রেশম তন্তুকে পোড়ালে কী ধরনের গন্ধ পাওয়া যায়?
A
চুল পোড়া
B
কাপড় পোড়া
C
রাসায়নিক গন্ধ
D
মাংস পোড়া
উত্তরের বিবরণ
রেশম একটি প্রাকৃতিক তন্তু যা বিশেষ ধরনের লার্ভা বা সিল্ক ওর্ম দ্বারা তৈরি হয়। এটি প্রোটিনজাত পদার্থ ফিব্রিন দিয়ে গঠিত, যা গঠনে মানুষের চুলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
-
রেশম উৎপাদনকারী প্রাণী হলো প্রধানত প্রজাপতি বা কাঁকড়ি প্রজাতির লার্ভা।
-
রেশমের প্রধান উপাদান ফিব্রিন, যা একটি প্রোটিন এবং এর গঠন চুলের মতো তন্তুযুক্ত।
-
রেশম পোড়ালে প্রোটিন দাহ হয়ে চুল পোড়ার মতো গন্ধ সৃষ্টি করে, যা বেকিংয়ের গন্ধের সঙ্গেও তুলনীয়।
-
এই গন্ধের কারণ হলো প্রোটিন দহন প্রক্রিয়ায় অ্যামাইন যৌগের ভাঙন, যা একই ধরনের গন্ধ তৈরি করে।
-
রেশম পোড়ানোর সময় তন্তুটি কালচে ছাই রেখে যায় এবং সহজে ভস্মে পরিণত হয় না।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি প্রাণীজ তন্ত্রু?
Created: 11 hours ago
A
র্যামি
B
আলপাকা
C
ক্যাপক
D
লিনেন
আলপাকা (Alpaca) একটি প্রাণীজ তন্তু যা উচ্চমানের পোশাক ও বিলাসবহুল বস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত দক্ষিণ আমেরিকার উটজাতীয় প্রাণী আলপাকা-র লোম থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং গঠনে এটি উলের মতোই প্রোটিনভিত্তিক (কেরাটিন) তন্তু।
-
উৎস: আলপাকা তন্তু দক্ষিণ আমেরিকার পার্বত্য অঞ্চলে পালিত আলপাকা প্রাণীর লোম থেকে পাওয়া যায়।
-
প্রকৃতি: এটি প্রাণীজ তন্তু (Animal Fiber), যার গঠন প্রোটিনজাত।
-
বৈশিষ্ট্য: আলপাকা তন্তু নরম, হালকা, উষ্ণ ও উজ্জ্বল দীপ্তিযুক্ত। এটি সাধারণ উলের তুলনায় বেশি টেকসই ও অ্যালার্জি-মুক্ত।
-
ব্যবহার: উন্নতমানের সোয়েটার, শাল, কোট, ও কার্পেট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
-
র্যামি (Ramie): এটি একটি উদ্ভিজ্জ তন্তু (Vegetable Fiber), যা রামি গাছের কাণ্ড থেকে পাওয়া যায়।
-
ক্যাপক (Kapok): এটিও উদ্ভিজ্জ তন্তু, যা গাছের বীজ বা ফলের ভিতরের অংশ থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং সাধারণত বালিশ, কুশন ও লাইফজ্যাকেটে ব্যবহৃত হয়।
-
লিনেন (Linen): এটি শণ বা ফ্ল্যাক্স (Flax) গাছের কাণ্ড থেকে প্রাপ্ত একধরনের উদ্ভিজ্জ তন্তু, যা শক্ত, শোষণক্ষম এবং ঠান্ডা অনুভূতিদায়ক কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 11 hours ago
প্রকৃত আয় কোনটি?
Created: 1 day ago
A
মাসিক বেতন
B
বাড়িভাড়া
C
ছাদ কৃষি
D
সঞ্চয়ের মুনাফা
গৃহ ব্যবস্থাপনায় আয় (Income) বলতে পরিবারের অর্থনৈতিক ও মানসিক চাহিদা পূরণের জন্য প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের সম্পদ বা সুবিধাকে বোঝায়। এটি কেবল অর্থে সীমাবদ্ধ নয়, বরং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার সব উপায়কেই অন্তর্ভুক্ত করে। সাধারণভাবে গৃহ আয়কে তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করা হয়।
-
আর্থিক আয় (Money Income): এটি হলো সেই আয়, যা সরাসরি হাতে আসে বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। উদাহরণ হিসেবে মাসিক বেতন, সঞ্চয় বা বিনিয়োগের মুনাফা, ভাড়ার টাকা ইত্যাদি উল্লেখ করা যায়। এই আয় পরিবারের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও পরিকল্পিত ব্যয় পরিচালনার মূল ভিত্তি।
-
প্রকৃত আয় (Real Income): এটি হলো পণ্য ও সেবার মাধ্যমে প্রাপ্ত সুবিধা, যা অর্থ ব্যয় ছাড়াই জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।
-
প্রত্যক্ষ প্রকৃত আয়: যে জিনিস বা সেবা নিজের মালিকানাধীন অথবা বিনা খরচে পাওয়া যায়, যেমন নিজের বাড়িতে বসবাস, ছাদ কৃষি থেকে সবজি পাওয়া, আত্মীয়ের সাহায্যে বিনা খরচে কাজ সম্পন্ন করা।
-
পরোক্ষ প্রকৃত আয়: অর্থ ব্যয় করে কোনো পণ্য বা সেবা অর্জন করা, যেমন বেতন দিয়ে কেনা খাবার, পোশাক বা গৃহস্থালি সামগ্রী। এটি অর্থ আয়কে বাস্তব জীবনের সুবিধায় রূপান্তর করে।
-
-
মানসিক আয় (Psychic Income): এটি হলো তৃপ্তি, আনন্দ, নিরাপত্তা ও মানসিক শান্তির অনুভূতি, যা অর্থমূল্যে পরিমাপযোগ্য নয়। যেমন চাকরির স্থায়িত্ব থেকে পাওয়া নিশ্চিন্ততা, নিজের ঘরের আরাম, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দ ইত্যাদি।
-
গৃহ ব্যবস্থাপনায় এই তিন ধরনের আয় একে অপরের পরিপূরক; আর্থিক আয় জীবনধারণে সহায়তা করে, প্রকৃত আয় জীবনমান উন্নত করে, আর মানসিক আয় জীবনকে পরিপূর্ণতা দেয়।

0
Updated: 1 day ago
কোন পদ্ধতিকে বন্ত্র রং করলে সব ক্ষেত্রেই সৃজনশীল নকশা পাওয়া যায়?
Created: 1 day ago
A
স্ক্রিন
B
টাই
C
ব্লক
D
রোলার
বিভিন্ন প্রিন্টিং পদ্ধতির মাধ্যমে কাপড়ে নকশা তৈরির কৌশল ভিন্ন হয়। প্রতিটি পদ্ধতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকলেও, সৃজনশীলতার পরিমাণ সব ক্ষেত্রে সমান নয়। নিচে প্রতিটি পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য ও সৃজনশীলতার মাত্রা তুলে ধরা হলো।
১. স্ফিন (Screen Printing) – নির্দিষ্ট ছাঁচ বা স্ক্রিনের মাধ্যমে আগে থেকে তৈরি নকশা কাপড়ে ছাপানো হয়। প্রতিবার একই স্ক্রিন ব্যবহৃত হওয়ায় নকশা একরূপ থাকে এবং নতুন সৃষ্টির সুযোগ কম।
২. টাই অ্যান্ড ডাই (Tie and Dye) – কাপড়ের অংশবিশেষ বেঁধে রং দেওয়ায় প্রতিবার রঙের ছড়ানো ভিন্নভাবে ঘটে। ফলে প্রতিবার নতুন ও অভিনব নকশা সৃষ্টি হয়, যা এই পদ্ধতিকে অত্যন্ত সৃজনশীল করে তোলে।
৩. ব্লক প্রিন্টিং (Block Printing) – কাঠ বা ধাতুর ব্লক দিয়ে নকশা ছাপানো হয়। একই ব্লক ব্যবহারে নকশা পুনরাবৃত্তি হয়, তাই এতে সৃজনশীলতা সীমিত থাকে।
৪. রোলার প্রিন্টিং (Roller Printing) – বৃহৎ যন্ত্র বা রোলারের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে একই নকশা ব্যাপকভাবে ছাপানো হয়। এটি মূলত শিল্পোৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত, ফলে নকশায় বৈচিত্র্য বা নতুনত্বের সুযোগ কম।
এই তুলনায় দেখা যায়, টাই অ্যান্ড ডাই পদ্ধতিই একমাত্র এমন প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতিবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে নতুন নকশা সৃষ্টি হয়।

0
Updated: 1 day ago