লাই পরীক্ষায় তন্তু দুটি সম্পূর্ণভাবে দ্রবীভূত হয়ে যাবে?
A
রেশম ও পশম
B
নাইলন ও রেশম
C
তুলা ও লিনেন
D
পশম ও ফ্ল্যাক্স
উত্তরের বিবরণ
লাই পরীক্ষা হলো এমন একটি রাসায়নিক পরীক্ষা, যেখানে তন্তুগুলোকে শক্ত ক্ষার (strong alkali) দ্রবণে রেখে তাদের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মাধ্যমে তন্তুর প্রকারভেদ নির্ণয় করা যায়, কারণ বিভিন্ন তন্তু ক্ষারের সঙ্গে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করে।
-
প্রাকৃতিক প্রোটিন তন্তু, যেমন রেশম (Silk) ও পশম (Wool) ক্ষার দ্রবণে দ্রুত দ্রবীভূত হয়ে যায়, কারণ এদের গঠন প্রোটিনভিত্তিক এবং ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ভেঙে যায়।
-
নাইলন (Nylon) একটি সিনথেটিক পলিমার, যা ক্ষারের সঙ্গে খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া করে না, ফলে এটি সহজে দ্রবীভূত হয় না।
-
তুলা (Cotton) ও লিনেন (Linen) হলো সেলুলোজ তন্তু, যা ক্ষারে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিন্তু সম্পূর্ণ দ্রবীভূত হয় না।
-
পশম ও ফ্ল্যাক্স (Flax) তুলনা করলে দেখা যায়, ফ্ল্যাক্স ধীরে ক্ষারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু এটি দ্রবীভূত হয় না, যেখানে পশম সম্পূর্ণ দ্রবীভূত হয়।
-
এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়, তন্তুর রাসায়নিক গঠনই ক্ষারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার ধরন নির্ধারণ করে, ফলে এটি বস্ত্র শিল্পে তন্তু শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি তস্তু থেকে সুতা তৈরীর পর্যায়?
Created: 1 day ago
A
কার্ডিং
B
কম্বিং
C
হেক্লিং
D
সবকটি সঠিক
তন্তু থেকে সুতা তৈরির প্রক্রিয়া একটি ধারাবাহিক ধাপের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যেখানে প্রতিটি ধাপ তন্তুকে আরও পরিশোধিত, সমান এবং টেকসই করে তোলে। কার্ডিং, কম্বিং ও হেকলিং এই প্রক্রিয়ার প্রধান তিনটি ধাপ যা সুতার মান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১. কার্ডিং (Carding): এই ধাপে তন্তুগুলোকে আলাদা করে অগোছালো ফাইবারকে সোজা করা হয়। এতে ফাইবারগুলো সমানভাবে ছড়িয়ে স্লিভার (sliver) নামক একটি নরম, সমজাতীয় স্তর তৈরি হয়, যা পরবর্তী ধাপে ব্যবহারের উপযোগী।
২. কম্বিং (Combing): কার্ডিংয়ের পর এই ধাপে ছোট ও অপ্রয়োজনীয় ফাইবারগুলো সরিয়ে শুধুমাত্র দীর্ঘ ও সূক্ষ্ম তন্তু রাখা হয়। এর ফলে তৈরি সুতা হয় মসৃণ, মজবুত ও উচ্চমানসম্পন্ন।
৩. হেকলিং (Heckling): এটি মূলত লিনেন বা ফ্ল্যাক্স তন্তুর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এখানে ধাতব চিরুনি দিয়ে ফাইবার টেনে অপরিষ্কার অংশ ও ছোট তন্তু সরানো হয়, ফলে ফাইবার আরও পরিষ্কার, শক্ত ও অভিন্ন হয়।
৪. এই তিনটি ধাপ তন্তুকে কাঁচা অবস্থান থেকে সুতার উপযোগী অবস্থায় রূপান্তরিত করে, ফলে উৎপন্ন সুতা হয় সমান, টেকসই ও মানসম্মত।
৫. তাই বলা যায়, কার্ডিং, কম্বিং এবং হেকলিং — এই তিনটি ধাপই তন্তু প্রসেসিংয়ের অপরিহার্য ও সঠিক অংশ।

0
Updated: 1 day ago
হরিতকির মিশ্রন থেকে তুলে আয়রন মিশ্রিত পাত্রে ডোবালে কাপড়ে কি রং পাওয়া যায়?
Created: 1 day ago
A
হলুদ
B
জলপাই
C
কালো
D
লাল
হরীতকী ব্যবহার করে রং করার প্রক্রিয়া একটি প্রাকৃতিক ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি, যেখানে রাসায়নিক রঞ্জকের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ উপাদান ব্যবহৃত হয়। হরীতকী কাপড়ে স্থায়ী ও উজ্জ্বল রং আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে হয়—
-
কাপড়ের পরিমাণের অর্ধেক পরিমাণ হরীতকী (অর্ধেক পাকা ও অর্ধেক কাঁচা) নিয়ে সামান্য কাপড় কাচার সোডা মিশিয়ে একটি পাত্রে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
-
২৪ ঘণ্টা পর ৩০ মিনিট গরম করতে হবে, তারপর পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে মিশ্রণটি আলাদা রাখতে হবে।
-
অন্য একটি পাত্রে গরম পানিতে পটাশিয়াম বাইক্রোমেট পরিমাণমতো গুলে নিতে হবে।
-
কাপড়টি প্রথমে হরীতকী মিশ্রিত দ্রবণে ডুবিয়ে তুলে পরে পটাশিয়াম বাইক্রোমেট মিশ্রণে ডোবাতে হবে, এতে হলুদ রং পাওয়া যাবে।
-
যদি কাপড়টি কপার সালফেট মিশ্রণে ডোবানো হয়, তাহলে জলপাই রং উৎপন্ন হবে।
-
আর আয়রন মিশ্রণে ডোবালে কালো রং পাওয়া যাবে।
এই প্রক্রিয়ায় হরীতকী মূল রঞ্জক হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন ধাতব যৌগের সঙ্গে বিক্রিয়ায় বিভিন্ন শেডের প্রাকৃতিক রং সৃষ্টি করে, যা কাপড়ে স্থায়ীভাবে লেগে থাকে ও সহজে ম্লান হয় না।

0
Updated: 1 day ago
অতিরক্ষিত সন্তানের ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য?
Created: 23 hours ago
A
শিশুসুলভ আচরণের দীর্ঘ মেয়াদ
B
স্বাধীনচেতা মনোভাব
C
আক্রমনাত্মক আচরণ
D
নির্দেশ অমান্য করার প্রবনতা
অতিরিক্ত রক্ষিত সন্তানরা সাধারণত এমন একটি পরিবেশে বেড়ে ওঠে যেখানে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়া বা সমস্যার সমাধান করার সুযোগ খুব সীমিত থাকে। এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা তাদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে এবং শিশুসুলভ আচরণ দীর্ঘ সময় ধরে বজায় থাকে।
-
আবেগীয় নির্ভরশীলতা: এরা নিজেদের আবেগ ও সিদ্ধান্তের জন্য সবসময় অন্যের ওপর নির্ভর করে, বিশেষত পিতা-মাতা বা অভিভাবকের উপর।
-
আত্মবিশ্বাসের অভাব: যেহেতু তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত নয়, তাই নতুন বা কঠিন পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।
-
অস্বাধীনতা ও সিদ্ধান্তহীনতা: নিজের জীবন ও কর্মকাণ্ডে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা গড়ে ওঠে না, ফলে তারা প্রায়ই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বা ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।
-
সমস্যা সমাধানে দুর্বলতা: ছোট-বড় যে কোনো সমস্যার সমাধানে তারা অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভর করে, যার ফলে বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়।
-
শিশুসুলভ আচরণের স্থায়িত্ব: তারা বয়স বাড়লেও আচরণে শিশুসুলভ বৈশিষ্ট্য (যেমন—অতিরিক্ত বায়না ধরা, সহজ কাজ করতে অনীহা, আবেগপ্রবণতা) বজায় রাখে।
-
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব: এই ধরনের লালনপালন ভবিষ্যতে তাদের সামাজিক অভিযোজন, কর্মজীবন ও সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করে, কারণ তারা স্বাধীনভাবে চিন্তা ও কাজ করতে অভ্যস্ত হয় না।

0
Updated: 23 hours ago