হজরত মুহাম্মদ (সঃ) খন্দক যুদ্ধের অভিনব কৌশল কার পরামর্শে গ্রহণ করলেন?
A
হযরত সালমান ফারসী
B
হযরত আবু বকর (রাঃ)
C
হযরত ওসমান (রাঃ)
D
হযরত সা'দ (রাঃ)
উত্তরের বিবরণ
৬২৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ মদিনায় এক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যেখানে ইসলামের শত্রুরা সম্মিলিতভাবে মুসলমানদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধ ইসলামী ইতিহাসে কৌশল, ঐক্য ও বিশ্বাসের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে পরিচিত।
-
এই যুদ্ধে কুরাইশ, বেদুইন ও ইহুদিরা মিলিতভাবে মদিনা আক্রমণ করে।
-
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পারস্যের সাহাবী সালমান ফারসির পরামর্শে মদিনার চারপাশে পরিখা খনন করেন, যা ছিল সেই সময়ের এক অভিনব প্রতিরক্ষা কৌশল।
-
পবিত্র কুরআনে এই যুদ্ধকে “আহযাবের যুদ্ধ” বলা হয়েছে, যার অর্থ “সম্মিলিত বাহিনীর যুদ্ধ”।

0
Updated: 18 hours ago
হাব আল ফুজ্জার কী?
Created: 18 hours ago
A
অন্যায় সমর
B
ন্যায় প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ
C
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
D
আত্মঘাতী যুদ্ধ
৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের জিলকদ মাসে মক্কার উকাজ মেলায় ঘোড়াদৌড়, জুয়া খেলা ও কবিতা প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে কুরাইশ ও কায়েস গোত্রের মধ্যে এক ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়, যা ইতিহাসে হাব আল-ফিজ্জার বা “অন্যায় যুদ্ধ” নামে পরিচিত। এই সংঘর্ষ ছিল আরব সমাজের গোত্রীয় বিভাজন ও অহংবোধের প্রতিফলন।
-
যুদ্ধটি প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলে এবং এতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ও রক্তপাত ঘটে।
-
এই নিষ্ঠুর যুদ্ধের দৃশ্য মহানবী (সা.)-এর মনে গভীর বেদনা ও অনুশোচনা সৃষ্টি করে।
-
পরবর্তীতে তিনি ৫৯০ খ্রিস্টাব্দে সমমনা ও ন্যায়প্রিয় যুবকদের নিয়ে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন, যার নাম ছিল হিলফুল ফুজুল (শান্তি সংঘ)।
-
এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল মক্কায় শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা, এবং গোত্রীয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত থেকে সমাজকে রক্ষা করা।

0
Updated: 18 hours ago
খলিফা হারুন-অর-রশীদের রাজত্বকাল আরব খিলাফতের স্বর্ণযুগ' মন্তব্যটি করেন-
Created: 18 hours ago
A
ফন ক্রেমার
B
যোসেফ ওয়েল হাউজেন
C
ফিলিপ কে হিট্রি
D
ফন গ্রুনিবাম
খলীফা হারুন-অর-রশীদ আব্বাসীয় খলীফাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক ও ইসলামী সভ্যতার স্বর্ণযুগের সূচনাকারী হিসেবে ইতিহাসে খ্যাত।
-
তাঁর শাসনামলে বাগদাদ ছিল জ্ঞান, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল।
-
তিনি ছিলেন দূরদর্শী, শক্তিশালী ও সংস্কৃতিমনা শাসক, যিনি রাষ্ট্র পরিচালনা ও সংস্কৃতির বিকাশে অসামান্য ভূমিকা রাখেন।
-
ঐতিহাসিক পি. কে. হিট্টি উল্লেখ করেছেন যে, নবম শতাব্দীর শুরুতে জাগতিক কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণে দুই মহান নৃপতির নাম বিশেষভাবে উল্লিখিত—পাশ্চাত্যে শার্লেমেন এবং প্রাচ্যে হারুন-অর-রশীদ।
-
হিট্টির মতে, এই দুইজনের মধ্যে হারুন-অর-রশীদ অধিক শক্তিশালী এবং উচ্চ সংস্কৃতির অধিকারী ছিলেন।

0
Updated: 18 hours ago
সংস্কৃত ভাষায় লিখিত জ্যোতির্বিদ্যা গ্রন্থ 'সিদ্ধান্ত'-কে ইবনে মুকাফফাআরবীতে অনুবাদ করেন?
Created: 18 hours ago
A
ইবনে মুকাফফা
B
মুহাম্মদ বিন আবদুর রহমান
C
ইয়াহইয়া ইবন খালিদ
D
মুহাম্মদ বিন ইব্রাহীম আল-ফাজারী
আবু জাফর আল-মনসুর এর শাসনামলে প্রথমবারের মতো গ্রীক ও সংস্কৃত ভাষার পুস্তকসমূহকে আরবি ভাষায় অনুবাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে খলীফা হারুন-অর-রশীদের সময় ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করে। এই সময় থেকেই ইসলামী বিশ্বে জ্ঞান-বিজ্ঞান, দর্শন ও জ্যোতির্বিদ্যার অনুবাদ আন্দোলনের সূচনা ঘটে।
-
আবু জাফর আল-মনসুরের আমলেই ইসলামের প্রথম জ্যোতির্বিদ হিসেবে পরিচিত মুহাম্মদ বিন ইব্রাহীম আল-ফাজারী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
-
তিনি সংস্কৃত ভাষায় রচিত জ্যোতির্বিদ্যা গ্রন্থ ‘সিদ্ধান্ত’-কে আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন।
-
এই অনুবাদের মাধ্যমে ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যা জ্ঞান ইসলামী বিশ্বে প্রবেশ করে, যা পরবর্তীতে বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিদ্যার উন্নয়নে গভীর প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 18 hours ago