মহাগ্রন্থ আল কোরআনের প্রমিত সংকলন চূড়ান্ত করা হয়-
A
প্রথম খলিফার আমলে
B
দ্বিতীয় খলিফার আমলে
C
তৃতীয় খলিফার আমলে
D
চতুর্থ খলিফার আমলে
উত্তরের বিবরণ
হযরত ওমর (রা.) এর খিলাফতের সময় ইসলাম দ্রুত বিভিন্ন অনারব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে কুরআনের উচ্চারণ ও পাঠভেদে পার্থক্য দেখা দেয়। এ বিভ্রান্তি দূর করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হলে, হযরত ওসমান (রা.) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেন যা ইসলামের ইতিহাসে এক বিশাল অবদান হিসেবে স্বীকৃত।
-
৬৫১ খ্রিস্টাব্দে, তিনি হযরত যায়েদ বিন সাবিত (রা.)-এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেন।
-
কমিটি রাসূল (সা.)-এর স্ত্রী ও হযরত ওমর (রা.)-এর কন্যা বিবি হাফসা (রা.)-এর নিকট সংরক্ষিত মূল কুরআনের পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করে তা থেকে একাধিক অনুলিপি প্রস্তুত করে।
-
এসব অনুলিপি বিভিন্ন ইসলামিক অঞ্চলে পাঠানো হয়, যাতে সমগ্র মুসলিম বিশ্বে একক মানের পাঠ প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
বিভ্রান্তি রোধে তিনি পুরনো ও ভিন্ন পাঠের কপি পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।
-
কুরআনকে একত্রিত ও সংরক্ষণের এই মহান উদ্যোগের জন্য হযরত ওসমান (রা.) ‘জামিউল কুরআন’ অর্থাৎ “কুরআন সংকলনকারী” উপাধিতে ভূষিত হন।

0
Updated: 16 hours ago
হজরত মুহাম্মদ (সঃ) খন্দক যুদ্ধের অভিনব কৌশল কার পরামর্শে গ্রহণ করলেন?
Created: 16 hours ago
A
হযরত সালমান ফারসী
B
হযরত আবু বকর (রাঃ)
C
হযরত ওসমান (রাঃ)
D
হযরত সা'দ (রাঃ)
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ মদিনায় এক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যেখানে ইসলামের শত্রুরা সম্মিলিতভাবে মুসলমানদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধ ইসলামী ইতিহাসে কৌশল, ঐক্য ও বিশ্বাসের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে পরিচিত।
-
এই যুদ্ধে কুরাইশ, বেদুইন ও ইহুদিরা মিলিতভাবে মদিনা আক্রমণ করে।
-
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পারস্যের সাহাবী সালমান ফারসির পরামর্শে মদিনার চারপাশে পরিখা খনন করেন, যা ছিল সেই সময়ের এক অভিনব প্রতিরক্ষা কৌশল।
-
পবিত্র কুরআনে এই যুদ্ধকে “আহযাবের যুদ্ধ” বলা হয়েছে, যার অর্থ “সম্মিলিত বাহিনীর যুদ্ধ”।

0
Updated: 16 hours ago
খলিফা হারুন-অর-রশীদের রাজত্বকাল আরব খিলাফতের স্বর্ণযুগ' মন্তব্যটি করেন-
Created: 16 hours ago
A
ফন ক্রেমার
B
যোসেফ ওয়েল হাউজেন
C
ফিলিপ কে হিট্রি
D
ফন গ্রুনিবাম
খলীফা হারুন-অর-রশীদ আব্বাসীয় খলীফাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক ও ইসলামী সভ্যতার স্বর্ণযুগের সূচনাকারী হিসেবে ইতিহাসে খ্যাত।
-
তাঁর শাসনামলে বাগদাদ ছিল জ্ঞান, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল।
-
তিনি ছিলেন দূরদর্শী, শক্তিশালী ও সংস্কৃতিমনা শাসক, যিনি রাষ্ট্র পরিচালনা ও সংস্কৃতির বিকাশে অসামান্য ভূমিকা রাখেন।
-
ঐতিহাসিক পি. কে. হিট্টি উল্লেখ করেছেন যে, নবম শতাব্দীর শুরুতে জাগতিক কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণে দুই মহান নৃপতির নাম বিশেষভাবে উল্লিখিত—পাশ্চাত্যে শার্লেমেন এবং প্রাচ্যে হারুন-অর-রশীদ।
-
হিট্টির মতে, এই দুইজনের মধ্যে হারুন-অর-রশীদ অধিক শক্তিশালী এবং উচ্চ সংস্কৃতির অধিকারী ছিলেন।

0
Updated: 16 hours ago
আরবের গোত্রপতি বাঁচাইয়ের পদ্ধতি ছিল?
Created: 4 days ago
A
জন্ম সূত্রে
B
বিত্তশালী হওয়া
C
গোত্রীয় ঐকমত্য
D
পেশীশক্তি
আরবের গোত্রভিত্তিক শাসনব্যবস্থায় প্রতিটি গোত্রের নেতৃত্ব দিতেন একজন গোত্রীয় প্রধান বা শায়খ। তিনি গোত্রের সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিচারকার্য পরিচালনা করতেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
প্রতিটি গোত্রে ‘শায়খ’ নামে একজন দলপতি বা নেতা নিযুক্ত থাকতেন।
-
বয়স, বিচারবুদ্ধি, সাহস, অর্থনৈতিক অবস্থান ও অভিজ্ঞতা যাচাই করে গোত্রীয় ঐকমত্য বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শায়খ নির্বাচিত হতেন।
-
শায়খের নেতৃত্ব স্থায়ী ছিল না; গোত্রীয় সিদ্ধান্ত বা নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে তাঁকে পরিবর্তন করা যেত।
-
এই শাসনব্যবস্থা ছিল মূলত গোত্রকেন্দ্রিক ও পরামর্শভিত্তিক, যা আরব সমাজে ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখত।

0
Updated: 4 days ago