কলা উদ্ভিদের প্রকৃত কান্ড কি ধরণের?
A
গুল্ম (Shrub)
B
ছদ্মকাণ্ড (Pseudo stem)
C
গুড়িকান্ড (Woody Trunk)
D
গুড়িকান্ড (Woody Trunk)
উত্তরের বিবরণ
কলা গাছের যে অংশটিকে সাধারণভাবে কান্ড বলে মনে করা হয়, সেটি প্রকৃতপক্ষে আসল কান্ড নয়, বরং পাতার খোলের ঘনভাবে জড়ানো অংশ। এই অংশটিকেই বলা হয় ছদ্মকাণ্ড (Pseudostem), যা উদ্ভিদকে দৃঢ়ভাবে সোজা অবস্থানে রাখে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সঠিক উত্তর: খ) ছদ্মকাণ্ড (Pseudostem)
-
গঠন: এটি পাতার খোল (Leaf sheath) গুলো একে অপরের চারপাশে শক্তভাবে জড়িয়ে তৈরি হয়।
-
কাজ: উদ্ভিদকে সমর্থন দেওয়া এবং পাতাগুলোকে উপরে ধরে রাখা।
-
প্রকৃত কান্ড: মাটির নিচে অবস্থান করে এবং একে বলা হয় রাইজোম (Rhizome); এখান থেকেই নতুন শাখা ও মূল গজায়।
-
উপসংহার: কলার দৃশ্যমান “কাণ্ড” আসলে ছদ্মকাণ্ড, আর প্রকৃত কান্ড মাটির নিচে রাইজোম আকারে থাকে।

0
Updated: 19 hours ago
কৃষি ক্ষেত্রে জিবারেলিন (Gibberellin) কেন ব্যবহার করা হয়?
Created: 2 days ago
A
বীজের অঙ্কুরোদগম তরান্বিত করার জন্য
B
কান্ডের বৃদ্ধি ও ফলের আকার বড় করার জন্য
C
ফুল ও ফলের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য
D
উপরের সবগুলি
জিবারেলিন (Gibberellin) একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ হরমোন, যা বৃদ্ধি উদ্দীপক (growth promoter) হিসেবে কাজ করে এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধি, বিকাশ ও ফলন বৃদ্ধি প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।
-
এটি বীজের অঙ্কুরোদগম তরান্বিত করে, বিশেষ করে নিষ্ক্রিয় (dormant) অবস্থায় থাকা বীজকে অঙ্কুরোদগমে সহায়তা করে।
-
এটি কোষবৃদ্ধি ও প্রসারণ ঘটিয়ে কান্ডকে লম্বা করে এবং ফলের আকার বড় করতে সাহায্য করে।
-
আঙ্গুর, টমেটো, ধান ইত্যাদি ফসলের ক্ষেত্রে জিবারেলিন প্রয়োগে ফুল ও ফলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, ফলে ফলনও বাড়ে।
-
জিবারেলিন উদ্ভিদের ফুল ফোটা সময় নিয়ন্ত্রণ, পাতা ও ফলের রঙ উন্নতকরণ, এবং অকাল পত্রঝরা প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো — উপরের সবগুলি।

0
Updated: 2 days ago
কলা সংরক্ষণের সর্বোত্তম তাপমাত্রা কত (ডিগ্রি সেলসিয়াস)?
Created: 2 days ago
A
৬-৮ ± ০.৫
B
৮-১০ ± ০.৫
C
১১-১২ ± ০.৫
D
১২-১৩ ± ০.৫
চিলিং ইনজুরি (Chilling Injury) হলো এক ধরনের শৈত্যজনিত ক্ষতি, যা কলা ১০° সেলসিয়াসের নিচে সংরক্ষণ করলে ঘটে। এই অবস্থায় কলার খোসা দ্রুত কালো হয়ে যায়, মাংসল অংশ নরম ও বাদামী রঙ ধারণ করে, এবং ফলটি ভালোভাবে পাকে না।
-
কলা একটি উষ্ণমণ্ডলীয় ফল, তাই এটি নিম্ন তাপমাত্রার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল।
-
১০° সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা কলার কোষীয় গঠনে ক্ষতি ঘটায়, যার ফলে চিলিং ইনজুরি দেখা দেয়।
-
বাণিজ্যিকভাবে কলা সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য ১১°–১৪° সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে উপযুক্ত, কারণ এই পরিসীমায় কলা সুপ্তাবস্থায় (dormant) থাকে এবং অকালপক্বতা প্রতিরোধ হয়।
-
কিছু বইয়ে এই মান ৮°–১০° সেলসিয়াস পর্যন্ত উল্লেখ আছে, তবে বাস্তবে অধিকাংশ গবেষণায় ১১°–১২° সেলসিয়াসকে বেশি নিরাপদ ও কার্যকর বলা হয়েছে।
-
তাই কলার বাণিজ্যিক সংরক্ষণ ও পরিবহনের আদর্শ তাপমাত্রা সাধারণভাবে ১১°–১২° সেলসিয়াস হিসেবে বিবেচিত হয়, যা চিলিং ইনজুরি প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং গুণমান বজায় রাখে।

0
Updated: 2 days ago
সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়?
Created: 2 days ago
A
ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়
B
মাটির রং
C
বাতাসের তাপমাত্রা
D
বাতাসের আদ্রতা
সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি বা কত ঘন ঘন সেঁচ দিতে হবে তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়। কারণ সেচের প্রয়োজন সরাসরি নির্ভর করে উদ্ভিদের জলের চাহিদা এবং মাটির জলধারণ ক্ষমতার ওপর।
-
প্রতিটি ফসলের জলের চাহিদা ভিন্ন। যেমন, ধান চাষে প্রচুর পানি লাগে, অন্যদিকে শুষ্ক সহনশীল ফসল (যেমন গম বা মসুর) তুলনামূলকভাবে কম পানিতেও বেঁচে থাকতে পারে।
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে সেচের প্রয়োজন পরিবর্তিত হয়। যেমন, ধানের Tillering stage ও Milk-dough stage-এ পর্যাপ্ত পানি অপরিহার্য।
-
বীজ রোপণের পর, ফুল ফোটার সময় (Flowering stage) এবং ফল ধরার সময় (Fruit set stage) ফসলের জলের চাহিদা সর্বাধিক হয়, তাই এ সময়ে সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াতে হয়।
-
অপরদিকে, পরিপক্বতার (Maturity) কাছাকাছি এলে উদ্ভিদের পানির চাহিদা কমে যায়, ফলে সেচের ফ্রিকোয়েন্সিও কমানো হয়।
-
সেচ ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে নির্ধারণ করতে ফসলের ধরণ, বৃদ্ধির পর্যায়, মাটির গঠন ও আবহাওয়া—সবগুলো বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়।
অতএব, সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণে ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়ই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 2 days ago