পেয়াজের বাল্বের (Bulb) গুনগত মান নির্ধারণে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?
A
মাটির pH (SoilpH)
B
হাত দ্বারা গাছের ঘাড় বাঁকানো
C
হাত দ্বারা গাছের ঘাড় বাঁকানো
D
স্বল্প দিনের অবস্থা (Short Day Length)
উত্তরের বিবরণ
পেঁয়াজের কন্দ বা বাল্ব গঠনে আলো বা দিনের দৈর্ঘ্য (Photoperiod) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের বৃদ্ধির ধাপ ও গুণগত মান উভয়ের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সঠিক উত্তর: ঘ) স্বল্প দিনের অবস্থা (Short Day Length)
-
বাল্ব গঠনের শর্ত: পেঁয়াজের কন্দ তৈরি হতে নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের দিনের প্রয়োজন হয়।
-
স্বল্প দিনের জাত: এই জাতগুলো কম আলো বা শীতকালের মতো স্বল্প দিনের অবস্থায় ভালোভাবে বাল্ব তৈরি করে।
-
দীর্ঘ দিনের প্রভাব: দিনের দৈর্ঘ্য বেশি হলে বাল্ব গঠনের পরিবর্তে ফুল আসার (Bolting) প্রবণতা বাড়ে, ফলে কন্দের গুণগত মান কমে যায়।
-
উপসংহার: পেঁয়াজের উচ্চমানের কন্দ উৎপাদনের জন্য স্বল্প দিনের অবস্থা সবচেয়ে অনুকূল।

0
Updated: 21 hours ago
হাইব্রিড ধানের প্রধান সমস্যা কোনটি?
Created: 1 day ago
A
চারা ছোট হয়
B
জীবনকাল তুলনামূলক কম
C
জীবঙ্কালে সার বেশী প্রয়োগ করতে হয়
D
বীজ উৎপাদন জটিল
হাইব্রিড ধান এমন এক প্রকার উন্নত ধান যা দুটি ভিন্ন বংশগত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ধানের সংকরায়ণ বা ক্রসব্রিডিং এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এর ফলে উৎপন্ন হয় প্রথম প্রজন্মের (F1) বীজ, যা উচ্চ ফলনশীল ও শক্তিশালী বৃদ্ধি প্রদর্শন করে।
-
হাইব্রিড ধানের মূল উদ্দেশ্য হলো ফলনের পরিমাণ বৃদ্ধি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা।
-
এতে হেটেরোসিস (Heterosis) বা সংকর বল দেখা যায়, যার ফলে উদ্ভিদ সাধারণ জাতের তুলনায় বেশি উৎপাদন দেয়।
-
F1 প্রজন্মের বীজ-ই হাইব্রিড ধানের জন্য ব্যবহৃত হয়, কারণ পরবর্তী প্রজন্ম (F2)-এ একই গুণাবলী ও ফলন বজায় থাকে না।
-
তাই কৃষকরা প্রতি বছর নতুন হাইব্রিড বীজ কিনে চাষ করতে বাধ্য হন।
-
এই পদ্ধতিতে ধান উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশি হলেও ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি কৃষিপদ্ধতি।

0
Updated: 1 day ago
কলা উদ্ভিদের প্রকৃত কান্ড কি ধরণের?
Created: 21 hours ago
A
গুল্ম (Shrub)
B
ছদ্মকাণ্ড (Pseudo stem)
C
গুড়িকান্ড (Woody Trunk)
D
গুড়িকান্ড (Woody Trunk)
কলা গাছের যে অংশটিকে সাধারণভাবে কান্ড বলে মনে করা হয়, সেটি প্রকৃতপক্ষে আসল কান্ড নয়, বরং পাতার খোলের ঘনভাবে জড়ানো অংশ। এই অংশটিকেই বলা হয় ছদ্মকাণ্ড (Pseudostem), যা উদ্ভিদকে দৃঢ়ভাবে সোজা অবস্থানে রাখে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সঠিক উত্তর: খ) ছদ্মকাণ্ড (Pseudostem)
-
গঠন: এটি পাতার খোল (Leaf sheath) গুলো একে অপরের চারপাশে শক্তভাবে জড়িয়ে তৈরি হয়।
-
কাজ: উদ্ভিদকে সমর্থন দেওয়া এবং পাতাগুলোকে উপরে ধরে রাখা।
-
প্রকৃত কান্ড: মাটির নিচে অবস্থান করে এবং একে বলা হয় রাইজোম (Rhizome); এখান থেকেই নতুন শাখা ও মূল গজায়।
-
উপসংহার: কলার দৃশ্যমান “কাণ্ড” আসলে ছদ্মকাণ্ড, আর প্রকৃত কান্ড মাটির নিচে রাইজোম আকারে থাকে।

0
Updated: 21 hours ago
সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়?
Created: 2 days ago
A
ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়
B
মাটির রং
C
বাতাসের তাপমাত্রা
D
বাতাসের আদ্রতা
সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি বা কত ঘন ঘন সেঁচ দিতে হবে তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়। কারণ সেচের প্রয়োজন সরাসরি নির্ভর করে উদ্ভিদের জলের চাহিদা এবং মাটির জলধারণ ক্ষমতার ওপর।
-
প্রতিটি ফসলের জলের চাহিদা ভিন্ন। যেমন, ধান চাষে প্রচুর পানি লাগে, অন্যদিকে শুষ্ক সহনশীল ফসল (যেমন গম বা মসুর) তুলনামূলকভাবে কম পানিতেও বেঁচে থাকতে পারে।
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে সেচের প্রয়োজন পরিবর্তিত হয়। যেমন, ধানের Tillering stage ও Milk-dough stage-এ পর্যাপ্ত পানি অপরিহার্য।
-
বীজ রোপণের পর, ফুল ফোটার সময় (Flowering stage) এবং ফল ধরার সময় (Fruit set stage) ফসলের জলের চাহিদা সর্বাধিক হয়, তাই এ সময়ে সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াতে হয়।
-
অপরদিকে, পরিপক্বতার (Maturity) কাছাকাছি এলে উদ্ভিদের পানির চাহিদা কমে যায়, ফলে সেচের ফ্রিকোয়েন্সিও কমানো হয়।
-
সেচ ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে নির্ধারণ করতে ফসলের ধরণ, বৃদ্ধির পর্যায়, মাটির গঠন ও আবহাওয়া—সবগুলো বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়।
অতএব, সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণে ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়ই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 2 days ago