সর্বাপেক্ষা স্থিতিস্থাপক তন্তু কোনটি?
A
সুতি
B
লিনেন
C
রেশম
D
পশম
উত্তরের বিবরণ
পশম হলো এমন একটি প্রাকৃতিক তন্তু যার স্থিতিস্থাপকতা ও রেসিলিয়েন্সি অন্য তন্তুর তুলনায় সর্বাধিক। এর ফলে পশমের তৈরি কাপড় শুধু আরামদায়ক নয়, বরং দীর্ঘস্থায়ী ও আকার ধরে রাখার ক্ষমতাসম্পন্ন।
১. স্থিতিস্থাপকতা (Elasticity): এটি তন্তুর সেই গুণ, যার ফলে টেনে লম্বা করার পর ছেড়ে দিলে তা দ্রুত তার মূল আকৃতিতে ফিরে আসে।
২. পশমে থাকা কেরাটিন নামক প্রোটিনের গঠন পেঁচানো বা কুণ্ডলিত (Crimp) অবস্থায় থাকে, যা একে উচ্চ স্থিতিস্থাপকতা প্রদান করে।
৩. এই কুণ্ডলিত গঠন তন্তুর ভেতরে বায়ু ধারণে সক্ষমতা সৃষ্টি করে, ফলে কাপড় হয় নরম, উষ্ণ ও আরামদায়ক।
৪. রেসিলিয়েন্সি (Resilience): পশমের এই স্থিতিস্থাপক গঠনের কারণে কাপড় সহজে কুঁচকে যায় না, এবং ব্যবহারের পর পুনরায় তার মূল আকৃতি ধরে রাখে।
৫. এই বৈশিষ্ট্যগুলোর ফলে পশম থেকে তৈরি পোশাক শুধু আকৃতি ও সৌন্দর্য বজায় রাখে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারের জন্যও উপযুক্ত হয়।

0
Updated: 1 day ago
একজন বয়স্ক মানুষ পোশাক নির্বাচনে কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়?
Created: 23 hours ago
A
ফ্যাশন
B
স্টাইল
C
আরাম
D
পোশাকের দাম
বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরাম বা স্বাচ্ছন্দ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়, কারণ এটি তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন পোশাকের ধরন নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব ফেলে।
-
শারীরিক পরিবর্তন: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক হয় অধিক সংবেদনশীল এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই এমন পোশাক প্রয়োজন যা নরম, বায়ু চলাচলযোগ্য এবং ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করে না।
-
সহজে পরিধানযোগ্যতা: বয়স্করা প্রায়ই শারীরিক নড়াচড়ায় সীমাবদ্ধতা অনুভব করেন। আরামদায়ক পোশাক সাধারণত সহজে পরা ও খোলা যায়, যা দৈনন্দিন ব্যবহারে সুবিধা দেয়।
-
স্বাস্থ্যগত কারণ: আঁটসাঁট বা শক্ত কাপড় রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত করে এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে। ঢিলেঢালা, হালকা ও নরম কাপড় শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং আরাম নিশ্চিত করে।
-
তাপমাত্রা ও আরামের ভারসাম্য: বয়স্কদের জন্য পোশাক এমন হওয়া উচিত যা গরমে ঠান্ডা ও শীতে উষ্ণ রাখে, ফলে শরীরের তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে।
-
মানসিক স্বাচ্ছন্দ্য: আরামদায়ক পোশাক শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিক প্রশান্তিও এনে দেয়, যা বয়স্কদের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে আরও আরামদায়ক করে তোলে।

0
Updated: 23 hours ago
বসবাসের জন্য কোনমূখী গৃহ উত্তম?
Created: 23 hours ago
A
উত্তর-দক্ষিণ
B
পূর্ব-পশ্চিম
C
দক্ষিণ-পূর্ব
D
উত্তর-পশ্চিম
দক্ষিণ-পূর্বমুখী গৃহকে সাধারণত বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে ধরা হয়, বিশেষত গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে। এই দিকের ঘরগুলো আলো, বাতাস ও তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে, যা বাসিন্দাদের আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রদান করে।
-
আলো ও তাপের নিয়ন্ত্রণ: পূর্ব-পশ্চিমমুখী ঘরে দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তীব্র আলো পড়ে, যা ঘরকে অতিরিক্ত গরম করে তোলে। দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে এই সমস্যা কম থাকে।
-
সকালের সূর্যালোক প্রবেশ: সূর্য দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে উদয় হয়, ফলে সকালে ঘরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো ও তাপ প্রবেশ করে। এতে ঘর শুকনো থাকে এবং জীবাণু ধ্বংসে সহায়তা করে।
-
দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস প্রবাহ: বাংলাদেশের জলবায়ু অনুযায়ী দক্ষিণ দিক থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত হয়, যা দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে সহজেই প্রবেশ করে ঘরকে ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখে।
-
দুপুরের প্রচণ্ড রোদ থেকে সুরক্ষা: পশ্চিম দিকের রোদ সবচেয়ে তীব্র, কিন্তু দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘর পশ্চিম রোদের সরাসরি প্রভাব থেকে আংশিক সুরক্ষা পায়, ফলে ঘরের ভেতর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে।
-
বাতাস ও আলোয় ভারসাম্য: সকালে পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং বিকেলে হালকা ছায়া ঘরে আলো-অন্ধকার ও তাপমাত্রার সুষম পরিবেশ সৃষ্টি করে।
-
স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক পরিবেশ: এই দিকের ঘরগুলোতে বাতাস চলাচল ভালো হয়, আর্দ্রতা কম থাকে এবং আলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্য উপযোগী।

0
Updated: 23 hours ago
মোম প্রয়োগ করে কাপড়ে রং লাগানোকে কি বলে?
Created: 1 day ago
A
টাই ডাই
B
ব্লক
C
বাটিক
D
স্ক্রিন
কাপড়ে মোম প্রয়োগ করে রং করার পদ্ধতিকে বাটিক (Batik) বলা হয়, যা একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পরীতি। এতে মোম ব্যবহারের মাধ্যমে কাপড়ে নকশা তৈরি করে রং প্রতিরোধ করা হয়, ফলে নকশার অংশটি রঙিন না হয়ে আলাদা ভাবে ফুটে ওঠে।
-
বাটিক প্রক্রিয়ায় প্রথমে কাপড়ের নির্দিষ্ট অংশে গলিত মোম দিয়ে নকশা আঁকা হয়।
-
মোমটি রং প্রতিরোধক (Resist Agent) হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ মোম দেওয়া স্থানে রং লাগে না।
-
এরপর কাপড়টি রঙের দ্রবণে ডুবিয়ে রঞ্জিত করা হয়।
-
রং শুকিয়ে গেলে মোম তুলে ফেললে কাপড়ের সেই অংশটি সাদা বা আসল রঙে থেকে যায়, যা নকশাকে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ করে।
-
এই প্রক্রিয়ায় তৈরি বস্ত্রের নকশাগুলো সাধারণত অতি সূক্ষ্ম ও বহুস্তর রঙিন হয়, যা শিল্পগুণে ভরপুর।
-
বাটিক শিল্পের উদ্ভব ইন্দোনেশিয়ায় হলেও এটি পরবর্তীতে ভারত, বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশেও জনপ্রিয়তা লাভ করে।
-
অনুরূপ অন্যান্য পদ্ধতি হলো—
-
টাই-ডাই (Tie-Dye): কাপড়ের নির্দিষ্ট অংশ দড়ি বা সুতা দিয়ে বেঁধে রেখে রং করা হয়, ফলে বেঁধে রাখা অংশে রং লাগে না।
-
ব্লক প্রিন্টিং (Block Printing): কাঠ বা ধাতুর ছাঁচ (Block) ব্যবহার করে কাপড়ে রং ছাপানো হয়।
-
স্ক্রিন প্রিন্টিং (Screen Printing): একটি সূক্ষ্ম জাল (Screen) এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট নকশা অনুসারে কাপড়ে রং ছড়ানো হয়।
-

0
Updated: 1 day ago