কোয়াশিয়রকর রোগটি সাধারণত কোন বয়সের রোগ?
A
নবজাতক
B
১৩ থেকে ১৫ বছরের কিশোর
C
১ থেকে ৪ বছরের শিশু
D
৬০ বছরের বৃদ্ধ
উত্তরের বিবরণ
কোয়াশিয়রকর হলো এমন একটি রোগ যা শরীরে প্রোটিনের মারাত্মক অভাবে দেখা দেয়। এটি মূলত প্রোটিন-ক্যালরি ম্যালনিউট্রিশন জনিত সমস্যা, যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
-
সাধারণত ১ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি।
-
এই বয়সে শরীরের বৃদ্ধি ও বিকাশ দ্রুত হয়, তাই প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।
-
প্রোটিনের ঘাটতির কারণে শরীরে ওয়েডিং বা ফোলাভাব, পেট ফুলে যাওয়া, ও চামড়ার রঙ পরিবর্তন দেখা দেয়।
-
রোগীর চুল দুর্বল হয়ে ঝরে যায়, মুখ ও হাত-পায়ে পানি জমে স্ফীত অবস্থা তৈরি হয়।
-
দীর্ঘস্থায়ী কোয়াশিয়রকর শিশুর ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে, ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
-
যথাযথ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, দুধ, মাছ, মাংস, ডাল ও সয়াবিন গ্রহণের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
কোন রোগে প্রোটিন গ্রহণ নিয়ন্ত্রন করতে হয়?
Created: 11 hours ago
A
কিডনীর রোগ
B
যকৃতের রোগ
C
অন্ত্রের রোগ
D
ফুসফুসের রোগ
কিডনীর রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রোটিন গ্রহণ সীমিত রাখা অত্যন্ত জরুরি, কারণ কিডনীর কার্যকারিতা কমে গেলে প্রোটিন বিপাক থেকে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থ শরীরে জমে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।
-
প্রোটিন বিপাকের ফলাফল: শরীরে প্রোটিন ভাঙার ফলে ইউরিয়া ও অন্যান্য নাইট্রোজেনযুক্ত বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয়।
-
স্বাস্থ্যবান কিডনীর ভূমিকা: সুস্থ কিডনী এই বর্জ্য পদার্থগুলো রক্ত থেকে ছেঁকে মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়, ফলে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে।
-
অসুস্থ কিডনীর সমস্যা: কিডনী দুর্বল বা অসুস্থ হলে এই বর্জ্যগুলো ঠিকভাবে বের করতে পারে না, ফলে রক্তে ইউরিয়া ও নাইট্রোজেন যৌগ জমে যায়, যা ইউরেমিয়া নামে পরিচিত এবং শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
-
প্রোটিন নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য: প্রোটিন গ্রহণ কমালে কিডনীর ওপর কাজের চাপ হ্রাস পায় এবং বর্জ্য পদার্থের উৎপাদন কমে। এজন্য চিকিৎসকরা সাধারণত লো-প্রোটিন ডায়েট অনুসরণের পরামর্শ দেন।
-
অতিরিক্ত তথ্য: প্রোটিনের পরিমাণ নির্ধারণ রোগীর রক্তের ইউরিয়া স্তর ও কিডনী ফাংশন টেস্টের ফলাফল অনুযায়ী করা হয়। এছাড়া প্রয়োজনীয় শক্তি বজায় রাখতে শর্করা ও চর্বি দ্বারা ক্যালোরির ঘাটতি পূরণ করা হয় যাতে শরীর শক্তি পায় কিন্তু কিডনীর উপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।

0
Updated: 11 hours ago