গৃহ সজ্জায় কিভাবে ছন্দ সৃষ্টি করা হয়?
A
রেখার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে
B
রং এর পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে
C
কক্ষে আলো-ছায়ার ব্যবহার
D
উপরের সবগুলিই সঠিক
উত্তরের বিবরণ
ছন্দ গৃহসজ্জার এমন একটি নান্দনিক উপাদান, যা চোখকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে সাহায্য করে। এটি পুরো নকশায় সুষম গতি, ধারাবাহিকতা ও দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য সৃষ্টি করে।
-
রেখার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে: নকশা বা আসবাবের রেখাগুলোকে বারবার ব্যবহার করলে একটি সুনির্দিষ্ট ছন্দ তৈরি হয়। যেমন—লম্বা টেবিলের পায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জানালার খড়খড়ি বা দেওয়ালের উল্লম্ব স্ট্রাইপ ব্যবহার করা হলে তা নকশায় ভারসাম্য ও ছন্দ এনে দেয়।
-
রঙের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে: কোনো নির্দিষ্ট রঙ ঘরের বিভিন্ন উপকরণে যেমন পর্দা, কুশন, কার্পেট বা ফুলদানিতে পুনরায় ব্যবহার করলে দৃষ্টিতে ধারাবাহিক প্রবাহ তৈরি হয়।
-
আলো-ছায়ার ব্যবহারে: সঠিক আলো ও ছায়ার তারতম্য এবং বৈসাদৃশ্যের মাধ্যমে একটি স্বাভাবিক গতি ও গভীরতা সৃষ্টি হয়, যা কক্ষের নান্দনিকতায় ছন্দ যোগ করে।
-
আকার ও আকৃতির পুনরাবৃত্তি: একই ধরনের বস্তুর আকার, প্যাটার্ন বা বিন্যাস বারবার ব্যবহার করলে দৃষ্টিতে ছন্দ বজায় থাকে।
-
বিন্যাসের সামঞ্জস্যতা: আসবাব বা সজ্জার উপকরণ সমান দূরত্বে বা ছন্দময়ভাবে সাজালে পুরো স্থাপনায় ভারসাম্য ও সাদৃশ্য তৈরি হয়।

0
Updated: 1 day ago
মসলিন বস্ত্রের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণ কি?
Created: 11 hours ago
A
আধুনিক নকশার প্রয়োগ
B
সুক্ষ্ম বয়ন বিন্যাস
C
তাপ সুপরিবাহী
D
সাধারণ তাঁতের ব্যবহার
মসলিন বস্ত্রের বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জনের মূল কারণ ছিল এর অবিশ্বাস্য সূক্ষ্মতা ও অতুলনীয় গুণগত মান। এটি এমন এক শিল্পকর্ম ছিল যা প্রাচীন বাংলার তাঁতশিল্পীদের নিপুণতা, ধৈর্য এবং দক্ষতার প্রতিফলন বহন করত।
-
সূক্ষ্মতা (Fineness): মসলিন তৈরি করা হতো এক বিশেষ প্রজাতির তুলা ফুটি কার্পাস (Phuti Karpass) থেকে, যা বিশ্বের অন্যতম সূক্ষ্ম তুলা হিসেবে পরিচিত। এই তুলা থেকে চরকা ও তাঁতের সাহায্যে এমন সূক্ষ্ম ও কোমল সুতা প্রস্তুত করা হতো, যার সঙ্গে অন্য কোনো সুতার তুলনা করা যেত না। এর গঠন ছিল এতটাই হালকা ও মোলায়েম যে সূর্যালোকের নিচে এটি প্রায় অদৃশ্য মনে হতো।
-
বয়ন বিন্যাস (Weaving Structure): এই সূক্ষ্ম সুতা হাতে বোনা হতো অভূতপূর্ব নিপুণতায়। তাঁতীরা এমনভাবে বুনন করতেন যে কাপড়টি হতো অত্যন্ত হালকা, প্রায় স্বচ্ছ ও বাতাসের মতো কোমল, যা ‘woven air’ নামেও পরিচিত ছিল। এই সূক্ষ্মতার কারণে একটি সম্পূর্ণ মসলিন শাড়ি একটি আংটির ভেতর দিয়ে টেনে বের করা যেত, যা এর সৌন্দর্য ও খ্যাতিকে আরও অনন্য করে তুলেছিল।
-
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা: মসলিনের গুণমান ও সৌন্দর্য ইউরোপসহ সারা বিশ্বে অভিজাত সমাজের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। এটি কেবল বস্ত্র নয়, বরং এক ধরনের ঐতিহ্যবাহী শিল্পসৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো।

0
Updated: 11 hours ago
আসবাব নির্বাচনে প্রথম বিবেচ্য বিষয় কোনটি?
Created: 1 day ago
A
আসবারের স্থায়িত্ব
B
নিজ পেশা
C
কক্ষের অন্যান্য আসবাবের সাথে সামঞ্জস্য
D
দেশের কালচারের সাথে সামঞ্জস্য
আসবাবপত্র নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ গৃহস্থালি সিদ্ধান্ত, যা শুধু সৌন্দর্যের বিষয় নয় বরং ব্যবহারিক প্রয়োজন ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের সঙ্গেও সম্পর্কিত। স্থায়িত্ব (Durability) এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ—আসবাব সাধারণত দীর্ঘদিন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কেনা হয়, এবং টেকসই না হলে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি ঘটে যা অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আসবাবপত্র নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন—
-
পরিবারের আয় অনুযায়ী ব্যয় নির্ধারণ করা উচিত।
-
মূল্য যেন মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।
-
উপযোগিতা অর্থাৎ নির্দিষ্ট প্রয়োজন পূরণে আসবাবের সক্ষমতা থাকতে হবে।
-
প্রয়োজনীয়তা বিচার করে অপ্রয়োজনীয় জিনিস এড়ানো উচিত।
-
আরামদায়কতা ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।
-
নমনীয়তা বা ব্যবহারভেদে স্থানান্তরের সুবিধা থাকা ভালো।
-
স্থায়িত্ব অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারযোগ্যতা অবশ্যই যাচাই করতে হবে।
-
নির্মাণ উপকরণ যেমন কাঠ, ধাতু, বা প্লাস্টিক—গুণমানের দিক থেকে বিবেচনা করা জরুরি।
-
রুচি বা ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন বেছে নিতে হবে।
-
নকশা ঘরের সজ্জা ও ব্যবহারিক দিকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া দরকার।
-
পরিবারের আকার ও কাঠামো অনুযায়ী আসবাবের পরিমাণ ও আকার নির্ধারণ করতে হবে।
-
চাকরির প্রকৃতি যেমন স্থানান্তরযোগ্য পেশা হলে হালকা ও সহজে বহনযোগ্য আসবাব উত্তম।
-
যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হওয়া প্রয়োজন যাতে দীর্ঘস্থায়িত্ব বজায় থাকে।
-
কক্ষের আকার ও আয়তন অনুযায়ী উপযুক্ত মাপের আসবাব বেছে নেওয়া উচিত।
-
শিল্পনীতি ও উপাদান বিবেচনায় দেশীয় উৎপাদন ও মানসম্পন্ন উপকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া ভালো।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি শুদ্ধভাষা শিখার সঠিক কৌশল?
Created: 11 hours ago
A
অতি ধীরে স্পষ্টভাবে কথা কলা
B
খুব সহজ শব্দ ব্যবহার করা
C
অপরিচিত শব্দের পরিচিত বিকল্প না দেয়া
D
কথায় পুনরাবৃত্তি করা
অতি ধীরে ও স্পষ্টভাবে কথা বলা শুদ্ধ ভাষা শেখা ও শেখানোর একটি কার্যকর কৌশল, কারণ এটি শিক্ষার্থীদের সঠিক উচ্চারণ, শব্দবিন্যাস ও শ্রবণ-অনুধাবন ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করে।
-
স্পষ্ট উচ্চারণ ও বোধগম্যতা: ধীরে কথা বললে শ্রোতা প্রতিটি শব্দের ধ্বনি, উচ্চারণ ও অর্থ স্পষ্টভাবে শুনতে ও বুঝতে পারে, ফলে ভাষার ধ্বনিগত উপাদান (Phonetics) সঠিকভাবে আয়ত্ত করা সহজ হয়।
-
অনুকরণের সুবিধা: শিশুরা ভাষা শেখে অনুকরণের মাধ্যমে, তাই ধীর ও স্পষ্ট উচ্চারণে বলা কথা তারা সহজেই স্বরক্ষেপণ (Intonation), শব্দপ্রবাহ ও বাক্যগঠন অনুকরণ করতে পারে।
-
ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ধীরে বলা শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পর্যাপ্ত সময় দেয়, ফলে তারা নতুন শব্দ ও ভাষা কাঠামো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ধারণ করতে সক্ষম হয়।
-
যোগাযোগের মানোন্নয়ন: স্পষ্টভাবে কথা বলার অভ্যাস ভাষার বোধগম্যতা ও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করে, যা শেখা ও শেখানোর উভয় প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।

0
Updated: 11 hours ago