কোন্ পরীক্ষা দ্বারা অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ চিহ্ন শনাক্ত করা হয়?
A
এনথ্রোপোমেট্রি
B
ডাক্তারী পরীক্ষা
C
প্ৰাণ রাসায়নিক
D
প্রাণ ক্ষমতা পরিসংখ্যান
উত্তরের বিবরণ
ডাক্তারী পরীক্ষা বা চিকিৎসাগত পরীক্ষা হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যার মাধ্যমে সরাসরি অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ ও চিহ্ন শনাক্ত করা যায়। এটি প্রশিক্ষিত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা সম্পন্ন হয়, যেখানে রোগীর দেহের বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণ করে নির্দিষ্ট পুষ্টির ঘাটতি নির্ণয় করা হয়।
-
পরীক্ষার ধরণ: এই পরীক্ষায় চিকিৎসক রোগীর চুল, ত্বক, চোখ, মুখ, মাড়ি ও নখ পর্যবেক্ষণ করেন।
-
চুল: সহজে উঠে যাওয়া বা রঙ পরিবর্তন প্রোটিনের অভাব নির্দেশ করে।
-
ত্বক: শুষ্ক, আঁশযুক্ত বা ফাটা ত্বক ভিটামিন এ বা বি কমপ্লেক্সের ঘাটতি বোঝায়।
-
চোখ: রাতকানা বা কনজাংটিভার শুষ্কতা ভিটামিন এ-এর অভাবের লক্ষণ।
-
অ্যানিমিয়া: চোখ ও নখের নিচের অংশ ফ্যাকাশে হওয়া লোহিত রক্তকণিকার অভাব বা লোহের ঘাটতির কারণে হয়।
-
ইডিমা (Edema): পা ফুলে যাওয়া মারাত্মক প্রোটিনের অভাবজনিত, যা কোয়াশিয়রকর রোগের ইঙ্গিত দেয়।
-
এনথ্রোপোমেট্রি (Anthropometry): এতে ওজন, উচ্চতা ও বাহুর পরিধি পরিমাপ করা হয়, যা খর্বতা ও কৃশতা নির্ধারণে সহায়ক, তবে এটি শারীরিক চিহ্ন শনাক্ত করে না।
-
প্রাণ রাসায়নিক (Biochemical) পরীক্ষা: রক্ত, প্রস্রাব বা টিস্যুর নমুনা বিশ্লেষণ করে পুষ্টি উপাদানের স্তর যেমন হিমোগ্লোবিন বা ভিটামিন ডি-এর মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
-
প্রাণ ক্ষমতা পরিসংখ্যান (Vital Statistics): এতে জন্মহার, মৃত্যুহার ও অসুস্থতার হার সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়, যা জনসংখ্যার পুষ্টিগত চিত্র বোঝাতে সাহায্য করে, যদিও এটি ব্যক্তিগত পুষ্টি অবস্থা সরাসরি নির্ধারণ করে না।
-
ডাক্তারী পরীক্ষা হলো অপুষ্টি নির্ণয়ের প্রাথমিক ও দ্রুততম পদ্ধতি, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষার পূর্বাভাস হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ স্তর?
Created: 1 day ago
A
অতীত মূল্যায়ন
B
লক্ষ্য সম্পর্কে ধারণা
C
সমস্যার স্বরুপ উপলদ্ধি
D
কাজে শৃংখলা বিধান
সিদ্ধান্ত গ্রহণ একটি ধারাবাহিক মানসিক প্রক্রিয়া যা সঠিক বিকল্প বেছে নেওয়ার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন স্তর বা পর্যায় রয়েছে, যা প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীকে পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করতে হয়।
১. সমস্যার স্বরূপ উপলব্ধি (Defining the problem to be decided): প্রথমে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীকে সমস্যার প্রকৃতি ও পরিসর স্পষ্টভাবে বুঝতে হয়, যাতে সঠিক সমাধানের দিক নির্ধারণ করা যায়।
২. বিকল্প সমাধানের অনুসন্ধান (Seeking alternative solutions): সমস্যার সমাধানের জন্য একাধিক সম্ভাব্য উপায় বা বিকল্প খুঁজে বের করা হয়।
৩. বিকল্পসমূহ সম্পর্কে চিন্তা (Thinking through alternatives): প্রতিটি বিকল্পের সুবিধা, অসুবিধা ও ফলাফল বিশ্লেষণ করা হয়, যাতে কোনটি সর্বাধিক কার্যকর হবে তা নির্ধারণ করা যায়।
৪. একটি সমাধান গ্রহণ (Selecting a solution): বিশ্লেষণের ভিত্তিতে সবচেয়ে উপযুক্ত ও বাস্তবসম্মত বিকল্পটিকে চূড়ান্তভাবে বেছে নেওয়া হয়।
৫. গৃহীত সিদ্ধান্তের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ (Accepting responsibility for the decision): সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পর তার ফলাফলের দায়ভার গ্রহণ করা হয় এবং প্রয়োজনে সংশোধন বা পর্যালোচনা করা হয়।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া যুক্তিনির্ভর, কার্যকর ও ফলপ্রসূ হয়, যা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সফলতার জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago
কোনাট শিশুর শৃংখলাবোধ গঠনে সহায়ক?
Created: 11 hours ago
A
স্নেহ ও ভালবাসা
B
প্রশংসা ও শাস্তি
C
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
D
চাহিদা ও প্রত্যাশা
শিশুর শৃঙ্খলাবোধ বা আত্মনিয়ন্ত্রণ (Discipline/Self-Control) বিকাশের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এটি শিশুকে শুধু নিয়ম মানতে নয়, বরং নিজের আচরণ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা অর্জন করতেও সহায়তা করে।
-
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অর্থ: এর মাধ্যমে শিশুকে সমাজে গ্রহণযোগ্য নিয়ম-কানুন, নৈতিক মূল্যবোধ ও সামাজিক আচরণবিধি সম্পর্কে শেখানো হয়। শিক্ষার লক্ষ্য শুধু জ্ঞানার্জন নয়, বরং সঠিক আচরণ গড়ে তোলা।
-
আচরণ নিয়ন্ত্রণ: প্রশিক্ষণ শিশুকে শেখায় কখন, কেন ও কীভাবে নিজের আবেগ, রাগ, বা অপ্রত্যাশিত আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এর ফলে শিশুর মধ্যে ধৈর্য, দায়িত্ববোধ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
-
দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব: এই প্রক্রিয়া শিশুর মধ্যে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাবোধ তৈরি করে, যা বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে নিজস্ব বিবেক ও উপলব্ধি দ্বারা পরিচালিত হয়। সময়ের সঙ্গে এটি শিশুর চরিত্রগঠন, আত্মসম্মান ও সামাজিক দায়িত্ববোধের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 11 hours ago
কোনটি নবজাতকের আদি প্রতিবর্তী ক্রিয়া?
Created: 1 day ago
A
ঠোঁট স্পর্শ করা মাত্র হা করা
B
মুখের কাজে জিনিস নিলেই চুষতে চাওয়া
C
চোখের পাতা খোলা ও বন্ধ করা
D
পায়ে স্পর্শ করলে আঙুল সম্প্রসারণ করে
আদি প্রতিবর্তী ক্রিয়া (Primitive Reflex) হলো এমন কিছু স্বতঃস্ফূর্ত শারীরিক প্রতিক্রিয়া, যা নবজাতকের জন্মের পরপরই দেখা যায় এবং শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশের সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যখন শিশু দৈহিক ও স্নায়বিক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অর্জন করে, তখন এই প্রতিক্রিয়াগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
-
এই প্রতিক্রিয়াগুলো মস্তিষ্কের নিম্নস্তরের স্নায়ুকেন্দ্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
এগুলো শিশুর বেঁচে থাকা, সুরক্ষা এবং প্রাথমিক মোটর বিকাশে সহায়তা করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, পায়ের আঙুল সম্প্রসারণ বা ব্যাবিনস্কি প্রতিবর্তী ক্রিয়া (Babinski Reflex)—যখন নবজাতকের পায়ের গোড়ালিতে বা তলায় আলতোভাবে স্পর্শ করা হয়, তখন পায়ের আঙুলগুলো প্রসারিত হয়ে যায়।
-
এই প্রতিক্রিয়া সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে বিলুপ্ত হয়, যা শিশুর স্নায়ুতন্ত্র পরিপক্বতার ইঙ্গিত দেয়।
-
যদি এই ক্রিয়া অতিরিক্ত সময় ধরে থাকে, তবে তা স্নায়বিক সমস্যা বা মস্তিষ্কের বিকাশজনিত বিলম্বের লক্ষণ হতে পারে।

0
Updated: 1 day ago