কোনটি তস্তু থেকে সুতা তৈরীর পর্যায়?
A
কার্ডিং
B
কম্বিং
C
হেক্লিং
D
সবকটি সঠিক
উত্তরের বিবরণ
তন্তু থেকে সুতা তৈরির প্রক্রিয়া একটি ধারাবাহিক ধাপের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যেখানে প্রতিটি ধাপ তন্তুকে আরও পরিশোধিত, সমান এবং টেকসই করে তোলে। কার্ডিং, কম্বিং ও হেকলিং এই প্রক্রিয়ার প্রধান তিনটি ধাপ যা সুতার মান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১. কার্ডিং (Carding): এই ধাপে তন্তুগুলোকে আলাদা করে অগোছালো ফাইবারকে সোজা করা হয়। এতে ফাইবারগুলো সমানভাবে ছড়িয়ে স্লিভার (sliver) নামক একটি নরম, সমজাতীয় স্তর তৈরি হয়, যা পরবর্তী ধাপে ব্যবহারের উপযোগী।
২. কম্বিং (Combing): কার্ডিংয়ের পর এই ধাপে ছোট ও অপ্রয়োজনীয় ফাইবারগুলো সরিয়ে শুধুমাত্র দীর্ঘ ও সূক্ষ্ম তন্তু রাখা হয়। এর ফলে তৈরি সুতা হয় মসৃণ, মজবুত ও উচ্চমানসম্পন্ন।
৩. হেকলিং (Heckling): এটি মূলত লিনেন বা ফ্ল্যাক্স তন্তুর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এখানে ধাতব চিরুনি দিয়ে ফাইবার টেনে অপরিষ্কার অংশ ও ছোট তন্তু সরানো হয়, ফলে ফাইবার আরও পরিষ্কার, শক্ত ও অভিন্ন হয়।
৪. এই তিনটি ধাপ তন্তুকে কাঁচা অবস্থান থেকে সুতার উপযোগী অবস্থায় রূপান্তরিত করে, ফলে উৎপন্ন সুতা হয় সমান, টেকসই ও মানসম্মত।
৫. তাই বলা যায়, কার্ডিং, কম্বিং এবং হেকলিং — এই তিনটি ধাপই তন্তু প্রসেসিংয়ের অপরিহার্য ও সঠিক অংশ।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি প্রোটিন দিয়ে তৈরী নয়?
Created: 11 hours ago
A
গ্লাইকোজেন
B
এন্টিজেন
C
এনজাইম
D
ইনসুলিন
গ্লাইকোজেন একটি জটিল কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate), এটি কোনো প্রোটিন নয়। এটি হলো বহু গ্লুকোজ অণু দ্বারা গঠিত একটি পলিস্যাকারাইড (Polysaccharide), যা প্রাণীদেহে শক্তি সঞ্চয়ের একটি প্রধান রূপ হিসেবে কাজ করে।
-
গঠন ও অবস্থান: গ্লাইকোজেন মূলত যকৃত (Liver) ও পেশী (Muscle) টিস্যুতে সঞ্চিত থাকে। শরীরে যখন শক্তির প্রয়োজন হয়, তখন এটি দ্রুত গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে কোষকে জ্বালানি সরবরাহ করে।
-
ভূমিকা: এটি শরীরের অস্থায়ী শক্তি ভাণ্ডার, যা উপবাস বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের সময় রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
অন্য বিকল্পগুলোর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ—
-
অ্যান্টিজেন (Antigen): এটি এমন একটি পদার্থ যা দেহে প্রবেশ করলে ইমিউন সিস্টেমকে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে উদ্দীপিত করে। অধিকাংশ অ্যান্টিজেনই প্রোটিন বা পলিস্যাকারাইড প্রকৃতির।
-
এনজাইম (Enzyme): এগুলো হলো প্রোটিনজাত অনুঘটক, যা দেহে সংঘটিত বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ইনসুলিন (Insulin): এটি একটি পেপটাইড হরমোন, যা অগ্ন্যাশয় (Pancreas) থেকে নিঃসৃত হয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্লুকোজকে কোষে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে।
অতএব, গ্লাইকোজেন প্রোটিন নয়, বরং এটি একটি শক্তি সঞ্চয়কারী কার্বোহাইড্রেট যৌগ, যা প্রাণীদেহের বিপাক প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ।

0
Updated: 11 hours ago
একজন বয়স্ক মানুষ পোশাক নির্বাচনে কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়?
Created: 23 hours ago
A
ফ্যাশন
B
স্টাইল
C
আরাম
D
পোশাকের দাম
বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরাম বা স্বাচ্ছন্দ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়, কারণ এটি তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন পোশাকের ধরন নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব ফেলে।
-
শারীরিক পরিবর্তন: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক হয় অধিক সংবেদনশীল এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই এমন পোশাক প্রয়োজন যা নরম, বায়ু চলাচলযোগ্য এবং ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করে না।
-
সহজে পরিধানযোগ্যতা: বয়স্করা প্রায়ই শারীরিক নড়াচড়ায় সীমাবদ্ধতা অনুভব করেন। আরামদায়ক পোশাক সাধারণত সহজে পরা ও খোলা যায়, যা দৈনন্দিন ব্যবহারে সুবিধা দেয়।
-
স্বাস্থ্যগত কারণ: আঁটসাঁট বা শক্ত কাপড় রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত করে এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে। ঢিলেঢালা, হালকা ও নরম কাপড় শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং আরাম নিশ্চিত করে।
-
তাপমাত্রা ও আরামের ভারসাম্য: বয়স্কদের জন্য পোশাক এমন হওয়া উচিত যা গরমে ঠান্ডা ও শীতে উষ্ণ রাখে, ফলে শরীরের তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে।
-
মানসিক স্বাচ্ছন্দ্য: আরামদায়ক পোশাক শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিক প্রশান্তিও এনে দেয়, যা বয়স্কদের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে আরও আরামদায়ক করে তোলে।

0
Updated: 23 hours ago
বাহ্যিক দৃষ্টিতে কোন রং দেহের আয়তন হ্রাস করে?
Created: 1 day ago
A
লাল
B
নীল
C
হলুদ
D
কমলা
নীল রং বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেহের আয়তন কমিয়ে দেখায়, কারণ এটি শীতল রং (Cool Color) হিসেবে আলো কম প্রতিফলিত করে এবং বস্তুকে চোখে পিছনে সরিয়ে ছোট দেখানোর ভ্রম সৃষ্টি করে। মানুষের দৃষ্টিভ্রমে রঙের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, এবং রঙকে সাধারণত দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়।
-
উষ্ণ রং (Warm Colors): যেমন লাল, কমলা, হলুদ ইত্যাদি। এই রংগুলো চোখে সামনের দিকে এগিয়ে আসার ভ্রম তৈরি করে। ফলে কোনো বস্তু বা দেহ আসল আকারের তুলনায় বড় বা স্থূল দেখায়।
-
শীতল রং (Cool Colors): যেমন নীল, সবুজ, বেগুনি ইত্যাদি। এই রংগুলো দৃষ্টিতে পিছনের দিকে সরে যাওয়া বা সঙ্কুচিত হওয়ার অনুভূতি সৃষ্টি করে, ফলে কোনো বস্তুকে বা দেহকে ছোট ও সরু দেখায়।
-
নীল রং যেহেতু আলো কম প্রতিফলিত করে, তাই এটি তুলনামূলকভাবে শান্ত, স্থির ও ঠান্ডা প্রভাব সৃষ্টি করে।
-
এই কারণেই ফ্যাশন, অভ্যন্তরীণ নকশা ও চিত্রকলায় নীল ও অন্যান্য শীতল রং ব্যবহার করা হয় সঙ্কোচন, গভীরতা ও স্থিরতার অনুভূতি প্রকাশে।

0
Updated: 1 day ago