ধানের জলবায়ু সচেতন কৃষি অনুশীলনের জন্য কোন্ সেচ পদ্ধতি কার্যকর?
A
বিকল্প ভেজানো ও শুকানোর সেচ পদ্ধতি (AWD)
B
বন্যা সেচ (Flood Irrigation)
C
স্প্রিংকলার (Sprinkler Irrigation) সেচ
D
ভূ-গর্তস্থ সেচ (Sub-surface Irrigation)
উত্তরের বিবরণ
ধান চাষে বিকল্প ভেজানো ও শুকানোর সেচ পদ্ধতি (AWD - Alternate Wetting and Drying) হলো একটি আধুনিক ও জলবায়ু-সচেতন (Climate Smart) প্রযুক্তি, যা পানির সাশ্রয় ও পরিবেশ সুরক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর। এই পদ্ধতিতে জমি সবসময় পানিতে ডুবে থাকে না; বরং নির্দিষ্ট সময় পরপর ভিজিয়ে শুকাতে দেওয়া হয়, তারপর পুনরায় সেচ দেওয়া হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সঠিক উত্তর: ক) বিকল্প ভেজানো ও শুকানোর সেচ পদ্ধতি (AWD)
-
পদ্ধতির ধরণ: জমি একবার ভিজিয়ে কিছুদিন শুকাতে দেওয়া হয়, পরে আবার পানি দেওয়া হয়।
-
পানির সাশ্রয়: পানির ব্যবহার ২৫–৩০% পর্যন্ত কমে যায়।
-
পরিবেশগত প্রভাব: মাটিতে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ায় এবং মিথেন (CH₄) গ্যাস নিঃসরণ কমায়।
-
অর্থনৈতিক সুবিধা: সেচ খরচ কমে ও ফলন বৃদ্ধি পায়।
-
উপসংহার: AWD একটি পরিবেশবান্ধব, পানি-সাশ্রয়ী ও জলবায়ু-সহনশীল ধান চাষ প্রযুক্তি।

0
Updated: 19 hours ago
হাইব্রিড ধানের প্রধান সমস্যা কোনটি?
Created: 1 day ago
A
চারা ছোট হয়
B
জীবনকাল তুলনামূলক কম
C
জীবঙ্কালে সার বেশী প্রয়োগ করতে হয়
D
বীজ উৎপাদন জটিল
হাইব্রিড ধান এমন এক প্রকার উন্নত ধান যা দুটি ভিন্ন বংশগত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ধানের সংকরায়ণ বা ক্রসব্রিডিং এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এর ফলে উৎপন্ন হয় প্রথম প্রজন্মের (F1) বীজ, যা উচ্চ ফলনশীল ও শক্তিশালী বৃদ্ধি প্রদর্শন করে।
-
হাইব্রিড ধানের মূল উদ্দেশ্য হলো ফলনের পরিমাণ বৃদ্ধি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা।
-
এতে হেটেরোসিস (Heterosis) বা সংকর বল দেখা যায়, যার ফলে উদ্ভিদ সাধারণ জাতের তুলনায় বেশি উৎপাদন দেয়।
-
F1 প্রজন্মের বীজ-ই হাইব্রিড ধানের জন্য ব্যবহৃত হয়, কারণ পরবর্তী প্রজন্ম (F2)-এ একই গুণাবলী ও ফলন বজায় থাকে না।
-
তাই কৃষকরা প্রতি বছর নতুন হাইব্রিড বীজ কিনে চাষ করতে বাধ্য হন।
-
এই পদ্ধতিতে ধান উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশি হলেও ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি কৃষিপদ্ধতি।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে কোন্ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশী পেয়াজ চাষ হয়?
Created: 19 hours ago
A
কুমিল্লা
B
দিনাজপুর
C
ফরিদপুর
D
পটুয়াখালী
বাংলাদেশে পেঁয়াজ চাষ মূলত কিছু নির্দিষ্ট জেলায় বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। এই অঞ্চলগুলো দেশের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনের বড় অংশ সরবরাহ করে এবং কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
শীর্ষ উৎপাদন জেলা: পাবনা
-
অন্যান্য প্রধান জেলা: ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং মাগুরা
-
দেশের মোট উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি আসে পাবনা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলা থেকে
-
পাবনা ও ফরিদপুর পেঁয়াজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে শীর্ষ দুই জেলা হিসেবে পরিচিত
-
প্রশ্নে প্রদত্ত অপশন অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয় এমন জেলা হলো গ) ফরিদপুর

0
Updated: 19 hours ago
কলা সংরক্ষণের সর্বোত্তম তাপমাত্রা কত (ডিগ্রি সেলসিয়াস)?
Created: 2 days ago
A
৬-৮ ± ০.৫
B
৮-১০ ± ০.৫
C
১১-১২ ± ০.৫
D
১২-১৩ ± ০.৫
চিলিং ইনজুরি (Chilling Injury) হলো এক ধরনের শৈত্যজনিত ক্ষতি, যা কলা ১০° সেলসিয়াসের নিচে সংরক্ষণ করলে ঘটে। এই অবস্থায় কলার খোসা দ্রুত কালো হয়ে যায়, মাংসল অংশ নরম ও বাদামী রঙ ধারণ করে, এবং ফলটি ভালোভাবে পাকে না।
-
কলা একটি উষ্ণমণ্ডলীয় ফল, তাই এটি নিম্ন তাপমাত্রার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল।
-
১০° সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা কলার কোষীয় গঠনে ক্ষতি ঘটায়, যার ফলে চিলিং ইনজুরি দেখা দেয়।
-
বাণিজ্যিকভাবে কলা সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য ১১°–১৪° সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে উপযুক্ত, কারণ এই পরিসীমায় কলা সুপ্তাবস্থায় (dormant) থাকে এবং অকালপক্বতা প্রতিরোধ হয়।
-
কিছু বইয়ে এই মান ৮°–১০° সেলসিয়াস পর্যন্ত উল্লেখ আছে, তবে বাস্তবে অধিকাংশ গবেষণায় ১১°–১২° সেলসিয়াসকে বেশি নিরাপদ ও কার্যকর বলা হয়েছে।
-
তাই কলার বাণিজ্যিক সংরক্ষণ ও পরিবহনের আদর্শ তাপমাত্রা সাধারণভাবে ১১°–১২° সেলসিয়াস হিসেবে বিবেচিত হয়, যা চিলিং ইনজুরি প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং গুণমান বজায় রাখে।

0
Updated: 2 days ago