাধিক শিক্ষার্থী সন্তান থাকে, তখন পরিবারের মোট আয়ের বেশিরভাগ অংশ মৌলিক চাহিদা যেমন খাদ্য ও বাসস্থান খাতে ব্যয় হওয়া স্বাভাবিক। এটি গৃহ ব্যবস্থাপনার বাজেট প্রণয়নের মৌলিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
-
পরিবারের সদস্য সংখ্যা: মোট ৬ জন — ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৪ জন শিশু/শিক্ষার্থী।
-
মাসিক মোট আয়: ৫০,০০০ টাকা।
-
খাদ্য খাতে ব্যয়: মোট আয়ের ৩০%, অর্থাৎ ৫০,০০০ × ০.৩০ = ১৫,০০০ টাকা।
-
বাসস্থান খাতে ব্যয়: মোট আয়ের ৩০%, অর্থাৎ ৫০,০০০ × ০.৩০ = ১৫,০০০ টাকা।
-
মোট ব্যয়: এই দুই খাতে ব্যয় হবে মোট ৬০%, অর্থাৎ (১৫,০০০ + ১৫,০০০) = ৩০,০০০ টাকা।
এই হিসাব অনুযায়ী, পরিবারের আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা নিম্ন-মধ্যবিত্ত বা নির্ভরশীল সদস্যসংখ্যা বেশি এমন পরিবারের সাধারণ অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। এছাড়া, অবশিষ্ট ৪০% আয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, পোশাক ও সঞ্চয় খাতে সুষমভাবে বণ্টন করা প্রয়োজন যাতে পরিবারটি আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে।

0
Updated: 11 hours ago
কক্ষে দেয়াল ও বাতির রং এক হলে রং এর তীব্রতা -
Created: 1 day ago
A
হ্রাস পায়
B
বৃদ্ধি পায়
C
পরিবর্তন হয় না
D
সামান্য হ্রাস পায়
যখন দেয়ালের রং এবং আলোর রং একই বা একই বর্ণপরিবারের হয়, তখন দেয়ালের রং আরও উজ্জ্বল ও গাঢ় দেখা যায়। এর মূল কারণ হলো আলো ও বস্তুর রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পারস্পরিক সামঞ্জস্য, যা প্রতিফলনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
-
রঙের প্রতিফলন নীতি অনুযায়ী, কোনো বস্তু তার নিজের রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলিত করে এবং অন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করে।
-
যখন বাতির রং ও দেয়ালের রং একই হয়, তখন দেয়াল সেই নির্দিষ্ট রঙের আলো সর্বাধিক পরিমাণে প্রতিফলিত করে।
-
এই প্রতিফলনের ফলে রঙের তীব্রতা (Intensity) ও উজ্জ্বলতা (Saturation) উভয়ই বৃদ্ধি পায়।
-
উদাহরণস্বরূপ, লাল দেয়ালের ওপর লাল আলো ফেললে, অন্য রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষিত হয় এবং কেবল লাল আলোই প্রতিফলিত হয়, ফলে রং আরও গভীর ও সমৃদ্ধ দেখায়।
-
এটি Color Amplification নামে পরিচিত একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একই রঙের আলো বস্তুর রংকে আরও তীব্রভাবে ফুটিয়ে তোলে।
-
এই কারণে এমন পরিবেশে রঙের গভীরতা ও দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি পায়, যা চোখে বেশি উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত মনে হয়।

0
Updated: 1 day ago