কোনটি নৈরাশ্যজনিত ক্লান্তির কারণ?
A
দেহে ল্যাকটিক এসিড উৎপাদন
B
দেহ ভঙ্গিমার সঠিক ব্যবহার না করা
C
মধ্যাকর্ষণ বলের বিরুদ্ধে কাজ করা
D
কাজের প্রশংসীত না হওয়া
উত্তরের বিবরণ
ক্লান্তি হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে ব্যক্তি শারীরিক বা মানসিকভাবে কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে। এটি মূলত শরীর ও মনের অতিরিক্ত চাপের ফল। ক্লান্তিকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়—শারীরিক ক্লান্তি (Physiological Fatigue) এবং মানসিক বা নৈরাশ্যজনিত ক্লান্তি (Psychological/Frustration Fatigue)।
-
শারীরিক ক্লান্তি: এটি অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা কর্মচাপের কারণে ঘটে। এর প্রধান কারণ হলো পেশীতে ল্যাকটিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি, যা রক্তপ্রবাহে জমে শরীরে ব্যথা, অবসাদ ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই অবস্থায় শরীরের শক্তি কমে যায় এবং বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে কাজ করা, ভারী ওজন তোলা বা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব এই ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
-
নৈরাশ্যজনিত ক্লান্তি (Psychological Fatigue): এটি মানসিক চাপে উৎপন্ন ক্লান্তি, যেখানে মানুষের আগ্রহ, প্রেরণা ও আত্মবিশ্বাস হ্রাস পায়। এর পেছনে একঘেয়েমি, মানসিক চাপ, কাজের স্বীকৃতি না পাওয়া, বা পর্যাপ্ত উৎসাহের অভাব ভূমিকা রাখে। এই ক্লান্তিতে শারীরিক কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন না ঘটলেও ব্যক্তি মনোবল হারিয়ে ফেলে এবং কাজের প্রতি অনীহা অনুভব করে।
-
এই দুই ধরনের ক্লান্তি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কারণ মানসিক অবসাদ শারীরিক কর্মক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে, আর দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক ক্লান্তি মানসিক নৈরাশ্যের কারণ হতে পারে।
-
ক্লান্তি দূর করতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, মানসিক প্রশান্তি, স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রদান, এবং নিয়মিত জীবনধারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 23 hours ago
বাহ্যিক দৃষ্টিতে কোন রং দেহের আয়তন হ্রাস করে?
Created: 1 day ago
A
লাল
B
নীল
C
হলুদ
D
কমলা
নীল রং বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেহের আয়তন কমিয়ে দেখায়, কারণ এটি শীতল রং (Cool Color) হিসেবে আলো কম প্রতিফলিত করে এবং বস্তুকে চোখে পিছনে সরিয়ে ছোট দেখানোর ভ্রম সৃষ্টি করে। মানুষের দৃষ্টিভ্রমে রঙের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, এবং রঙকে সাধারণত দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়।
-
উষ্ণ রং (Warm Colors): যেমন লাল, কমলা, হলুদ ইত্যাদি। এই রংগুলো চোখে সামনের দিকে এগিয়ে আসার ভ্রম তৈরি করে। ফলে কোনো বস্তু বা দেহ আসল আকারের তুলনায় বড় বা স্থূল দেখায়।
-
শীতল রং (Cool Colors): যেমন নীল, সবুজ, বেগুনি ইত্যাদি। এই রংগুলো দৃষ্টিতে পিছনের দিকে সরে যাওয়া বা সঙ্কুচিত হওয়ার অনুভূতি সৃষ্টি করে, ফলে কোনো বস্তুকে বা দেহকে ছোট ও সরু দেখায়।
-
নীল রং যেহেতু আলো কম প্রতিফলিত করে, তাই এটি তুলনামূলকভাবে শান্ত, স্থির ও ঠান্ডা প্রভাব সৃষ্টি করে।
-
এই কারণেই ফ্যাশন, অভ্যন্তরীণ নকশা ও চিত্রকলায় নীল ও অন্যান্য শীতল রং ব্যবহার করা হয় সঙ্কোচন, গভীরতা ও স্থিরতার অনুভূতি প্রকাশে।

0
Updated: 1 day ago
বাড়ীর নকশা পরিকল্পনায় কোনটি প্রযোজ্য নয়?
Created: 11 hours ago
A
খসড়া নকশা প্রণয়ন
B
ভূমি নির্বাচন
C
প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিবর্ধন
D
চূড়ান্ত নকশা প্রস্তুত ও তা অনুমোদন
বাড়ির নকশা পরিকল্পনা প্রক্রিয়া শুরু হয় ভূমি নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর, কারণ সঠিক ভূমি নির্বাচনের ওপরই নকশার ধরন, দিকনির্দেশ ও স্থাপত্যিক পরিকল্পনা নির্ভর করে। এটি একটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন হওয়া প্রক্রিয়া, যেখানে পরিকল্পনা, সংশোধন ও অনুমোদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
খসড়া নকশা প্রণয়ন (Drafting the initial plan): প্রাথমিক ধারণা, মালিকের চাহিদা এবং স্থাপত্যিক প্রয়োজন বিবেচনা করে একটি প্রাথমিক নকশা বা খসড়া তৈরি করা হয়।
-
প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিবর্ধন (Necessary revisions and additions): মালিক ও স্থপতির মতামত অনুযায়ী নকশায় পরিবর্তন, সংযোজন ও উন্নয়ন আনা হয়, যাতে এটি বাস্তব প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
-
চূড়ান্ত নকশা প্রস্তুত ও অনুমোদন (Finalizing and approving the design): সংশোধনের পর নকশাটি চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হয় এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন বা পারমিট নেওয়া হয়।
-
নির্মাণ প্রস্তুতি: অনুমোদিত নকশার ভিত্তিতে নির্মাণ সামগ্রী, বাজেট ও সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়, যা ভবন নির্মাণের পরবর্তী ধাপের জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 11 hours ago
কাজ সহজকরণে কোন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 day ago
A
ভারী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা
B
দেহের অবস্থান ও গতি ঠিক রাখা
C
দ্রুততার সাথে কাজ করা
D
কম দৈহিক শক্তি প্রয়োগ করা
কাজ সহজকরণ পদ্ধতি (Work Simplification System) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোনো কাজকে সহজ, দ্রুত এবং দক্ষ উপায়ে সম্পন্ন করা যায়। মার্কিন অধ্যাপক Lillian Moller Gilbreth–এর মতে, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কাজ করাই কাজ সহজকরণের মূল ভিত্তি। এর সংজ্ঞা অনুযায়ী—
Work Simplification হলো নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ও শক্তি ব্যবহার করে বেশি কাজ সম্পন্ন করা, অথবা একই কাজ সম্পন্ন করতে কম সময় ও শক্তি ব্যয় করা। এখানে মূল গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সময় ও শক্তি এই দুই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য Marvin E. Mundel পাঁচ প্রকার পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে প্রথমটি হলো দেহের অবস্থান ও গতির পরিবর্তন (Changes in body position and motions)। এর অধীনে কার্যকর কিছু নির্দেশনা হলো—
-
কাজের সময় দুই হাত ব্যবহার করা, যাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
-
কাজের ধারা এমনভাবে সাজানো উচিত যেন অতিরিক্ত শ্রম না পড়ে বা একাধিক কাজ একসাথে করা যায়।
-
সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রেখে কাজ করলে ক্লান্তি কমে এবং কাজের মান বাড়ে।
-
কাজের আগে ও চলাকালীন কাজের ধারা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি, যাতে সময় অপচয় না হয়।
-
ভারী কাজের পরপরই হালকা কাজ করা উচিত, যাতে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য বজায় থাকে।
এই নীতিগুলো মেনে চললে কাজ শুধু সহজ হয় না, বরং কর্মদক্ষতা ও উৎপাদনক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

0
Updated: 1 day ago