টমেটোর হলুদ রংয়ের জন্য দায়ী হল-
A
ক্যারোটিন
B
অ্যান্থোসায়ানিন
C
সোলানিন
D
সোলানিন
উত্তরের বিবরণ
টমেটোর রঙ নির্ধারণে বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থ ভূমিকা রাখে, যার মধ্যে হলুদ টমেটোর রঙের জন্য প্রধানত দায়ী ক্যারোটিন (Carotene)। এই রঞ্জক উদ্ভিদের কোষে উপস্থিত থেকে আলোর শোষণ ও প্রতিফলনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট রঙ তৈরি করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সঠিক উত্তর: ক) ক্যারোটিন
-
হলুদ রঙের রঞ্জক: ক্যারোটিন (Carotene) এবং জ্যান্থোফিল (Xanthophylls); এরা উভয়েই ক্যারোটিনয়েড (Carotenoids) গোষ্ঠীর অংশ।
-
লাইকোপেন (Lycopene): টমেটোর লাল রঙের জন্য দায়ী প্রধান রঞ্জক; এটি টমেটো পাকার সময় ক্লোরোফিল ভেঙে গঠিত হয়।
-
অ্যান্থোসায়ানিন (Anthocyanin): বেগুনি, নীল বা লাল রঙের জন্য দায়ী; সাধারণত বেগুন বা বেগুনি টমেটোতে পাওয়া যায়।
-
সোলানিন (Solanine): এটি একটি বিষাক্ত অ্যালকালয়েড, রঙ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে না; তবে এটি আলু ও সবুজ টমেটোতে অল্প পরিমাণে উপস্থিত থাকে।

0
Updated: 21 hours ago
বাংলাদেশে কোন্ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশী পেয়াজ চাষ হয়?
Created: 21 hours ago
A
কুমিল্লা
B
দিনাজপুর
C
ফরিদপুর
D
পটুয়াখালী
বাংলাদেশে পেঁয়াজ চাষ মূলত কিছু নির্দিষ্ট জেলায় বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। এই অঞ্চলগুলো দেশের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনের বড় অংশ সরবরাহ করে এবং কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
শীর্ষ উৎপাদন জেলা: পাবনা
-
অন্যান্য প্রধান জেলা: ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং মাগুরা
-
দেশের মোট উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি আসে পাবনা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলা থেকে
-
পাবনা ও ফরিদপুর পেঁয়াজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে শীর্ষ দুই জেলা হিসেবে পরিচিত
-
প্রশ্নে প্রদত্ত অপশন অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয় এমন জেলা হলো গ) ফরিদপুর

0
Updated: 21 hours ago
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ (মিলিয়ন হেক্টর)-
Created: 2 days ago
A
প্রায় ৮.৮৩
B
প্রায় ৬.৬২
C
প্রায় ৫.৫৩
D
প্রায় ৪.৪৮
বাংলাদেশের মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৮৮.২৯ লক্ষ হেক্টর, যা মিলিয়ন হেক্টর এককে প্রকাশ করলে হয় ৮.৮২৯ মিলিয়ন হেক্টর। এই মান সাম্প্রতিক সরকারি নথি অনুযায়ী ৮৮ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৫ হেক্টর, যা প্রায় ৮.৮২ মিলিয়ন হেক্টর।
-
১ লক্ষ = ০.১ মিলিয়ন, তাই ৮৮.২৯ লক্ষ × ০.১ = ৮.৮২৯ মিলিয়ন হেক্টর।
-
কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই মানটিই বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির বর্তমান পরিমাণ হিসেবে স্বীকৃত।
-
হিসাবের সামান্য পার্থক্যের কারণে গোলাকার মানে (round figure) এটি ৮.৮৩ মিলিয়ন হেক্টর ধরা যেতে পারে।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো — ৮.৮৩ মিলিয়ন হেক্টর।

0
Updated: 2 days ago
ধানের জলবায়ু সচেতন কৃষি অনুশীলনের জন্য কোন্ সেচ পদ্ধতি কার্যকর?
Created: 21 hours ago
A
বিকল্প ভেজানো ও শুকানোর সেচ পদ্ধতি (AWD)
B
বন্যা সেচ (Flood Irrigation)
C
স্প্রিংকলার (Sprinkler Irrigation) সেচ
D
ভূ-গর্তস্থ সেচ (Sub-surface Irrigation)
ধান চাষে বিকল্প ভেজানো ও শুকানোর সেচ পদ্ধতি (AWD - Alternate Wetting and Drying) হলো একটি আধুনিক ও জলবায়ু-সচেতন (Climate Smart) প্রযুক্তি, যা পানির সাশ্রয় ও পরিবেশ সুরক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর। এই পদ্ধতিতে জমি সবসময় পানিতে ডুবে থাকে না; বরং নির্দিষ্ট সময় পরপর ভিজিয়ে শুকাতে দেওয়া হয়, তারপর পুনরায় সেচ দেওয়া হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সঠিক উত্তর: ক) বিকল্প ভেজানো ও শুকানোর সেচ পদ্ধতি (AWD)
-
পদ্ধতির ধরণ: জমি একবার ভিজিয়ে কিছুদিন শুকাতে দেওয়া হয়, পরে আবার পানি দেওয়া হয়।
-
পানির সাশ্রয়: পানির ব্যবহার ২৫–৩০% পর্যন্ত কমে যায়।
-
পরিবেশগত প্রভাব: মাটিতে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ায় এবং মিথেন (CH₄) গ্যাস নিঃসরণ কমায়।
-
অর্থনৈতিক সুবিধা: সেচ খরচ কমে ও ফলন বৃদ্ধি পায়।
-
উপসংহার: AWD একটি পরিবেশবান্ধব, পানি-সাশ্রয়ী ও জলবায়ু-সহনশীল ধান চাষ প্রযুক্তি।

0
Updated: 21 hours ago