ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট হতে উদ্ভাবিত মোট জাতের সংখ্যা বর্তমানে কয়টি?
A
১২১
B
১২৫
C
১২৭
D
১২৯
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) দেশের ধান উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত তারা মোট ১২১টি উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—
-
ইনব্রিড জাত: ১১৩টি
-
হাইব্রিড জাত: ৮টি
এই জাতগুলো বিভিন্ন মৌসুম ও পরিবেশের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে—যেমন বোরো, আমন ও আউশ মৌসুমের জন্য পৃথক জাত। এর ফলে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষকরা আরও উপকৃত হচ্ছে।

0
Updated: 21 hours ago
গাছ ও মৌমাছি একসাথে পালন করার পদ্ধতিকে বলে -
Created: 1 day ago
A
এপিসিলভিকালচার
B
এগ্রিসিলভিকালচার
C
এগ্রোনপিকালচার
D
ডুয়েল কাল্টিভেশন
এপিসিলভিকালচার (Apisilviculture) হলো এমন একটি যৌথ পদ্ধতি যেখানে গাছ ও মৌমাছি একসাথে পালন করা হয়। এটি পরিবেশবান্ধব ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক একটি কৃষি-পদ্ধতি, যা মধু উৎপাদনের পাশাপাশি পরাগায়নের মাধ্যমে গাছের ফলনও বৃদ্ধি করে।
তথ্যগুলো সংক্ষেপে:
-
শব্দটি এসেছে দুটি অংশ থেকে: ‘Api’ অর্থ মৌমাছি বা মৌমাছি পালন, এবং ‘Silviculture’ অর্থ বন বা বনায়ন।
-
এই পদ্ধতিতে বন বা বাগানের গাছে মৌচাকের বাক্স স্থাপন করে মৌমাছি পালন করা হয়।
-
এতে একদিকে মধু সংগ্রহ করা যায়, অন্যদিকে মৌমাছির পরাগায়নের মাধ্যমে গাছের উৎপাদন ও প্রজনন বৃদ্ধি পায়।
-
ফলে এটি একযোগে মৌচাষ ও বনায়ন উভয়কে উন্নত করে এবং টেকসই কৃষি ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 1 day ago
BCR (Benefit Cost Ratio) ২ টাকা হলে কোন্ বাক্যটি সঠিক?
Created: 1 day ago
A
১ টাকা বিনিয়োগ করলে ২ টাকা লাভ হয়
B
১ টাকা বিনিয়োগ করলে ২ টাকা আয় হয়
C
১ টাকা বিনিয়োগ করলে ১ টাকা আয় হয়
D
১ টাকা বিনিয়োগ করলে ১.৫ টাকা আয় হয়
BCR বা Benefit-Cost Ratio হলো কোনো প্রকল্প বা বিনিয়োগের লাভজনকতা নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এটি নির্ণয় করা হয় মোট আয়কে মোট ব্যয়ে ভাগ করে।
তথ্যগুলো হলো:
-
সূত্র: BCR = মোট আয় ÷ মোট ব্যয়
-
যদি BCR = 2 টাকা হয়, তবে প্রতি ১ টাকা বিনিয়োগে মোট আয় ২ টাকা।
-
অর্থাৎ, মোট আয় = ২ টাকা, ব্যয় = ১ টাকা, ফলে
-
লাভ = ২ – ১ = ১ টাকা
উ. (খ)

0
Updated: 1 day ago
আমের হট্ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট (Hot Water Treatment) কেন করা হয়?
Created: 2 days ago
A
আমের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য
B
আমের রং আকর্ষণীয় করার জন্য
C
আমে বিদ্যমান ক্ষতিকর রাসায়নিকের জন্য
D
আমের সংগ্রহোত্তর রোগ দমনের জন্য
আম একটি ক্লাইম্যাক্টেরিক ফল, অর্থাৎ এটি সংগ্রহের পরও প্রাকৃতিকভাবে পাকতে থাকে। তবে এই পর্যায়ে যদি ফলকে উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্র পরিবেশে রাখা হয়, তবে তা সহজেই ছত্রাকজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এসব রোগ দমন ও ফলের গুণগত মান বজায় রাখতে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট (Hot Water Treatment)।
-
রোগ দমন: এই পদ্ধতিতে মূলত অ্যানথ্রাকনোজ (Anthracnose) ও ডিপ্লোডিয়া স্টেম-এন্ড রট (Stem-end Rot) জাতীয় ছত্রাকজনিত রোগের বীজাণু ধ্বংস করা হয়। এসব বীজাণু সাধারণত আমের ত্বকের উপর বা বোঁটার কাছাকাছি সুপ্ত অবস্থায় থাকে এবং ফল পাকার সময় সক্রিয় হয়ে রোগ সৃষ্টি করে।
-
প্রক্রিয়া: ফলগুলোকে ৪৮°–৫৫°C তাপমাত্রার গরম জলে ৫ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখা হয়।
-
এই প্রক্রিয়ায় ফলের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অংশে থাকা ছত্রাক ও রোগজীবাণু ধ্বংস হয়, ফলে ফলের সংরক্ষণকাল বৃদ্ধি পায়।
-
হট ওয়াটার ট্রিটমেন্টে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না, তাই এটি পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি পদ্ধতি।
-
এই প্রযুক্তি শুধু আম নয়, বরং পেঁপে, কলা, সাইট্রাস ও অন্যান্য রপ্তানিযোগ্য ফলেও সফলভাবে ব্যবহার করা হয়।

0
Updated: 2 days ago