আংশিক পচনশীল খাদ্য কোনগুলো?
A
মাংস, দুধ, পাকা ফল
B
ডাল, চিনি, গুড়া মশলা
C
মাছ, বীচি, দই
D
আলু, সবজি, বেকারি খাদ্য
উত্তরের বিবরণ
খাদ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে খাদ্যবস্তুর প্রকৃতি ও নষ্ট হওয়ার গতির ওপর ভিত্তি করে এগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। এই শ্রেণিবিন্যাস খাদ্যের সংরক্ষণপদ্ধতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং খাদ্যের পুষ্টিগুণ রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
-
পচনশীল খাদ্য (Perishable Foods): এ ধরনের খাদ্য খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ রোধে শীতল পরিবেশে সংরক্ষণ অপরিহার্য। উদাহরণ—মাংস, মাছ, দুধ, পাকা ফল, তাজা শাকসবজি, রান্না করা খাবার ইত্যাদি। এদের সংরক্ষণে সাধারণত রেফ্রিজারেশন বা ফ্রিজিং ব্যবহার করা হয়।
-
আংশিক পচনশীল খাদ্য (Semi-Perishable Foods): এই খাদ্যগুলো সীমিত সময়ের জন্য ভালো থাকে—সাধারণত কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত। সময়ের সাথে সাথে এর গুণগত মান কমে যায়, তবে সম্পূর্ণ নষ্ট হয় না। উদাহরণ—আলু, পেঁয়াজ, গাজর, মিষ্টি আলু, ডিম, মাখন, পনির, রুটি, বিস্কুট, আটা, ডাল ও শস্যদানা। এই খাদ্যগুলোর জন্য শুষ্ক, ঠান্ডা ও বাতাস চলাচল উপযোগী পরিবেশে সংরক্ষণ উপযুক্ত।
-
অপচনশীল খাদ্য (Non-Perishable Foods): এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণযোগ্য এবং তাপমাত্রার পরিবর্তনে সহজে নষ্ট হয় না। উদাহরণ—চাল, গম, শুকনো ডাল, লবণ, চিনি, শুকনো মশলা, টিনজাত খাদ্য ইত্যাদি। এদের সংরক্ষণের জন্য বায়ুরোধী পাত্র ও আর্দ্রতামুক্ত স্থান সবচেয়ে উপযুক্ত।
-
অতিরিক্তভাবে বলা যায়, খাদ্য সংরক্ষণের মান বাড়াতে উপযুক্ত তাপমাত্রা, আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অপরিহার্য। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে খাদ্যের অপচয় কমে এবং পুষ্টিমান বজায় থাকে।

0
Updated: 1 day ago
রাতে কম দেখতে পেলে কোন্ ধরনের খাদ্যগ্রহণ সঠিক হবে?
Created: 11 hours ago
A
ইলিশ মাছ,কলিজা, পাকা আম
B
ডিমের সাদা অংশ, ননী তোলা দুধ, পেয়ারা
C
ছোট মুরগী,মুড়ি, আমলকি
D
আঙ্কুরিত ছোলা, ভুট্টা, নাশপাতি
রাতকানা বা নাইট ব্লাইন্ডনেস (Night Blindness) হলো এমন একটি দৃষ্টিজনিত সমস্যা যা মূলত ভিটামিন ‘এ’ (Vitamin A)-এর অভাবে ঘটে। এই ভিটামিন চোখের রেটিনা বা দৃষ্টিপর্দার স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে অপরিহার্য। যথেষ্ট ভিটামিন ‘এ’ না থাকলে অন্ধকারে দেখার ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং দীর্ঘমেয়াদে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হতে পারে।
-
ভিটামিন ‘এ’-এর ভূমিকা: এটি চোখের রড সেল (rod cells)-এ উপস্থিত রোডোপসিন নামক প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা অল্প আলোতেও দেখার ক্ষমতা দেয়।
-
খাদ্য উৎস (প্রাণীজ):
-
ইলিশ মাছ: এতে উচ্চমাত্রায় রেটিনল (Retinol) বা সক্রিয় ভিটামিন ‘এ’ থাকে, যা শরীর সরাসরি ব্যবহার করতে পারে।
-
কলিজা (Liver): এটি ভিটামিন ‘এ’-এর অন্যতম সবচেয়ে সমৃদ্ধ উৎস, অল্প পরিমাণে গ্রহণেই দৈনিক চাহিদার অনেকাংশ পূরণ হয়।
-
-
খাদ্য উৎস (উদ্ভিজ্জ):
-
পাকা আম (Ripe Mango): এতে প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন (Beta-Carotene) থাকে, যা শরীরে প্রবেশের পর ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তরিত হয়। এটি ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি দুটোর জন্যই উপকারী।
-
এছাড়া গাজর, লালশাক, পেঁপে, ডিমের কুসুম এবং দুধও ভিটামিন ‘এ’-এর ভালো উৎস। খাদ্যতালিকায় এসব উপাদান অন্তর্ভুক্ত করলে দৃষ্টিশক্তি রক্ষা পায় এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

0
Updated: 11 hours ago
খাদ্য হিমায়িতকরণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক?
Created: 1 day ago
A
কম খরচে অধিক খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়
B
গুণগত ও পুষ্টিমানের উপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে
C
এনজাইম ও অনুজীবের প্রভাব নিয়ন্ত্রিত হয় না
D
ফল ও সবজির Post harvest পরিবর্তন ও অপচয় হয়।
খাদ্য সংরক্ষণের একটি কার্যকর উপায় হিসেবে হিমায়িতকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি খাদ্যের পুষ্টিমান, গুণমান এবং স্থায়িত্ব দীর্ঘ সময় ধরে বজায় রাখতে সাহায্য করে, বিশেষত যখন মৌসুমি পণ্য কম দামে পাওয়া যায়।
১. হিমায়িতকরণ কম খরচে অধিক খাদ্য সংরক্ষণের সুযোগ দেয়। একবার ফ্রিজার কেনা এবং বিদ্যুৎ ব্যয়ের প্রাথমিক খরচ মিটে গেলে এটি অন্যান্য সংরক্ষণ পদ্ধতির তুলনায় সাশ্রয়ী হয়। মৌসুমি ফল ও সবজি কম দামে কিনে ফ্রিজে রাখা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক।
২. গুণগত ও পুষ্টিমানের ক্ষতি হয় না। এই প্রক্রিয়ায় খাবারের ভিটামিন, মিনারেল ও রঙ অনেকাংশে অপরিবর্তিত থাকে। অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত পদ্ধতির তুলনায় এটি গুণগত মান ভালোভাবে রক্ষা করে।
৩. এনজাইম ও অনুজীবের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হিমায়িত অবস্থায় (−18°C বা তার নিচে) অনুজীবের বৃদ্ধি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায় এবং এনজাইমের ক্রিয়াশীলতা অনেক কমে যায়, ফলে খাদ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়।
৪. ফল ও সবজির Post harvest পরিবর্তন রোধ করে। হিমায়িতকরণে ফলন-পরবর্তী পচন, অপচয় ও শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন বন্ধ হয়, ফলে পণ্য দীর্ঘদিন টাটকা থাকে।
৫. খাদ্যের বাণিজ্যিক সুবিধা বৃদ্ধি পায়। এভাবে সংরক্ষিত পণ্য সহজে পরিবহনযোগ্য হয় এবং বাজারে অফ-সিজনে বিক্রয় করে ভালো মুনাফা অর্জন করা যায়।

0
Updated: 1 day ago
কোন খাদ্যগুচ্ছটি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে?
Created: 11 hours ago
A
রুই মাছ, ছোট মুরগীর মাংস
B
ঘি, চিনা বাদাম
C
পেয়ারা, আপেল
D
মুড়ি, রুটি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) শক্তিশালী রাখার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান হলো ভিটামিন সি (Vitamin C)। এটি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে, সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
পেয়ারা ও আপেল:
-
পেয়ারা হলো ভিটামিন সি-এর অন্যতম সেরা উৎস, যা শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে শরীরের সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
আপেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা কোষকে মুক্ত মৌল (free radicals) থেকে রক্ষা করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
-
-
ভিটামিন সি-এর ভূমিকা: এটি শরীরে ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, প্রদাহ কমায় এবং ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি লৌহ (Iron) শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে।
-
অন্যান্য বিকল্পের পুষ্টিগুণ:
-
রুই মাছ, ছোট মুরগীর মাংস: এগুলো মূলত প্রোটিনের উৎস, যা কোষের বৃদ্ধি ও মেরামতে সহায়তা করে।
-
ঘি, চিনা বাদাম: এগুলো স্নেহ (Fat) সরবরাহ করে, যা শক্তির উৎস এবং কিছু ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন শোষণে সহায়তা করে।
-
মুড়ি, রুটি: এগুলো শর্করা (Carbohydrate) সরবরাহ করে, যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান করে।
-
সুতরাং, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পেয়ারা, আপেল, লেবু, কমলা ও অন্যান্য ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সর্বাধিক উপকারী।

0
Updated: 11 hours ago