সংস্কৃত ভাষায় লিখিত জ্যোতির্বিদ্যা গ্রন্থ 'সিদ্ধান্ত'-কে ইবনে মুকাফফাআরবীতে অনুবাদ করেন?
A
ইবনে মুকাফফা
B
মুহাম্মদ বিন আবদুর রহমান
C
ইয়াহইয়া ইবন খালিদ
D
মুহাম্মদ বিন ইব্রাহীম আল-ফাজারী
উত্তরের বিবরণ
আবু জাফর আল-মনসুর এর শাসনামলে প্রথমবারের মতো গ্রীক ও সংস্কৃত ভাষার পুস্তকসমূহকে আরবি ভাষায় অনুবাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে খলীফা হারুন-অর-রশীদের সময় ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করে। এই সময় থেকেই ইসলামী বিশ্বে জ্ঞান-বিজ্ঞান, দর্শন ও জ্যোতির্বিদ্যার অনুবাদ আন্দোলনের সূচনা ঘটে।
-
আবু জাফর আল-মনসুরের আমলেই ইসলামের প্রথম জ্যোতির্বিদ হিসেবে পরিচিত মুহাম্মদ বিন ইব্রাহীম আল-ফাজারী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
-
তিনি সংস্কৃত ভাষায় রচিত জ্যোতির্বিদ্যা গ্রন্থ ‘সিদ্ধান্ত’-কে আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন।
-
এই অনুবাদের মাধ্যমে ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যা জ্ঞান ইসলামী বিশ্বে প্রবেশ করে, যা পরবর্তীতে বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিদ্যার উন্নয়নে গভীর প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 16 hours ago
হজরত মুহাম্মদ (সঃ) খন্দক যুদ্ধের অভিনব কৌশল কার পরামর্শে গ্রহণ করলেন?
Created: 16 hours ago
A
হযরত সালমান ফারসী
B
হযরত আবু বকর (রাঃ)
C
হযরত ওসমান (রাঃ)
D
হযরত সা'দ (রাঃ)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ মদিনায় এক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যেখানে ইসলামের শত্রুরা সম্মিলিতভাবে মুসলমানদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধ ইসলামী ইতিহাসে কৌশল, ঐক্য ও বিশ্বাসের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে পরিচিত।
-
এই যুদ্ধে কুরাইশ, বেদুইন ও ইহুদিরা মিলিতভাবে মদিনা আক্রমণ করে।
-
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পারস্যের সাহাবী সালমান ফারসির পরামর্শে মদিনার চারপাশে পরিখা খনন করেন, যা ছিল সেই সময়ের এক অভিনব প্রতিরক্ষা কৌশল।
-
পবিত্র কুরআনে এই যুদ্ধকে “আহযাবের যুদ্ধ” বলা হয়েছে, যার অর্থ “সম্মিলিত বাহিনীর যুদ্ধ”।

0
Updated: 16 hours ago
হাব আল ফুজ্জার কী?
Created: 16 hours ago
A
অন্যায় সমর
B
ন্যায় প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ
C
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
D
আত্মঘাতী যুদ্ধ
৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের জিলকদ মাসে মক্কার উকাজ মেলায় ঘোড়াদৌড়, জুয়া খেলা ও কবিতা প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে কুরাইশ ও কায়েস গোত্রের মধ্যে এক ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়, যা ইতিহাসে হাব আল-ফিজ্জার বা “অন্যায় যুদ্ধ” নামে পরিচিত। এই সংঘর্ষ ছিল আরব সমাজের গোত্রীয় বিভাজন ও অহংবোধের প্রতিফলন।
-
যুদ্ধটি প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলে এবং এতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ও রক্তপাত ঘটে।
-
এই নিষ্ঠুর যুদ্ধের দৃশ্য মহানবী (সা.)-এর মনে গভীর বেদনা ও অনুশোচনা সৃষ্টি করে।
-
পরবর্তীতে তিনি ৫৯০ খ্রিস্টাব্দে সমমনা ও ন্যায়প্রিয় যুবকদের নিয়ে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন, যার নাম ছিল হিলফুল ফুজুল (শান্তি সংঘ)।
-
এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল মক্কায় শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা, এবং গোত্রীয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত থেকে সমাজকে রক্ষা করা।

0
Updated: 16 hours ago
আব্বাসিয় খলিফা কাদির বিল্লাহ কোন্ সুলতানকে 'আমিন-উল-মিল্লাত' উপাধিতে ভূষিত করেন?
Created: 4 days ago
A
সুলতান মাহমুদ
B
সুলতান নূহ-বিন- মানসুর
C
সুলতান মাসুদ
D
সুলতান মওদুদ
সুলতান মাহমুদ গজনভি ছিলেন গজনির আমির সবক্তুগীনের পুত্র এবং গজনি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা আলপ্তগীনের ক্রীতদাস ও জামাতা।
মূল ধারণাসমূহ—
-
তিনি ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে গজনীর সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং পরবর্তীতে গজনি সাম্রাজ্যকে একটি শক্তিশালী ইসলামী সাম্রাজ্যে রূপ দেন।
-
তাঁর শাসনামলে গজনি রাজনৈতিক, সামরিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়।
-
বাগদাদের খলিফা কাদির বিল্লাহ তাঁর অবদানে সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে “ইয়ামিন-উদ-দৌলা” (রাষ্ট্রের ডান হাত) এবং “আমিন-উল-মিল্লাত” (ধর্মের রক্ষক) উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
সুলতান মাহমুদ ছিলেন ইসলামের এক প্রতাপশালী শাসক ও প্রচারক, যিনি ভারতবর্ষে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে ইসলামী প্রভাব বিস্তার করেন।

0
Updated: 4 days ago