বস্ত্রের কুঞ্চন প্রতিরোধের জন্য তস্তুর কোন বৈশিষ্ট্য থাকা উচিৎ?
A
স্থিতিস্থাপকতা
B
সমরূপতা
C
বিশোষণ
D
রেসিলিয়েন্সি
উত্তরের বিবরণ
রেসিলিয়েন্সি হলো তন্তুর এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা তাকে চাপ বা ভাঁজ খাওয়ার পর দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরে আসতে সহায়তা করে। এটি কাপড়ের কুঁচক না পড়া ও মসৃণতা বজায় রাখার অন্যতম মূল উপাদান।
-
রেসিলিয়েন্সি (Resiliency) হলো তন্তুর ভাঁজ বা চাপ খাওয়ার পর পুনরায় আগের রূপে ফেরার ক্ষমতা।
-
যখন কোনো কাপড় কুঁচকে যায়, তখন এর তন্তুগুলো বাঁকা বা ভাঁজ হয়ে যায়।
-
যেসব তন্তুর রেসিলিয়েন্সি বেশি, তারা দ্রুত সোজা হয়ে যায়, ফলে কাপড় মসৃণ থাকে।
-
কাপড়ের এই কুঁচক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বলা হয় ক্রীজ রেসিস্ট্যান্স (Crease Resistance), যা সরাসরি রেসিলিয়েন্সির উপর নির্ভরশীল।
-
পশম (Wool) ও পলিয়েস্টার (Polyester) তন্তুতে রেসিলিয়েন্সি বেশি, তাই এগুলো সহজে কুঁচকে যায় না।
-
স্থিতিস্থাপকতা (Elasticity) হলো টান দিলে লম্বা হওয়া এবং টান ছেড়ে দিলে আগের আকারে ফিরে আসার ক্ষমতা, যা পোশাকের ফিটিং ও আরামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
-
সমরূপতা (Uniformity) তন্তুর দৈর্ঘ্য ও গুণমানের সমানতা নির্দেশ করে, যা পোশাকের সামগ্রিক গুণ বজায় রাখে।
-
বি শোষণ (Absorbency) হলো তন্তুর জল বা আর্দ্রতা শোষণের ক্ষমতা, যা পরিধানে আরাম ও রং গ্রহণের মানে প্রভাব ফেলে।
-
রেসিলিয়েন্সি বেশি থাকলে কাপড়ের আয়ু বেশি হয়, কারণ তা ভাঁজ, চাপ ও ধোয়ার প্রভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

0
Updated: 1 day ago
আসবাব নির্বাচনে প্রথম বিবেচ্য বিষয় কোনটি?
Created: 1 day ago
A
আসবারের স্থায়িত্ব
B
নিজ পেশা
C
কক্ষের অন্যান্য আসবাবের সাথে সামঞ্জস্য
D
দেশের কালচারের সাথে সামঞ্জস্য
আসবাবপত্র নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ গৃহস্থালি সিদ্ধান্ত, যা শুধু সৌন্দর্যের বিষয় নয় বরং ব্যবহারিক প্রয়োজন ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের সঙ্গেও সম্পর্কিত। স্থায়িত্ব (Durability) এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ—আসবাব সাধারণত দীর্ঘদিন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কেনা হয়, এবং টেকসই না হলে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি ঘটে যা অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আসবাবপত্র নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন—
-
পরিবারের আয় অনুযায়ী ব্যয় নির্ধারণ করা উচিত।
-
মূল্য যেন মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।
-
উপযোগিতা অর্থাৎ নির্দিষ্ট প্রয়োজন পূরণে আসবাবের সক্ষমতা থাকতে হবে।
-
প্রয়োজনীয়তা বিচার করে অপ্রয়োজনীয় জিনিস এড়ানো উচিত।
-
আরামদায়কতা ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।
-
নমনীয়তা বা ব্যবহারভেদে স্থানান্তরের সুবিধা থাকা ভালো।
-
স্থায়িত্ব অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারযোগ্যতা অবশ্যই যাচাই করতে হবে।
-
নির্মাণ উপকরণ যেমন কাঠ, ধাতু, বা প্লাস্টিক—গুণমানের দিক থেকে বিবেচনা করা জরুরি।
-
রুচি বা ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন বেছে নিতে হবে।
-
নকশা ঘরের সজ্জা ও ব্যবহারিক দিকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া দরকার।
-
পরিবারের আকার ও কাঠামো অনুযায়ী আসবাবের পরিমাণ ও আকার নির্ধারণ করতে হবে।
-
চাকরির প্রকৃতি যেমন স্থানান্তরযোগ্য পেশা হলে হালকা ও সহজে বহনযোগ্য আসবাব উত্তম।
-
যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হওয়া প্রয়োজন যাতে দীর্ঘস্থায়িত্ব বজায় থাকে।
-
কক্ষের আকার ও আয়তন অনুযায়ী উপযুক্ত মাপের আসবাব বেছে নেওয়া উচিত।
-
শিল্পনীতি ও উপাদান বিবেচনায় দেশীয় উৎপাদন ও মানসম্পন্ন উপকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া ভালো।

0
Updated: 1 day ago
দৈনিক ক্যালারির চাহিদা কিসের উপর নির্ভর করে?
Created: 23 hours ago
A
দেহের মৌল বিপাক
B
দৈহিক পরিশ্রম
C
খাদ্যের প্রভাব
D
উপরের সবকটি সঠিক
দৈনিক ক্যালরির চাহিদা মানুষের শরীরে শক্তির ভারসাম্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি মূলত শরীরের মোট শক্তি ব্যয়ের (Total Energy Expenditure – TEE) তিনটি প্রধান উপাদানের উপর নির্ভর করে। এই উপাদানগুলো শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম, শারীরিক পরিশ্রম এবং খাদ্য হজমের প্রক্রিয়ায় শক্তি ব্যয় নির্ধারণ করে।
-
দেহের মৌল বিপাক (Basal Metabolic Rate – BMR): এটি হলো শরীরের বিশ্রাম অবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন, রক্ত সঞ্চালন এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন ক্যালরির পরিমাণ। বয়স, লিঙ্গ, দেহের গঠন, ওজন এবং হরমোনের মাত্রা এর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
-
দৈহিক পরিশ্রম (Physical Activity): দৈনন্দিন কাজ যেমন হাঁটা, ওঠা-নামা, খেলাধুলা বা শ্রমের কাজের সময় অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহৃত হয়। পরিশ্রমের মাত্রা যত বেশি হবে, শরীরের ক্যালরি চাহিদাও তত বৃদ্ধি পাবে। এটি ব্যক্তির জীবনযাত্রার ধরণ ও পেশার উপর নির্ভর করে।
-
খাদ্যের প্রভাব (Thermic Effect of Food – TEF): খাবার হজম, শোষণ ও বিপাক প্রক্রিয়ায় যে শক্তি ব্যয় হয়, তাকে খাদ্যের তাপোৎপাদক প্রভাব বলা হয়। এটি মোট দৈনিক শক্তি ব্যয়ের প্রায় ৫-১০% অংশ জুড়ে থাকে।
-
অতিরিক্তভাবে, মোট ক্যালরি চাহিদা নির্ধারণে জীবনযাত্রার ধরণ, পরিবেশের তাপমাত্রা, এবং দেহের গঠনগত পার্থক্যও ভূমিকা রাখে। ভারসাম্যপূর্ণ ক্যালরি গ্রহণ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 23 hours ago
একটি পরিবারের বাবা, মা ও চার জন শিক্ষার্থী সন্তান রয়েছে। তাদের মাসিক আয় ৫০,০০০ টাকা হলে খাদ্য+বাসস্থান খাতে কত টাকা বাজেট বরাদ্দ যুক্তিযুক্ত হবে?
Created: 11 hours ago
A
১৫,০০০ টাকা + ৫,০০০ টাকা= ২০ হাজার টাকা
B
৩০,০০০ টাকা + ১০,০০০ টাকা= ৪০ হাজার টাকা
C
১০,০০০ টাকা + ১০,০০০ টাকা= ২০ হাজার টাকা
D
১৫,০০০ টাকা + ১৫,০০০ টাকা= ৩০ হাজার টাকা
যখন কোনো পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যের সংখ্যা উপার্জনকারী সদস্যের তুলনায় বেশি হয়, বিশেষ করে যদি সেখানে একাধিক শিক্ষার্থী সন্তান থাকে, তখন পরিবারের মোট আয়ের বেশিরভাগ অংশ মৌলিক চাহিদা যেমন খাদ্য ও বাসস্থান খাতে ব্যয় হওয়া স্বাভাবিক। এটি গৃহ ব্যবস্থাপনার বাজেট প্রণয়নের মৌলিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
-
পরিবারের সদস্য সংখ্যা: মোট ৬ জন — ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৪ জন শিশু/শিক্ষার্থী।
-
মাসিক মোট আয়: ৫০,০০০ টাকা।
-
খাদ্য খাতে ব্যয়: মোট আয়ের ৩০%, অর্থাৎ ৫০,০০০ × ০.৩০ = ১৫,০০০ টাকা।
-
বাসস্থান খাতে ব্যয়: মোট আয়ের ৩০%, অর্থাৎ ৫০,০০০ × ০.৩০ = ১৫,০০০ টাকা।
-
মোট ব্যয়: এই দুই খাতে ব্যয় হবে মোট ৬০%, অর্থাৎ (১৫,০০০ + ১৫,০০০) = ৩০,০০০ টাকা।
এই হিসাব অনুযায়ী, পরিবারের আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা নিম্ন-মধ্যবিত্ত বা নির্ভরশীল সদস্যসংখ্যা বেশি এমন পরিবারের সাধারণ অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। এছাড়া, অবশিষ্ট ৪০% আয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, পোশাক ও সঞ্চয় খাতে সুষমভাবে বণ্টন করা প্রয়োজন যাতে পরিবারটি আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে।

0
Updated: 11 hours ago