কোনটি শিল্পকলার নীতি?
A
বিন্দু
B
ছন্দ
C
রং
D
রেখা
উত্তরের বিবরণ
শিল্পকলার নীতি বা নকশার নীতি (Principles of Design) হলো এমন কিছু মৌলিক নির্দেশনা, যা শিল্পকর্মে ব্যবহৃত উপাদানগুলোর বিন্যাস, ভারসাম্য ও সৌন্দর্য নির্ধারণ করে। এগুলোর মাধ্যমে একটি শিল্পকর্মে শৃঙ্খলা, সামঞ্জস্য ও দৃষ্টিনন্দনতা সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, শিল্পকলার উপাদান (Elements of Art) হলো সেই মৌলিক উপকরণ, যেগুলোর মাধ্যমে শিল্পকর্ম গঠিত হয়।
-
শিল্পকলার নীতি:
-
ছন্দ (Rhythm): শিল্পকর্মে পুনরাবৃত্তি ও গতির অনুভূতি সৃষ্টি করে।
-
ভারসাম্য (Balance): উপাদানগুলির ওজন ও অবস্থান সুষমভাবে বণ্টন করা হয়, যাতে স্থিতি বজায় থাকে।
-
ঐক্য (Unity): সব উপাদান পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থেকে একসঙ্গে সম্পূর্ণ রূপ দেয়।
-
জোর (Emphasis): কোনো নির্দিষ্ট অংশকে গুরুত্ব দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
-
সাদৃশ্য (Harmony): রং, রেখা ও আকৃতির মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে মনোমুগ্ধকর প্রভাব সৃষ্টি করা হয়।
-
বৈসাদৃশ্য (Contrast): ভিন্ন উপাদানের পার্থক্যের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ ও বৈচিত্র্য সৃষ্টি করা হয়।
-
-
শিল্পকলার উপাদান:
-
বিন্দু (Point): শিল্পের ক্ষুদ্রতম একক, যা থেকে রেখা ও আকৃতি গঠিত হয়।
-
রেখা (Line): দিক, গতি ও সীমারেখা প্রকাশ করে।
-
আকৃতি (Shape): রেখা দ্বারা বেষ্টিত এলাকা বা গঠন।
-
রং (Color): দৃশ্যমান সৌন্দর্য ও অনুভূতির প্রকাশ ঘটায়।
-
মান (Value): রঙের উজ্জ্বলতা বা গাঢ়তার মাত্রা, যা গভীরতা তৈরি করে।
-
বুনট (Texture): বস্তুটির স্পর্শগত বা দৃষ্টিগত গঠন।
-
পরিসর (Space): শিল্পকর্মে ফাঁকা বা পূর্ণ স্থান, যা গভীরতা ও ভারসাম্য তৈরি করে।
-
এই নীতি ও উপাদান একসঙ্গে কাজ করে একটি শিল্পকর্মকে সুষম, অর্থবহ ও দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।

0
Updated: 1 day ago
বর্ণ আভা কোনটি?
Created: 23 hours ago
A
লাল+নীল=বেগুনী
B
লাল+কালো+মেরুন
C
লাল+হলুদ=কমলা
D
লাল+সাদা=গোলাপী
রঙের জগতে মৌলিক, গৌণ, প্রান্তিক ও শেড–টিন্টের ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলোর মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের রঙ তৈরি ও চিত্রকলায় ব্যবহার করা সম্ভব হয়। প্রতিটি রঙের ধরন নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং শিল্প, নকশা বা পোশাক নির্মাণে তা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
১. মৌলিক রং: লাল, হলুদ ও নীল এই তিনটি মৌলিক রং অন্য কোনো রঙের সংমিশ্রণে তৈরি করা যায় না। এদের মাধ্যমেই অন্যান্য সব রঙের জন্ম হয়।
২. গৌণ বা মিশ্র রং: দুটি মৌলিক রং সমপরিমাণে মিশিয়ে গৌণ বা মাধ্যমিক রং তৈরি করা হয়। উদাহরণ—
-
লাল + হলুদ = কমলা
-
নীল + হলুদ = সবুজ
-
লাল + নীল = বেগুনি
৩. প্রান্তিক রং: একটি মৌলিক রং ও একটি মাধ্যমিক রং মিশিয়ে প্রান্তিক রং তৈরি হয়। উদাহরণ— -
লাল + বেগুনি = লালচে বেগুনি
-
হলুদ + কমলা = হলুদাভ কমলা
-
নীল + সবুজ = নীলাভ সবুজ
৪. শেড (Shade): কোনো রঙের সঙ্গে কালো মেশালে যে গাঢ় রং তৈরি হয়, তাকে শেড বলা হয়। যেমন—লাল + কালো = মেরুন।
৫. টিন্ট (Tint) বা বর্ণ আভা: কোনো রঙের সঙ্গে সাদা মেশালে যে হালকা রং সৃষ্টি হয়, তাকে টিন্ট বলা হয়। যেমন—লাল + সাদা = গোলাপী।
৬. রঙের ভারসাম্য ও সৃজনশীলতা: এই মৌলিক নীতিগুলির সাহায্যে অসংখ্য নতুন রঙের সংমিশ্রণ তৈরি করা যায়, যা চিত্রকলা, পোশাক নকশা ও অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায় সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ দেয়।

0
Updated: 23 hours ago
বাজেটের সীমাবদ্ধতা কোনটি?
Created: 1 day ago
A
অপরিকল্পিত ব্যয়ের প্রবণতা বাড়ায়
B
ব্যক্তির পছন্দে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে
C
মানবীয় সম্পদের অপচয় করে
D
সঞ্চয় বাধাগ্রস্থ হয়
বাজেট হলো এমন একটি আর্থিক পরিকল্পনা যা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আয় ও ব্যয়ের সীমা নির্ধারণ করে, ফলে এটি অর্থ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনে। তবে বাজেটের কিছু মনস্তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক সীমাবদ্ধতাও রয়েছে, যা ব্যক্তির স্বাধীন সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে।
-
বাজেট প্রতিটি ব্যয়ের জন্য নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করে, যার ফলে ব্যক্তি ইচ্ছেমতো খরচ করতে পারেন না।
-
খরচের স্বাধীনতার উপর নিয়ন্ত্রণ আসে, ফলে মানসিকভাবে এক ধরনের চাপ বা সীমাবদ্ধতার অনুভূতি তৈরি হয়।
-
ব্যক্তি তার সব ইচ্ছা বা পছন্দমতো জিনিস কিনতে পারে না, এমনকি জিনিসটি অপ্রয়োজনীয় না হলেও সেটি কেনা সম্ভব হয় না।
-
এটি মানুষকে অগ্রাধিকার নির্ধারণে বাধ্য করে, যেখানে প্রয়োজনীয় ব্যয় আগে আসে এবং ইচ্ছাকৃত ব্যয় পেছনে পড়ে যায়।
-
বাজেট মেনে চলতে গিয়ে অনেক সময় হঠাৎ প্রয়োজন বা অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যয় সামাল দেওয়া কঠিন হয়, যা বাস্তব জীবনে এক ধরনের সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করে।
-
দীর্ঘমেয়াদে এটি সচেতন খরচের অভ্যাস গড়ে তোলে, তবে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ মানসিক চাপও বাড়াতে পারে।

0
Updated: 1 day ago
বস্ত্রের কুঞ্চন প্রতিরোধের জন্য তস্তুর কোন বৈশিষ্ট্য থাকা উচিৎ?
Created: 1 day ago
A
স্থিতিস্থাপকতা
B
সমরূপতা
C
বিশোষণ
D
রেসিলিয়েন্সি
রেসিলিয়েন্সি হলো তন্তুর এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা তাকে চাপ বা ভাঁজ খাওয়ার পর দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরে আসতে সহায়তা করে। এটি কাপড়ের কুঁচক না পড়া ও মসৃণতা বজায় রাখার অন্যতম মূল উপাদান।
-
রেসিলিয়েন্সি (Resiliency) হলো তন্তুর ভাঁজ বা চাপ খাওয়ার পর পুনরায় আগের রূপে ফেরার ক্ষমতা।
-
যখন কোনো কাপড় কুঁচকে যায়, তখন এর তন্তুগুলো বাঁকা বা ভাঁজ হয়ে যায়।
-
যেসব তন্তুর রেসিলিয়েন্সি বেশি, তারা দ্রুত সোজা হয়ে যায়, ফলে কাপড় মসৃণ থাকে।
-
কাপড়ের এই কুঁচক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বলা হয় ক্রীজ রেসিস্ট্যান্স (Crease Resistance), যা সরাসরি রেসিলিয়েন্সির উপর নির্ভরশীল।
-
পশম (Wool) ও পলিয়েস্টার (Polyester) তন্তুতে রেসিলিয়েন্সি বেশি, তাই এগুলো সহজে কুঁচকে যায় না।
-
স্থিতিস্থাপকতা (Elasticity) হলো টান দিলে লম্বা হওয়া এবং টান ছেড়ে দিলে আগের আকারে ফিরে আসার ক্ষমতা, যা পোশাকের ফিটিং ও আরামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
-
সমরূপতা (Uniformity) তন্তুর দৈর্ঘ্য ও গুণমানের সমানতা নির্দেশ করে, যা পোশাকের সামগ্রিক গুণ বজায় রাখে।
-
বি শোষণ (Absorbency) হলো তন্তুর জল বা আর্দ্রতা শোষণের ক্ষমতা, যা পরিধানে আরাম ও রং গ্রহণের মানে প্রভাব ফেলে।
-
রেসিলিয়েন্সি বেশি থাকলে কাপড়ের আয়ু বেশি হয়, কারণ তা ভাঁজ, চাপ ও ধোয়ার প্রভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

0
Updated: 1 day ago