মধ্য শৈশবের বিকাশমূলক কাজ কোনটি?
A
শরীর বৃত্তীয় দক্ষতা অর্জন
B
সমবয়সীদের সাথে সঠিক আচরণ করতে শেখা
C
শক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে শেখা
D
সঠিকভাবে বাক্য গঠন করতে পারা
উত্তরের বিবরণ
মধ্য শৈশব (Middle Childhood) সাধারণত ৬ থেকে ১২ বছর বয়সের সময়কালকে বোঝায়। এই পর্যায় শিশুর জীবনে শারীরিক, মানসিক, ভাষাগত ও সামাজিক দিক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। বিশেষ করে সামাজিক বিকাশে এই সময়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
সামাজিক বিকাশের কেন্দ্রবিন্দু: এই বয়সে শিশুর আগ্রহ ধীরে ধীরে পরিবার থেকে সমবয়সীদের (Peers) দিকে সরে যায়। বন্ধুত্ব, দলবদ্ধ খেলা ও সহপাঠীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাই সামাজিক বিকাশের প্রধান দিক হয়ে ওঠে।
-
সামাজিক নিয়ম শেখা: বন্ধুত্ব ও দলগত কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা, আপোষ, নিয়ম মেনে চলা এবং দ্বন্দ্ব নিরসন করার মতো জটিল সামাজিক দক্ষতা রপ্ত করে। এটি ভবিষ্যৎ সামাজিক জীবনের জন্য এক শক্ত ভিত্তি তৈরি করে।
-
শরীরবৃত্তীয় দক্ষতার বিকাশ: হাঁটা, দৌড়ানো, লাফানোর মতো মৌলিক Gross Motor Skills প্রাথমিক শৈশবে গড়ে ওঠে, তবে মধ্য শৈশবে সেগুলো আরও পরিমার্জিত হয়ে খেলাধুলা ও ক্রীড়াকর্মে প্রয়োগযোগ্য হয়।
-
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: শৈশবকালীন (Infancy) পর্যায়ে শিশুর শক্ত খাদ্য গ্রহণের দক্ষতা বিকশিত হয়, যা মধ্য শৈশবে আরও নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে পরিণত হয়।
-
ভাষাগত দক্ষতা: প্রাক-বিদ্যালয় (২–৫ বছর) পর্যায়ে ভাষা ও বাক্য গঠনের ভিত্তি স্থাপিত হয়, আর মধ্য শৈশবে শিশু জটিল বাক্য ব্যবহার করে গল্প বলা, যুক্তি উপস্থাপন ও মতামত প্রকাশে দক্ষ হয়ে ওঠে।
-
এই পর্যায়েই শিশুর মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ, দায়িত্ববোধ ও আত্মপরিচয়ের বোধ বিকাশ লাভ করে, যা কৈশোরে প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 1 day ago
গৃহ সজ্জায় কিভাবে ছন্দ সৃষ্টি করা হয়?
Created: 1 hour ago
A
রেখার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে
B
রং এর পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে
C
কক্ষে আলো-ছায়ার ব্যবহার
D
উপরের সবগুলিই সঠিক
ছন্দ গৃহসজ্জার এমন একটি নান্দনিক উপাদান, যা চোখকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে সাহায্য করে। এটি পুরো নকশায় সুষম গতি, ধারাবাহিকতা ও দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য সৃষ্টি করে।
-
রেখার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে: নকশা বা আসবাবের রেখাগুলোকে বারবার ব্যবহার করলে একটি সুনির্দিষ্ট ছন্দ তৈরি হয়। যেমন—লম্বা টেবিলের পায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জানালার খড়খড়ি বা দেওয়ালের উল্লম্ব স্ট্রাইপ ব্যবহার করা হলে তা নকশায় ভারসাম্য ও ছন্দ এনে দেয়।
-
রঙের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে: কোনো নির্দিষ্ট রঙ ঘরের বিভিন্ন উপকরণে যেমন পর্দা, কুশন, কার্পেট বা ফুলদানিতে পুনরায় ব্যবহার করলে দৃষ্টিতে ধারাবাহিক প্রবাহ তৈরি হয়।
-
আলো-ছায়ার ব্যবহারে: সঠিক আলো ও ছায়ার তারতম্য এবং বৈসাদৃশ্যের মাধ্যমে একটি স্বাভাবিক গতি ও গভীরতা সৃষ্টি হয়, যা কক্ষের নান্দনিকতায় ছন্দ যোগ করে।
-
আকার ও আকৃতির পুনরাবৃত্তি: একই ধরনের বস্তুর আকার, প্যাটার্ন বা বিন্যাস বারবার ব্যবহার করলে দৃষ্টিতে ছন্দ বজায় থাকে।
-
বিন্যাসের সামঞ্জস্যতা: আসবাব বা সজ্জার উপকরণ সমান দূরত্বে বা ছন্দময়ভাবে সাজালে পুরো স্থাপনায় ভারসাম্য ও সাদৃশ্য তৈরি হয়।

0
Updated: 1 hour ago
কোনটি ফ্যাশন চক্রের ধাপ?
Created: 1 day ago
A
প্রসার → প্রবর্তন → বিলুপ্তি
B
প্রবর্তন → বিলুপ্তি → প্রসার
C
প্রসার → বিলুপ্তি → প্রবর্তন
D
প্রবর্তন → প্রসার → বিলুপ্তি
ফ্যাশন চক্র হলো কোনো নির্দিষ্ট পোশাক, স্টাইল বা নকশার জনপ্রিয়তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটি দেখায় কীভাবে একটি নতুন ফ্যাশন সমাজে প্রবেশ করে, জনপ্রিয় হয় এবং সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যায়।
১. প্রবর্তন (Introduction) – এই ধাপে নতুন ফ্যাশন বা স্টাইল প্রথমবারের মতো বাজারে আসে। এটি সাধারণত ফ্যাশন ডিজাইনার, মডেল বা ট্রেন্ড-সচেতন অল্পসংখ্যক মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। দাম তুলনামূলক বেশি থাকে এবং জনসাধারণের আগ্রহ তখনও সীমিত থাকে।
২. প্রসার (Growth/Peak/Acceptance) – ফ্যাশনটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পায়। উৎপাদন বাড়ে, দাম তুলনামূলকভাবে কমে, এবং এটি মূলধারার ফ্যাশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। এই সময়েই ফ্যাশন তার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছায়।
৩. বিলুপ্তি (Decline/Obsolescence) – সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশনের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। নতুন স্টাইল আসার ফলে পুরনো ফ্যাশন ধীরে ধীরে অপ্রচলিত হয়ে বাজার থেকে হারিয়ে যায়।
এই চক্রের মাধ্যমে বোঝা যায়, ফ্যাশন একটি গতিশীল ও পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়া, যা সমাজ, সংস্কৃতি ও সময়ের প্রভাবের ওপর নির্ভর করে।

0
Updated: 1 day ago
একজন বয়স্ক মানুষ পোশাক নির্বাচনে কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়?
Created: 41 minutes ago
A
ফ্যাশন
B
স্টাইল
C
আরাম
D
পোশাকের দাম
বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরাম বা স্বাচ্ছন্দ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়, কারণ এটি তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন পোশাকের ধরন নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব ফেলে।
-
শারীরিক পরিবর্তন: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক হয় অধিক সংবেদনশীল এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই এমন পোশাক প্রয়োজন যা নরম, বায়ু চলাচলযোগ্য এবং ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করে না।
-
সহজে পরিধানযোগ্যতা: বয়স্করা প্রায়ই শারীরিক নড়াচড়ায় সীমাবদ্ধতা অনুভব করেন। আরামদায়ক পোশাক সাধারণত সহজে পরা ও খোলা যায়, যা দৈনন্দিন ব্যবহারে সুবিধা দেয়।
-
স্বাস্থ্যগত কারণ: আঁটসাঁট বা শক্ত কাপড় রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত করে এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে। ঢিলেঢালা, হালকা ও নরম কাপড় শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং আরাম নিশ্চিত করে।
-
তাপমাত্রা ও আরামের ভারসাম্য: বয়স্কদের জন্য পোশাক এমন হওয়া উচিত যা গরমে ঠান্ডা ও শীতে উষ্ণ রাখে, ফলে শরীরের তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে।
-
মানসিক স্বাচ্ছন্দ্য: আরামদায়ক পোশাক শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিক প্রশান্তিও এনে দেয়, যা বয়স্কদের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে আরও আরামদায়ক করে তোলে।

0
Updated: 41 minutes ago