কোনটি ফ্যাশন চক্রের ধাপ?
A
প্রসার → প্রবর্তন → বিলুপ্তি
B
প্রবর্তন → বিলুপ্তি → প্রসার
C
প্রসার → বিলুপ্তি → প্রবর্তন
D
প্রবর্তন → প্রসার → বিলুপ্তি
উত্তরের বিবরণ
ফ্যাশন চক্র হলো কোনো নির্দিষ্ট পোশাক, স্টাইল বা নকশার জনপ্রিয়তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটি দেখায় কীভাবে একটি নতুন ফ্যাশন সমাজে প্রবেশ করে, জনপ্রিয় হয় এবং সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যায়।
১. প্রবর্তন (Introduction) – এই ধাপে নতুন ফ্যাশন বা স্টাইল প্রথমবারের মতো বাজারে আসে। এটি সাধারণত ফ্যাশন ডিজাইনার, মডেল বা ট্রেন্ড-সচেতন অল্পসংখ্যক মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। দাম তুলনামূলক বেশি থাকে এবং জনসাধারণের আগ্রহ তখনও সীমিত থাকে।
২. প্রসার (Growth/Peak/Acceptance) – ফ্যাশনটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পায়। উৎপাদন বাড়ে, দাম তুলনামূলকভাবে কমে, এবং এটি মূলধারার ফ্যাশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। এই সময়েই ফ্যাশন তার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছায়।
৩. বিলুপ্তি (Decline/Obsolescence) – সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশনের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। নতুন স্টাইল আসার ফলে পুরনো ফ্যাশন ধীরে ধীরে অপ্রচলিত হয়ে বাজার থেকে হারিয়ে যায়।
এই চক্রের মাধ্যমে বোঝা যায়, ফ্যাশন একটি গতিশীল ও পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়া, যা সমাজ, সংস্কৃতি ও সময়ের প্রভাবের ওপর নির্ভর করে।

0
Updated: 1 day ago
গৃহ সজ্জায় কিভাবে ছন্দ সৃষ্টি করা হয়?
Created: 1 hour ago
A
রেখার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে
B
রং এর পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে
C
কক্ষে আলো-ছায়ার ব্যবহার
D
উপরের সবগুলিই সঠিক
ছন্দ গৃহসজ্জার এমন একটি নান্দনিক উপাদান, যা চোখকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে সাহায্য করে। এটি পুরো নকশায় সুষম গতি, ধারাবাহিকতা ও দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য সৃষ্টি করে।
-
রেখার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে: নকশা বা আসবাবের রেখাগুলোকে বারবার ব্যবহার করলে একটি সুনির্দিষ্ট ছন্দ তৈরি হয়। যেমন—লম্বা টেবিলের পায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জানালার খড়খড়ি বা দেওয়ালের উল্লম্ব স্ট্রাইপ ব্যবহার করা হলে তা নকশায় ভারসাম্য ও ছন্দ এনে দেয়।
-
রঙের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে: কোনো নির্দিষ্ট রঙ ঘরের বিভিন্ন উপকরণে যেমন পর্দা, কুশন, কার্পেট বা ফুলদানিতে পুনরায় ব্যবহার করলে দৃষ্টিতে ধারাবাহিক প্রবাহ তৈরি হয়।
-
আলো-ছায়ার ব্যবহারে: সঠিক আলো ও ছায়ার তারতম্য এবং বৈসাদৃশ্যের মাধ্যমে একটি স্বাভাবিক গতি ও গভীরতা সৃষ্টি হয়, যা কক্ষের নান্দনিকতায় ছন্দ যোগ করে।
-
আকার ও আকৃতির পুনরাবৃত্তি: একই ধরনের বস্তুর আকার, প্যাটার্ন বা বিন্যাস বারবার ব্যবহার করলে দৃষ্টিতে ছন্দ বজায় থাকে।
-
বিন্যাসের সামঞ্জস্যতা: আসবাব বা সজ্জার উপকরণ সমান দূরত্বে বা ছন্দময়ভাবে সাজালে পুরো স্থাপনায় ভারসাম্য ও সাদৃশ্য তৈরি হয়।

0
Updated: 1 hour ago
কোনটি নৈরাশ্যজনিত ক্লান্তির কারণ?
Created: 41 minutes ago
A
দেহে ল্যাকটিক এসিড উৎপাদন
B
দেহ ভঙ্গিমার সঠিক ব্যবহার না করা
C
মধ্যাকর্ষণ বলের বিরুদ্ধে কাজ করা
D
কাজের প্রশংসীত না হওয়া
ক্লান্তি হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে ব্যক্তি শারীরিক বা মানসিকভাবে কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে। এটি মূলত শরীর ও মনের অতিরিক্ত চাপের ফল। ক্লান্তিকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়—শারীরিক ক্লান্তি (Physiological Fatigue) এবং মানসিক বা নৈরাশ্যজনিত ক্লান্তি (Psychological/Frustration Fatigue)।
-
শারীরিক ক্লান্তি: এটি অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা কর্মচাপের কারণে ঘটে। এর প্রধান কারণ হলো পেশীতে ল্যাকটিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি, যা রক্তপ্রবাহে জমে শরীরে ব্যথা, অবসাদ ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই অবস্থায় শরীরের শক্তি কমে যায় এবং বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে কাজ করা, ভারী ওজন তোলা বা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব এই ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
-
নৈরাশ্যজনিত ক্লান্তি (Psychological Fatigue): এটি মানসিক চাপে উৎপন্ন ক্লান্তি, যেখানে মানুষের আগ্রহ, প্রেরণা ও আত্মবিশ্বাস হ্রাস পায়। এর পেছনে একঘেয়েমি, মানসিক চাপ, কাজের স্বীকৃতি না পাওয়া, বা পর্যাপ্ত উৎসাহের অভাব ভূমিকা রাখে। এই ক্লান্তিতে শারীরিক কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন না ঘটলেও ব্যক্তি মনোবল হারিয়ে ফেলে এবং কাজের প্রতি অনীহা অনুভব করে।
-
এই দুই ধরনের ক্লান্তি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কারণ মানসিক অবসাদ শারীরিক কর্মক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে, আর দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক ক্লান্তি মানসিক নৈরাশ্যের কারণ হতে পারে।
-
ক্লান্তি দূর করতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, মানসিক প্রশান্তি, স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রদান, এবং নিয়মিত জীবনধারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 41 minutes ago
একজন রি-অ্যাকটিভ তরুণের মধ্যে কোন বৈশিষ্ট্যটি দেখা যায়?
Created: 1 hour ago
A
ধৈর্যশীল
B
আবেগ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা
C
হঠাৎ রেগে যাওয়া
D
অসামাজিক আচরণ
রি-অ্যাকটিভ তরুণ এমন ব্যক্তি, যিনি বাইরের পরিস্থিতি বা ঘটনার প্রতি দ্রুত আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা সাধারণত চিন্তা-ভাবনা না করে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়, যার ফলে তাদের আচরণ প্রায়ই অস্থির ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে ওঠে।
১. পরিস্থিতিনির্ভর প্রতিক্রিয়া: রি-অ্যাকটিভ তরুণ নিজের চিন্তা বা যুক্তির চেয়ে বাইরের ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হয়; অর্থাৎ পরিস্থিতিই তাদের আচরণ নির্ধারণ করে।
২. আবেগপ্রবণতা: তারা হঠাৎ রেগে যায় বা মনোভাব পরিবর্তন করে ফেলে। তাদের সিদ্ধান্ত ও আচরণ আবেগের বশে ঘটে, ফলে তারা পরবর্তীতে অনুতপ্ত হতে পারে।
৩. আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব: তারা আবেগ ও রাগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বল, যার ফলে সম্পর্ক ও সামাজিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
৪. তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া: চিন্তা বা বিশ্লেষণের সময় না নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো তাদের স্বভাবের অংশ।
৫. ব্যক্তিত্বগত প্রভাব: এই ধরনের আচরণ আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, মানসিক চাপ, বা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
৬. সামাজিক ও মানসিক ফলাফল: রি-অ্যাকটিভ আচরণের ফলে ব্যক্তি প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝি, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং মানসিক অস্থিরতার শিকার হয়।

0
Updated: 1 hour ago