একজন রি-অ্যাকটিভ তরুণের মধ্যে কোন বৈশিষ্ট্যটি দেখা যায়?
A
ধৈর্যশীল
B
আবেগ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা
C
হঠাৎ রেগে যাওয়া
D
অসামাজিক আচরণ
উত্তরের বিবরণ
রি-অ্যাকটিভ তরুণ এমন ব্যক্তি, যিনি বাইরের পরিস্থিতি বা ঘটনার প্রতি দ্রুত আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা সাধারণত চিন্তা-ভাবনা না করে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়, যার ফলে তাদের আচরণ প্রায়ই অস্থির ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে ওঠে।
১. পরিস্থিতিনির্ভর প্রতিক্রিয়া: রি-অ্যাকটিভ তরুণ নিজের চিন্তা বা যুক্তির চেয়ে বাইরের ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হয়; অর্থাৎ পরিস্থিতিই তাদের আচরণ নির্ধারণ করে।
২. আবেগপ্রবণতা: তারা হঠাৎ রেগে যায় বা মনোভাব পরিবর্তন করে ফেলে। তাদের সিদ্ধান্ত ও আচরণ আবেগের বশে ঘটে, ফলে তারা পরবর্তীতে অনুতপ্ত হতে পারে।
৩. আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব: তারা আবেগ ও রাগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বল, যার ফলে সম্পর্ক ও সামাজিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
৪. তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া: চিন্তা বা বিশ্লেষণের সময় না নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো তাদের স্বভাবের অংশ।
৫. ব্যক্তিত্বগত প্রভাব: এই ধরনের আচরণ আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, মানসিক চাপ, বা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
৬. সামাজিক ও মানসিক ফলাফল: রি-অ্যাকটিভ আচরণের ফলে ব্যক্তি প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝি, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং মানসিক অস্থিরতার শিকার হয়।

0
Updated: 1 day ago
এডিমা হলে পথ্য পরিকল্পনায় কোন উপাদানটি নিয়ন্ত্রন করতে হবে?
Created: 11 hours ago
A
সোডিয়াম
B
ক্যালসিয়াম
C
আয়রণ
D
আয়োডিন
এডিমা (Edema) এমন এক শারীরিক অবস্থা যেখানে শরীরের কোষের মধ্যবর্তী স্থান বা গহ্বরে অতিরিক্ত তরল জমা হয়ে ফোলাভাব সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত শরীরের জলের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফল, এবং এ অবস্থায় খাদ্যতালিকায় সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
জল ধারণ প্রক্রিয়া: সোডিয়াম শরীরের জল নিয়ন্ত্রণের মূল উপাদান, যা রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে প্ররোচিত করে।
-
কিডনীর ভূমিকা: সুস্থ কিডনী সোডিয়াম ও জলের মাত্রা সঠিক রাখে, কিন্তু হার্ট ফেইলিউর বা কিডনী রোগের মতো অবস্থায় শরীর অতিরিক্ত সোডিয়াম ও জল বের করতে পারে না, ফলে ফোলাভাব বাড়ে।
-
সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণের প্রভাব: খাদ্যে সোডিয়াম বা লবণ কমালে শরীর অতিরিক্ত জল নির্গমন করতে সক্ষম হয়, এতে ফোলাভাব বা এডিমা কমে যায়।
-
খাদ্যাভ্যাস: এ অবস্থায় রোগীকে লো-সোডিয়াম ডায়েট অনুসরণে উৎসাহিত করা হয়; অর্থাৎ লবণ, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও সয়া সসের মতো সোডিয়ামসমৃদ্ধ উপাদান সীমিত রাখতে বলা হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: এডিমার কারণ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকরা প্রায়ই রক্তচাপ, কিডনী ফাংশন ও হরমোনের ভারসাম্য পরীক্ষা করেন। তাছাড়া, শরীরের তরল ভারসাম্য ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম ও প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণও সহায়ক হতে পারে, যদি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া হয়।

0
Updated: 11 hours ago
দৈনিক ক্যালারির চাহিদা কিসের উপর নির্ভর করে?
Created: 23 hours ago
A
দেহের মৌল বিপাক
B
দৈহিক পরিশ্রম
C
খাদ্যের প্রভাব
D
উপরের সবকটি সঠিক
দৈনিক ক্যালরির চাহিদা মানুষের শরীরে শক্তির ভারসাম্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি মূলত শরীরের মোট শক্তি ব্যয়ের (Total Energy Expenditure – TEE) তিনটি প্রধান উপাদানের উপর নির্ভর করে। এই উপাদানগুলো শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম, শারীরিক পরিশ্রম এবং খাদ্য হজমের প্রক্রিয়ায় শক্তি ব্যয় নির্ধারণ করে।
-
দেহের মৌল বিপাক (Basal Metabolic Rate – BMR): এটি হলো শরীরের বিশ্রাম অবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন, রক্ত সঞ্চালন এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন ক্যালরির পরিমাণ। বয়স, লিঙ্গ, দেহের গঠন, ওজন এবং হরমোনের মাত্রা এর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
-
দৈহিক পরিশ্রম (Physical Activity): দৈনন্দিন কাজ যেমন হাঁটা, ওঠা-নামা, খেলাধুলা বা শ্রমের কাজের সময় অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহৃত হয়। পরিশ্রমের মাত্রা যত বেশি হবে, শরীরের ক্যালরি চাহিদাও তত বৃদ্ধি পাবে। এটি ব্যক্তির জীবনযাত্রার ধরণ ও পেশার উপর নির্ভর করে।
-
খাদ্যের প্রভাব (Thermic Effect of Food – TEF): খাবার হজম, শোষণ ও বিপাক প্রক্রিয়ায় যে শক্তি ব্যয় হয়, তাকে খাদ্যের তাপোৎপাদক প্রভাব বলা হয়। এটি মোট দৈনিক শক্তি ব্যয়ের প্রায় ৫-১০% অংশ জুড়ে থাকে।
-
অতিরিক্তভাবে, মোট ক্যালরি চাহিদা নির্ধারণে জীবনযাত্রার ধরণ, পরিবেশের তাপমাত্রা, এবং দেহের গঠনগত পার্থক্যও ভূমিকা রাখে। ভারসাম্যপূর্ণ ক্যালরি গ্রহণ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 23 hours ago
কোনটি শুদ্ধভাষা শিখার সঠিক কৌশল?
Created: 11 hours ago
A
অতি ধীরে স্পষ্টভাবে কথা কলা
B
খুব সহজ শব্দ ব্যবহার করা
C
অপরিচিত শব্দের পরিচিত বিকল্প না দেয়া
D
কথায় পুনরাবৃত্তি করা
অতি ধীরে ও স্পষ্টভাবে কথা বলা শুদ্ধ ভাষা শেখা ও শেখানোর একটি কার্যকর কৌশল, কারণ এটি শিক্ষার্থীদের সঠিক উচ্চারণ, শব্দবিন্যাস ও শ্রবণ-অনুধাবন ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করে।
-
স্পষ্ট উচ্চারণ ও বোধগম্যতা: ধীরে কথা বললে শ্রোতা প্রতিটি শব্দের ধ্বনি, উচ্চারণ ও অর্থ স্পষ্টভাবে শুনতে ও বুঝতে পারে, ফলে ভাষার ধ্বনিগত উপাদান (Phonetics) সঠিকভাবে আয়ত্ত করা সহজ হয়।
-
অনুকরণের সুবিধা: শিশুরা ভাষা শেখে অনুকরণের মাধ্যমে, তাই ধীর ও স্পষ্ট উচ্চারণে বলা কথা তারা সহজেই স্বরক্ষেপণ (Intonation), শব্দপ্রবাহ ও বাক্যগঠন অনুকরণ করতে পারে।
-
ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ধীরে বলা শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পর্যাপ্ত সময় দেয়, ফলে তারা নতুন শব্দ ও ভাষা কাঠামো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ধারণ করতে সক্ষম হয়।
-
যোগাযোগের মানোন্নয়ন: স্পষ্টভাবে কথা বলার অভ্যাস ভাষার বোধগম্যতা ও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করে, যা শেখা ও শেখানোর উভয় প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।

0
Updated: 11 hours ago