বসবাসের জন্য কোনমূখী গৃহ উত্তম?
A
উত্তর-দক্ষিণ
B
পূর্ব-পশ্চিম
C
দক্ষিণ-পূর্ব
D
উত্তর-পশ্চিম
উত্তরের বিবরণ
দক্ষিণ-পূর্বমুখী গৃহকে সাধারণত বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে ধরা হয়, বিশেষত গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে। এই দিকের ঘরগুলো আলো, বাতাস ও তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে, যা বাসিন্দাদের আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রদান করে।
-
আলো ও তাপের নিয়ন্ত্রণ: পূর্ব-পশ্চিমমুখী ঘরে দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তীব্র আলো পড়ে, যা ঘরকে অতিরিক্ত গরম করে তোলে। দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে এই সমস্যা কম থাকে।
-
সকালের সূর্যালোক প্রবেশ: সূর্য দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে উদয় হয়, ফলে সকালে ঘরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো ও তাপ প্রবেশ করে। এতে ঘর শুকনো থাকে এবং জীবাণু ধ্বংসে সহায়তা করে।
-
দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস প্রবাহ: বাংলাদেশের জলবায়ু অনুযায়ী দক্ষিণ দিক থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত হয়, যা দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে সহজেই প্রবেশ করে ঘরকে ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখে।
-
দুপুরের প্রচণ্ড রোদ থেকে সুরক্ষা: পশ্চিম দিকের রোদ সবচেয়ে তীব্র, কিন্তু দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘর পশ্চিম রোদের সরাসরি প্রভাব থেকে আংশিক সুরক্ষা পায়, ফলে ঘরের ভেতর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে।
-
বাতাস ও আলোয় ভারসাম্য: সকালে পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং বিকেলে হালকা ছায়া ঘরে আলো-অন্ধকার ও তাপমাত্রার সুষম পরিবেশ সৃষ্টি করে।
-
স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক পরিবেশ: এই দিকের ঘরগুলোতে বাতাস চলাচল ভালো হয়, আর্দ্রতা কম থাকে এবং আলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্য উপযোগী।

0
Updated: 23 hours ago
রেশম তন্তুকে পোড়ালে কী ধরনের গন্ধ পাওয়া যায়?
Created: 1 day ago
A
চুল পোড়া
B
কাপড় পোড়া
C
রাসায়নিক গন্ধ
D
মাংস পোড়া
রেশম একটি প্রাকৃতিক তন্তু যা বিশেষ ধরনের লার্ভা বা সিল্ক ওর্ম দ্বারা তৈরি হয়। এটি প্রোটিনজাত পদার্থ ফিব্রিন দিয়ে গঠিত, যা গঠনে মানুষের চুলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
-
রেশম উৎপাদনকারী প্রাণী হলো প্রধানত প্রজাপতি বা কাঁকড়ি প্রজাতির লার্ভা।
-
রেশমের প্রধান উপাদান ফিব্রিন, যা একটি প্রোটিন এবং এর গঠন চুলের মতো তন্তুযুক্ত।
-
রেশম পোড়ালে প্রোটিন দাহ হয়ে চুল পোড়ার মতো গন্ধ সৃষ্টি করে, যা বেকিংয়ের গন্ধের সঙ্গেও তুলনীয়।
-
এই গন্ধের কারণ হলো প্রোটিন দহন প্রক্রিয়ায় অ্যামাইন যৌগের ভাঙন, যা একই ধরনের গন্ধ তৈরি করে।
-
রেশম পোড়ানোর সময় তন্তুটি কালচে ছাই রেখে যায় এবং সহজে ভস্মে পরিণত হয় না।

0
Updated: 1 day ago
মধ্য শৈশবের বিকাশমূলক কাজ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
শরীর বৃত্তীয় দক্ষতা অর্জন
B
সমবয়সীদের সাথে সঠিক আচরণ করতে শেখা
C
শক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে শেখা
D
সঠিকভাবে বাক্য গঠন করতে পারা
মধ্য শৈশব (Middle Childhood) সাধারণত ৬ থেকে ১২ বছর বয়সের সময়কালকে বোঝায়। এই পর্যায় শিশুর জীবনে শারীরিক, মানসিক, ভাষাগত ও সামাজিক দিক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। বিশেষ করে সামাজিক বিকাশে এই সময়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
সামাজিক বিকাশের কেন্দ্রবিন্দু: এই বয়সে শিশুর আগ্রহ ধীরে ধীরে পরিবার থেকে সমবয়সীদের (Peers) দিকে সরে যায়। বন্ধুত্ব, দলবদ্ধ খেলা ও সহপাঠীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাই সামাজিক বিকাশের প্রধান দিক হয়ে ওঠে।
-
সামাজিক নিয়ম শেখা: বন্ধুত্ব ও দলগত কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা, আপোষ, নিয়ম মেনে চলা এবং দ্বন্দ্ব নিরসন করার মতো জটিল সামাজিক দক্ষতা রপ্ত করে। এটি ভবিষ্যৎ সামাজিক জীবনের জন্য এক শক্ত ভিত্তি তৈরি করে।
-
শরীরবৃত্তীয় দক্ষতার বিকাশ: হাঁটা, দৌড়ানো, লাফানোর মতো মৌলিক Gross Motor Skills প্রাথমিক শৈশবে গড়ে ওঠে, তবে মধ্য শৈশবে সেগুলো আরও পরিমার্জিত হয়ে খেলাধুলা ও ক্রীড়াকর্মে প্রয়োগযোগ্য হয়।
-
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: শৈশবকালীন (Infancy) পর্যায়ে শিশুর শক্ত খাদ্য গ্রহণের দক্ষতা বিকশিত হয়, যা মধ্য শৈশবে আরও নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে পরিণত হয়।
-
ভাষাগত দক্ষতা: প্রাক-বিদ্যালয় (২–৫ বছর) পর্যায়ে ভাষা ও বাক্য গঠনের ভিত্তি স্থাপিত হয়, আর মধ্য শৈশবে শিশু জটিল বাক্য ব্যবহার করে গল্প বলা, যুক্তি উপস্থাপন ও মতামত প্রকাশে দক্ষ হয়ে ওঠে।
-
এই পর্যায়েই শিশুর মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ, দায়িত্ববোধ ও আত্মপরিচয়ের বোধ বিকাশ লাভ করে, যা কৈশোরে প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 1 day ago
শিশুর জন্য দুধ খাওয়া অত্যাবশ্যক কেন?
Created: 1 day ago
A
হাঁড় ও দাঁতের গঠনের জন্য
B
মেধাবিকাশের জন্য
C
রোগমুক্ত থাকার জন্য
D
সহজপাচ্য ও দ্রুত খাওয়া যায়
দুধ শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও হাড়ের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ এতে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি উভয়ই পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। এই দুই পুষ্টি উপাদান একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, যা শরীরের হাড় ও দাঁতকে শক্তিশালী করে তোলে।
-
ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের গঠন, দৃঢ়তা ও সঠিক বিকাশে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
-
পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম না পেলে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং পরবর্তীকালে অস্টিওপরোসিস (Osteoporosis) নামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
-
ভিটামিন ডি দেহে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে, অর্থাৎ এটি ক্যালসিয়ামকে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে সাহায্য করে।
-
ভিটামিন ডি এর অভাব হলে ক্যালসিয়াম যথাযথভাবে শোষিত হয় না, ফলে হাড় নরম বা দুর্বল হতে পারে, যা রিকেটস (Rickets) নামক রোগের কারণ হতে পারে।
-
দুধে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি একত্রে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে।
-
এই কারণে দুধকে শিশু ও কিশোরদের জন্য সুষম খাদ্যের অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

0
Updated: 1 day ago