গৃহ ব্যবস্থাপনায় সংগঠন বলতে কি বোঝায়?
A
কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন
B
কাজের সাফল্য ও ব্যর্থতা পরিমাপ
C
পারিবারিক মূলাবোধের সর্বোচ্চ ব্যবহার
D
গৃহে সবার মধ্যে কর্ম বন্টন ও সমন্বয় সাধন
উত্তরের বিবরণ
গৃহ ব্যবস্থাপনায় সংগঠন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যার মাধ্যমে পরিকল্পনাকে বাস্তবে কার্যকর করার জন্য পরিবারে শ্রম, সম্পদ ও সময়কে সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যস্ত করা হয়। এটি পরিবারের দক্ষতা বৃদ্ধি ও লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।
১. কর্ম বণ্টন (Division of Work): পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের যোগ্যতা, আগ্রহ ও সময় অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়, যাতে সবাই নিজ নিজ দায়িত্বে কার্যকরভাবে অবদান রাখতে পারে।
২. দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব নির্ধারণ: কে কোন কাজ করবে এবং সেই কাজের জন্য কে দায়িত্ব নেবে তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়। এতে দায়িত্বজ্ঞান বাড়ে ও বিভ্রান্তি কমে।
৩. সমন্বয় সাধন (Coordination): পরিবারের সব সদস্যের কাজ যেন একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, সে জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়া জরুরি। সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিবারের সব প্রচেষ্টা একটি অভিন্ন লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।
৪. কার্যকর যোগাযোগ: সংগঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো স্পষ্ট ও ইতিবাচক যোগাযোগ, যা ভুল বোঝাবুঝি কমিয়ে পারিবারিক ঐক্য বজায় রাখে।
৫. সম্পদ ব্যবস্থাপনা: মানবশক্তি ছাড়াও সময়, অর্থ ও উপকরণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে একটি।
৬. ফলাফল মূল্যায়ন: নির্ধারিত কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনে পরিবর্তন আনার মাধ্যমেও সংগঠন কার্যকর রাখা যায়।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ পরীক্ষা দ্বারা অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ চিহ্ন শনাক্ত করা হয়?
Created: 1 day ago
A
এনথ্রোপোমেট্রি
B
ডাক্তারী পরীক্ষা
C
প্ৰাণ রাসায়নিক
D
প্রাণ ক্ষমতা পরিসংখ্যান
ডাক্তারী পরীক্ষা বা চিকিৎসাগত পরীক্ষা হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যার মাধ্যমে সরাসরি অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ ও চিহ্ন শনাক্ত করা যায়। এটি প্রশিক্ষিত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা সম্পন্ন হয়, যেখানে রোগীর দেহের বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণ করে নির্দিষ্ট পুষ্টির ঘাটতি নির্ণয় করা হয়।
-
পরীক্ষার ধরণ: এই পরীক্ষায় চিকিৎসক রোগীর চুল, ত্বক, চোখ, মুখ, মাড়ি ও নখ পর্যবেক্ষণ করেন।
-
চুল: সহজে উঠে যাওয়া বা রঙ পরিবর্তন প্রোটিনের অভাব নির্দেশ করে।
-
ত্বক: শুষ্ক, আঁশযুক্ত বা ফাটা ত্বক ভিটামিন এ বা বি কমপ্লেক্সের ঘাটতি বোঝায়।
-
চোখ: রাতকানা বা কনজাংটিভার শুষ্কতা ভিটামিন এ-এর অভাবের লক্ষণ।
-
অ্যানিমিয়া: চোখ ও নখের নিচের অংশ ফ্যাকাশে হওয়া লোহিত রক্তকণিকার অভাব বা লোহের ঘাটতির কারণে হয়।
-
ইডিমা (Edema): পা ফুলে যাওয়া মারাত্মক প্রোটিনের অভাবজনিত, যা কোয়াশিয়রকর রোগের ইঙ্গিত দেয়।
-
এনথ্রোপোমেট্রি (Anthropometry): এতে ওজন, উচ্চতা ও বাহুর পরিধি পরিমাপ করা হয়, যা খর্বতা ও কৃশতা নির্ধারণে সহায়ক, তবে এটি শারীরিক চিহ্ন শনাক্ত করে না।
-
প্রাণ রাসায়নিক (Biochemical) পরীক্ষা: রক্ত, প্রস্রাব বা টিস্যুর নমুনা বিশ্লেষণ করে পুষ্টি উপাদানের স্তর যেমন হিমোগ্লোবিন বা ভিটামিন ডি-এর মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
-
প্রাণ ক্ষমতা পরিসংখ্যান (Vital Statistics): এতে জন্মহার, মৃত্যুহার ও অসুস্থতার হার সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়, যা জনসংখ্যার পুষ্টিগত চিত্র বোঝাতে সাহায্য করে, যদিও এটি ব্যক্তিগত পুষ্টি অবস্থা সরাসরি নির্ধারণ করে না।
-
ডাক্তারী পরীক্ষা হলো অপুষ্টি নির্ণয়ের প্রাথমিক ও দ্রুততম পদ্ধতি, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষার পূর্বাভাস হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি শুদ্ধভাষা শিখার সঠিক কৌশল?
Created: 11 hours ago
A
অতি ধীরে স্পষ্টভাবে কথা কলা
B
খুব সহজ শব্দ ব্যবহার করা
C
অপরিচিত শব্দের পরিচিত বিকল্প না দেয়া
D
কথায় পুনরাবৃত্তি করা
অতি ধীরে ও স্পষ্টভাবে কথা বলা শুদ্ধ ভাষা শেখা ও শেখানোর একটি কার্যকর কৌশল, কারণ এটি শিক্ষার্থীদের সঠিক উচ্চারণ, শব্দবিন্যাস ও শ্রবণ-অনুধাবন ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করে।
-
স্পষ্ট উচ্চারণ ও বোধগম্যতা: ধীরে কথা বললে শ্রোতা প্রতিটি শব্দের ধ্বনি, উচ্চারণ ও অর্থ স্পষ্টভাবে শুনতে ও বুঝতে পারে, ফলে ভাষার ধ্বনিগত উপাদান (Phonetics) সঠিকভাবে আয়ত্ত করা সহজ হয়।
-
অনুকরণের সুবিধা: শিশুরা ভাষা শেখে অনুকরণের মাধ্যমে, তাই ধীর ও স্পষ্ট উচ্চারণে বলা কথা তারা সহজেই স্বরক্ষেপণ (Intonation), শব্দপ্রবাহ ও বাক্যগঠন অনুকরণ করতে পারে।
-
ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ধীরে বলা শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পর্যাপ্ত সময় দেয়, ফলে তারা নতুন শব্দ ও ভাষা কাঠামো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ধারণ করতে সক্ষম হয়।
-
যোগাযোগের মানোন্নয়ন: স্পষ্টভাবে কথা বলার অভ্যাস ভাষার বোধগম্যতা ও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করে, যা শেখা ও শেখানোর উভয় প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।

0
Updated: 11 hours ago
কোনটি শিশু পরিচালনার গনতান্ত্রিক পদ্ধতি?
Created: 23 hours ago
A
সর্বদা বিপদের হাত থেকে রক্ষা করা
B
কাজে সর্বাত্নক স্বাধীনতা দেওয়া
C
সিদ্ধান্ত গ্রহণে আলোচনা
D
ভবিষ্যতে তাকে কি হতে হবে বুঝিয়ে দেওয়া।
গণতান্ত্রিক শিশু পরিচালনা পদ্ধতি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে শিশুদের মতামত, যুক্তি এবং চিন্তাভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে পিতা-মাতা ও শিশু উভয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেয়, যা শিশুর মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ: এই পদ্ধতিতে পিতা-মাতা শিশুর মতামত মনোযোগ দিয়ে শোনেন, যুক্তিসঙ্গতভাবে আলোচনা করেন এবং তাদের বয়স ও বোঝার ক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণের সুযোগ দেন।
-
দায়িত্ববোধের বিকাশ: শিশু যখন কোনো সিদ্ধান্তে অংশ নেয়, তখন সে নিজের কাজ ও আচরণের জন্য দায়িত্ব নিতে শেখে।
-
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: মতামত প্রকাশ ও আলোচনা করার সুযোগ শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তাকে নিজের চিন্তাকে মূল্যবান বলে মনে করতে সাহায্য করে।
-
যুক্তি ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা: এ ধরনের পরিবেশে শিশু যুক্তি দিয়ে চিন্তা করতে শেখে এবং সমস্যার সমাধানে বিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে।
-
সম্পর্কের উন্নতি: পিতা-মাতা ও শিশুর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি পায়, যা পারিবারিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।

0
Updated: 23 hours ago