বর্ণ আভা কোনটি?
A
লাল+নীল=বেগুনী
B
লাল+কালো+মেরুন
C
লাল+হলুদ=কমলা
D
লাল+সাদা=গোলাপী
উত্তরের বিবরণ
রঙের জগতে মৌলিক, গৌণ, প্রান্তিক ও শেড–টিন্টের ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলোর মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের রঙ তৈরি ও চিত্রকলায় ব্যবহার করা সম্ভব হয়। প্রতিটি রঙের ধরন নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং শিল্প, নকশা বা পোশাক নির্মাণে তা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
১. মৌলিক রং: লাল, হলুদ ও নীল এই তিনটি মৌলিক রং অন্য কোনো রঙের সংমিশ্রণে তৈরি করা যায় না। এদের মাধ্যমেই অন্যান্য সব রঙের জন্ম হয়।
২. গৌণ বা মিশ্র রং: দুটি মৌলিক রং সমপরিমাণে মিশিয়ে গৌণ বা মাধ্যমিক রং তৈরি করা হয়। উদাহরণ—
-
লাল + হলুদ = কমলা
-
নীল + হলুদ = সবুজ
-
লাল + নীল = বেগুনি
৩. প্রান্তিক রং: একটি মৌলিক রং ও একটি মাধ্যমিক রং মিশিয়ে প্রান্তিক রং তৈরি হয়। উদাহরণ— -
লাল + বেগুনি = লালচে বেগুনি
-
হলুদ + কমলা = হলুদাভ কমলা
-
নীল + সবুজ = নীলাভ সবুজ
৪. শেড (Shade): কোনো রঙের সঙ্গে কালো মেশালে যে গাঢ় রং তৈরি হয়, তাকে শেড বলা হয়। যেমন—লাল + কালো = মেরুন।
৫. টিন্ট (Tint) বা বর্ণ আভা: কোনো রঙের সঙ্গে সাদা মেশালে যে হালকা রং সৃষ্টি হয়, তাকে টিন্ট বলা হয়। যেমন—লাল + সাদা = গোলাপী।
৬. রঙের ভারসাম্য ও সৃজনশীলতা: এই মৌলিক নীতিগুলির সাহায্যে অসংখ্য নতুন রঙের সংমিশ্রণ তৈরি করা যায়, যা চিত্রকলা, পোশাক নকশা ও অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায় সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ দেয়।

0
Updated: 23 hours ago
কাপড়ের শুষ্ক ধৌতকরণ পদ্ধতিতে কোন নিয়মটি পালন করতে হবে?
Created: 1 day ago
A
কাছাকাছি আগুন না রাখা
B
আবন্ধ স্থানে ধৌত করা
C
অধিক পানি ব্যবহার করা
D
রোদ্রের উপস্থিতিতে ধৌত করা
শুষ্ক ধৌতকরণ একটি বিশেষ ধরণের পরিস্কার পদ্ধতি, যেখানে পানির পরিবর্তে জৈব দ্রাবক (organic solvent) ব্যবহার করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় কাপড়ের গঠন অক্ষুণ্ণ রেখে ময়লা ও তেলজাত দাগ কার্যকরভাবে দূর করা যায়, তবে এতে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বিদ্যমান।
১. শুষ্ক ধৌতকরণে সাধারণত পারক্লোরোইথিলিন (Perchloroethylene) বা অনুরূপ জৈব দ্রাবক ব্যবহৃত হয়, যা কাপড়ের আঁশে পানি শোষণের ঝুঁকি কমায়।
২. এই দ্রাবকগুলো অত্যন্ত দাহ্য (Highly Flammable), ফলে অল্প তাপ বা স্পার্ক পেলেও সহজেই আগুন ধরে যেতে পারে।
৩. দ্রাবকের বাষ্প বিস্ফোরণযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে পারে, তাই শুষ্ক ধৌতকরণ কক্ষে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক।
৪. নিরাপত্তার জন্য কাজের স্থানের আশেপাশে আগুন, ধূমপান, বৈদ্যুতিক স্পার্ক বা উচ্চ তাপের উৎস রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৫. শ্রমিকদের প্রতিরক্ষামূলক পোশাক, গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করা উচিত, যাতে দ্রাবকের সংস্পর্শে শ্বাসযন্ত্র বা ত্বকের ক্ষতি না হয়।
৬. ব্যবহৃত দ্রাবক পুনঃব্যবহারের আগে বিশুদ্ধকরণ (Distillation) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিল্টার করা প্রয়োজন, যাতে পরিবেশ দূষণ কমে এবং দ্রাবকের কার্যকারিতা বজায় থাকে।
এইভাবে শুষ্ক ধৌতকরণ পদ্ধতি কার্যকর হলেও সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুসরণ না করলে তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

0
Updated: 1 day ago
কক্ষে দেয়াল ও বাতির রং এক হলে রং এর তীব্রতা -
Created: 1 day ago
A
হ্রাস পায়
B
বৃদ্ধি পায়
C
পরিবর্তন হয় না
D
সামান্য হ্রাস পায়
যখন দেয়ালের রং এবং আলোর রং একই বা একই বর্ণপরিবারের হয়, তখন দেয়ালের রং আরও উজ্জ্বল ও গাঢ় দেখা যায়। এর মূল কারণ হলো আলো ও বস্তুর রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পারস্পরিক সামঞ্জস্য, যা প্রতিফলনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
-
রঙের প্রতিফলন নীতি অনুযায়ী, কোনো বস্তু তার নিজের রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলিত করে এবং অন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করে।
-
যখন বাতির রং ও দেয়ালের রং একই হয়, তখন দেয়াল সেই নির্দিষ্ট রঙের আলো সর্বাধিক পরিমাণে প্রতিফলিত করে।
-
এই প্রতিফলনের ফলে রঙের তীব্রতা (Intensity) ও উজ্জ্বলতা (Saturation) উভয়ই বৃদ্ধি পায়।
-
উদাহরণস্বরূপ, লাল দেয়ালের ওপর লাল আলো ফেললে, অন্য রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষিত হয় এবং কেবল লাল আলোই প্রতিফলিত হয়, ফলে রং আরও গভীর ও সমৃদ্ধ দেখায়।
-
এটি Color Amplification নামে পরিচিত একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একই রঙের আলো বস্তুর রংকে আরও তীব্রভাবে ফুটিয়ে তোলে।
-
এই কারণে এমন পরিবেশে রঙের গভীরতা ও দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি পায়, যা চোখে বেশি উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত মনে হয়।

0
Updated: 1 day ago
একজন রি-অ্যাকটিভ তরুণের মধ্যে কোন বৈশিষ্ট্যটি দেখা যায়?
Created: 1 day ago
A
ধৈর্যশীল
B
আবেগ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা
C
হঠাৎ রেগে যাওয়া
D
অসামাজিক আচরণ
রি-অ্যাকটিভ তরুণ এমন ব্যক্তি, যিনি বাইরের পরিস্থিতি বা ঘটনার প্রতি দ্রুত আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা সাধারণত চিন্তা-ভাবনা না করে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়, যার ফলে তাদের আচরণ প্রায়ই অস্থির ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে ওঠে।
১. পরিস্থিতিনির্ভর প্রতিক্রিয়া: রি-অ্যাকটিভ তরুণ নিজের চিন্তা বা যুক্তির চেয়ে বাইরের ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হয়; অর্থাৎ পরিস্থিতিই তাদের আচরণ নির্ধারণ করে।
২. আবেগপ্রবণতা: তারা হঠাৎ রেগে যায় বা মনোভাব পরিবর্তন করে ফেলে। তাদের সিদ্ধান্ত ও আচরণ আবেগের বশে ঘটে, ফলে তারা পরবর্তীতে অনুতপ্ত হতে পারে।
৩. আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব: তারা আবেগ ও রাগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বল, যার ফলে সম্পর্ক ও সামাজিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
৪. তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া: চিন্তা বা বিশ্লেষণের সময় না নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো তাদের স্বভাবের অংশ।
৫. ব্যক্তিত্বগত প্রভাব: এই ধরনের আচরণ আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, মানসিক চাপ, বা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
৬. সামাজিক ও মানসিক ফলাফল: রি-অ্যাকটিভ আচরণের ফলে ব্যক্তি প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝি, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং মানসিক অস্থিরতার শিকার হয়।

0
Updated: 1 day ago