বাংলাদেশে কোন্ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশী পেয়াজ চাষ হয়?
A
কুমিল্লা
B
দিনাজপুর
C
ফরিদপুর
D
পটুয়াখালী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে পেঁয়াজ চাষ মূলত কিছু নির্দিষ্ট জেলায় বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। এই অঞ্চলগুলো দেশের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনের বড় অংশ সরবরাহ করে এবং কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
শীর্ষ উৎপাদন জেলা: পাবনা
-
অন্যান্য প্রধান জেলা: ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং মাগুরা
-
দেশের মোট উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি আসে পাবনা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলা থেকে
-
পাবনা ও ফরিদপুর পেঁয়াজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে শীর্ষ দুই জেলা হিসেবে পরিচিত
-
প্রশ্নে প্রদত্ত অপশন অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয় এমন জেলা হলো গ) ফরিদপুর

0
Updated: 21 hours ago
আলু সংরক্ষণে কিউরিং-এর প্রধান উদ্দেশ্য -
Created: 1 day ago
A
চিনির পরিমান বাড়ানো
B
আঘাতপ্রাপ্ত স্থান শুঁকানো ও খোসা মোটা করা
C
ওজন কমানো
D
রং উন্নত করা
কিউরিং হলো আলু তোলার পরপরই নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা আলুর গুণমান ও সংরক্ষণক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সাধারণত এটি ১০–১৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং ৮৫%–৯৫% আর্দ্রতায় প্রায় ১০–১৪ দিন পর্যন্ত সম্পন্ন করা হয়।
তথ্যগুলো সংক্ষেপে:
-
কিউরিংয়ের মাধ্যমে আলুর আঘাতপ্রাপ্ত স্থান মেরামত (Wound Healing) হয়।
-
এটি আলুর খোসা বা ত্বক মোটা করে (Skin Set), ফলে সংরক্ষণে ক্ষতি কম হয়।
-
প্রক্রিয়াটি আলুকে বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে, যা দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণে সহায়ক।

0
Updated: 1 day ago
লাইন-লোগো-পারটিং (LLP) কোন্ ফসলের চাষের সাথে সম্পৃক্ত?
Created: 1 day ago
A
ধান
B
ভুট্টা
C
গম
D
আলু
লাইন-লোগো-পারটিং (LLP) হলো একটি আধুনিক ধান রোপণ কৌশল, যা উৎপাদন বৃদ্ধি ও জমির সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতি শুধুমাত্র ধান চাষের সাথে সম্পৃক্ত।
তথ্যগুলো হলো:
-
লাইন (Line): ধানক্ষেতে চারাগুলোকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সারি আকারে রোপণ করা হয়, যাতে পরিচর্যা ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
-
লোগো (Logo) বা পারটিং (Parting): প্রতি ১০ বা ১২টি সারির পর একটি সারি ফাঁকা রাখা হয়, যেটিকে ‘লোগো’ বা ‘পারটিং’ বলা হয়।
-
এই ফাঁকা সারির মাধ্যমে পরিচর্যা, সেচ, আগাছা দমন ও কীটনাশক প্রয়োগ সহজ হয়।
-
LLP পদ্ধতিতে আলো, বাতাস ও পুষ্টি উপাদানের সুষম ব্যবহার হয়, ফলে ধানের ফলন বৃদ্ধি পায়।
উ. (ক) ধান

0
Updated: 1 day ago
সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়?
Created: 2 days ago
A
ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়
B
মাটির রং
C
বাতাসের তাপমাত্রা
D
বাতাসের আদ্রতা
সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি বা কত ঘন ঘন সেঁচ দিতে হবে তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়। কারণ সেচের প্রয়োজন সরাসরি নির্ভর করে উদ্ভিদের জলের চাহিদা এবং মাটির জলধারণ ক্ষমতার ওপর।
-
প্রতিটি ফসলের জলের চাহিদা ভিন্ন। যেমন, ধান চাষে প্রচুর পানি লাগে, অন্যদিকে শুষ্ক সহনশীল ফসল (যেমন গম বা মসুর) তুলনামূলকভাবে কম পানিতেও বেঁচে থাকতে পারে।
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে সেচের প্রয়োজন পরিবর্তিত হয়। যেমন, ধানের Tillering stage ও Milk-dough stage-এ পর্যাপ্ত পানি অপরিহার্য।
-
বীজ রোপণের পর, ফুল ফোটার সময় (Flowering stage) এবং ফল ধরার সময় (Fruit set stage) ফসলের জলের চাহিদা সর্বাধিক হয়, তাই এ সময়ে সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াতে হয়।
-
অপরদিকে, পরিপক্বতার (Maturity) কাছাকাছি এলে উদ্ভিদের পানির চাহিদা কমে যায়, ফলে সেচের ফ্রিকোয়েন্সিও কমানো হয়।
-
সেচ ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে নির্ধারণ করতে ফসলের ধরণ, বৃদ্ধির পর্যায়, মাটির গঠন ও আবহাওয়া—সবগুলো বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়।
অতএব, সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণে ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়ই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 2 days ago