কোন দিক দিয়ে কাপড় কাটলে বেশী টেকসই হয়?
A
পড়েন সুতার
B
টানা সুতার
C
আড় সুতার
D
তেরছা সুতার
উত্তরের বিবরণ
পোশাক তৈরির কাজ শুরু হওয়ার আগে কাপড়কে উপযুক্ত অবস্থায় আনা খুবই জরুরি। এতে কাপড়ের মাপ, আকৃতি এবং গুণগত মান বজায় থাকে এবং চূড়ান্ত পোশাক নিখুঁতভাবে তৈরি হয়।
১. চূড়ান্ত প্যাটার্ন তৈরি: দেহের মাপ অনুযায়ী বাদামি কাগজে প্যাটার্ন তৈরি করা হয় এবং সেই অনুসারে কাপড় কাটা হয়।
২. পানিতে ডুবানো: কাটার আগে কাপড় ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে নিতে হয়। ধোয়ার পর কাপড় থেকে পানি নিংড়ে ঝুলিয়ে শুকাতে হয়। এতে কাপড়ের বুনন সংকুচিত হয় এবং মাড় বা রাসায়নিক পদার্থ দূর হয়, ফলে পরে সংকোচনের ঝুঁকি থাকে না।
৩. ধার সোজা করা: কাপড়ের ধার সোজা না থাকলে কাটা সঠিক হয় না। তাই হালকা ভেজা অবস্থায় কাপড় টেনে ইস্ত্রি করে ধার সোজা করা হয় যাতে সেলাইয়ের সময় কাপড় বেঁকে না যায়।
৪. ইস্ত্রি করা: ধোয়ার পর কাপড়ে কুঁচকানো ভাব দূর করতে ইস্ত্রি করা প্রয়োজন। এতে কাপড় সমতল হয় এবং প্যাটার্ন বসিয়ে নিখুঁতভাবে কাটা যায়।
৫. গ্রেন লাইন ঠিক রাখা: কাপড়ের টানা (লম্বা) ও পড়েন (আড়া) সুতার দিক অনুযায়ী কাটাই গুরুত্বপূর্ণ। টানা সুতার দিকে কাটলে কাপড় বেশি টেকসই হয়, তবে বিশেষ নকশা বা গলার অংশে তেরছাভাবে কাটা প্রয়োজন হয় যাতে কাঙ্ক্ষিত আকৃতি পাওয়া যায়।
৬. কাপড় কাটা ও সেলাই: সব প্রস্তুতি শেষে প্যাটার্ন অনুযায়ী কাপড় কেটে সেলাই করা হয়, যা পোশাক তৈরির চূড়ান্ত ধাপ।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ বর্ণ আভ্যন্তরীন গৃহসহজ্জায় ঘরের আয়তন বৃদ্ধিতে কার্যকর?
Created: 11 hours ago
A
উষ্ণ
B
একক
C
বিপরীত
D
দ্বি বিপরীত
ঘরের ভেতরে স্থানকে দৃশ্যত বৃহৎ ও প্রশস্ত দেখানোর জন্য একক বর্ণ স্কিম (Monochromatic Color Scheme) অত্যন্ত কার্যকর একটি নকশা কৌশল। এতে একই রঙের বিভিন্ন শেড, টোন ও টিন্ট ব্যবহার করে এমন একটি ভিজ্যুয়াল ঐক্য তৈরি হয় যা ঘরকে সীমাহীন ও বিস্তৃত মনে করায়।
-
একক রঙের ব্যবহার: দেয়াল, আসবাব ও সজ্জায় একই রঙের হালকা থেকে গাঢ় শেড ব্যবহারে রঙের কোনো স্পষ্ট বিভাজন থাকে না।
-
দৃষ্টির ধারাবাহিকতা: একই রঙের কারণে দৃষ্টিগত সীমানা মুছে যায়, ফলে চোখ একটানা পুরো ঘর জুড়ে ঘুরে বেড়াতে পারে, যা ঘরকে অবিচ্ছিন্ন (Seamless) দেখায়।
-
বৃহত্তরতার অনুভূতি: রঙের সামঞ্জস্য ঘরের মধ্যে গভীরতা ও প্রশস্ততার ভ্রম সৃষ্টি করে, ফলে ঘর বাস্তবের তুলনায় বড় মনে হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য: সাধারণত হালকা টোন যেমন হালকা নীল, ধূসর বা ক্রিম ব্যবহার করলে আলো বেশি প্রতিফলিত হয় এবং স্থান আরও উজ্জ্বল ও প্রশস্ত দেখায়। একই রঙের পরিবারভুক্ত টেক্সচার বা ম্যাট ফিনিশ ব্যবহার করলেও এই প্রভাব আরও বাড়ে।

0
Updated: 11 hours ago
কোনটি বর্ধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
Created: 1 day ago
A
শৈশবে এরগতি ধীর থাকে
B
বিশেষ পরিবেশ ও শিক্ষনের প্রয়োজন হয়
C
নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সাধিত হয়
D
ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে
বর্ধন (Growth) বলতে দেহের আকার, উচ্চতা, ওজন এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরিমাণগত বৃদ্ধি বোঝায়, যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘটে। এটি মূলত শরীরের গঠনগত পরিবর্তনের সূচক, যেখানে কোষ সংখ্যা ও আয়তন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেহ বড় হতে থাকে।
-
বর্ধন হলো একটি পরিমাণগত (Quantitative) প্রক্রিয়া, অর্থাৎ এটি মাপা যায় — যেমন উচ্চতা, ওজন, দেহের দৈর্ঘ্য বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আকার।
-
এটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, সাধারণত কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকালের শেষে বর্ধন প্রক্রিয়া থেমে যায়।
-
বর্ধন শারীরিক দিক থেকে ঘটে, যেমন হাড়ের বৃদ্ধি, পেশির বিকাশ বা অঙ্গের সম্প্রসারণ।
-
বিকাশ (Development) হলো গুণগত (Qualitative) প্রক্রিয়া, যা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
-
বিকাশে মানসিক, সামাজিক, আবেগীয় ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা একজন ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করে।
-
সংক্ষেপে বলা যায়, বর্ধন দেহের আকার বাড়ায়, আর বিকাশ দেহ ও মনের সামগ্রিক পরিপক্বতা আনে।

0
Updated: 1 day ago
নমনীয় ও বহুমুখী আসবারের বৈশিষ্ট্য কোনটি?
Created: 11 hours ago
A
সহজে স্থানান্তরযোগ্য
B
স্থান সংকটের সমাধান করে
C
তুলনামূলকভাবে সস্তা
D
সব ধরনের পরিবারের জন্য কার্যকর
নমনীয় ও বহুমুখী আসবাবপত্র (Flexible and Multifunctional Furniture) এমন ধরনের আসবাব, যা একই সঙ্গে একাধিক কাজে ব্যবহার করা যায় এবং প্রয়োজনে আকার বা রূপ পরিবর্তন করতে সক্ষম। আধুনিক জীবনযাপনে, বিশেষ করে ছোট অ্যাপার্টমেন্ট বা সীমিত পরিসরের বাসস্থানে, এই ধরনের আসবাবপত্র স্থান সাশ্রয় ও ব্যবহারিক সুবিধা নিশ্চিত করে।
১. স্থান সাশ্রয়: এই আসবাবপত্র ঘরের অপ্রয়োজনীয় ভিড় কমিয়ে কার্যকরভাবে স্থান ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
২. বহুমুখী ব্যবহার: একটিমাত্র আসবাব একাধিক কাজে ব্যবহার করা যায়, যেমন—সোফা কাম বেড, ফোল্ডিং টেবিল, বা মডুলার ক্যাবিনেট।
৩. রূপ পরিবর্তনের সুবিধা: প্রয়োজনে এগুলো ভাঁজ করা, প্রসারিত করা বা স্থানান্তর করা যায়, যা ঘরের বিন্যাস পরিবর্তনে সুবিধা দেয়।
৪. কার্যকারিতা: বসা, শোয়া, কাজ করা বা জিনিস সংরক্ষণের মতো বিভিন্ন কাজ একই আসবাব দিয়ে করা সম্ভব।
৫. সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা: এই আসবাবপত্র ঘরকে সুবিন্যস্ত (Organized) ও প্রশস্ত (Spacious) দেখাতে সহায়তা করে, যা আধুনিক ও নান্দনিক গৃহসজ্জার একটি অপরিহার্য অংশ।

0
Updated: 11 hours ago