কোনটি নবজাতকের আদি প্রতিবর্তী ক্রিয়া?
A
ঠোঁট স্পর্শ করা মাত্র হা করা
B
মুখের কাজে জিনিস নিলেই চুষতে চাওয়া
C
চোখের পাতা খোলা ও বন্ধ করা
D
পায়ে স্পর্শ করলে আঙুল সম্প্রসারণ করে
উত্তরের বিবরণ
আদি প্রতিবর্তী ক্রিয়া (Primitive Reflex) হলো এমন কিছু স্বতঃস্ফূর্ত শারীরিক প্রতিক্রিয়া, যা নবজাতকের জন্মের পরপরই দেখা যায় এবং শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশের সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যখন শিশু দৈহিক ও স্নায়বিক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অর্জন করে, তখন এই প্রতিক্রিয়াগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
-
এই প্রতিক্রিয়াগুলো মস্তিষ্কের নিম্নস্তরের স্নায়ুকেন্দ্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
এগুলো শিশুর বেঁচে থাকা, সুরক্ষা এবং প্রাথমিক মোটর বিকাশে সহায়তা করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, পায়ের আঙুল সম্প্রসারণ বা ব্যাবিনস্কি প্রতিবর্তী ক্রিয়া (Babinski Reflex)—যখন নবজাতকের পায়ের গোড়ালিতে বা তলায় আলতোভাবে স্পর্শ করা হয়, তখন পায়ের আঙুলগুলো প্রসারিত হয়ে যায়।
-
এই প্রতিক্রিয়া সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে বিলুপ্ত হয়, যা শিশুর স্নায়ুতন্ত্র পরিপক্বতার ইঙ্গিত দেয়।
-
যদি এই ক্রিয়া অতিরিক্ত সময় ধরে থাকে, তবে তা স্নায়বিক সমস্যা বা মস্তিষ্কের বিকাশজনিত বিলম্বের লক্ষণ হতে পারে।

0
Updated: 1 day ago
ডায়াবেটিক রোগে কোন গুচ্ছের খাদ্য বর্জন করা উচিচ্ছ?
Created: 1 day ago
A
ডাল, বাদাম, ডিম
B
মধু,খেজুর, কলিজা
C
দই, পেয়ারা, পালং শাক
D
আলু, আপেল,বাদাম
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রক্তে শর্করা ও চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই দুই উপাদানই সরাসরি হৃদরোগ ও অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। কিছু খাবার যেমন মধু, খেজুর ও কলিজা এই নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে এবং শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
-
মধু ও খেজুর হলো উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (High Glycemic Index - GI) যুক্ত খাদ্য। এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি যেমন গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ দ্রুত রক্তে শোষিত হয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি করে। ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে এই দ্রুত শর্করা বৃদ্ধি ইনসুলিন ভারসাম্য নষ্ট করে এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
-
মধু বা খেজুরে চিনি প্রাকৃতিক হলেও, ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের জন্য এটি প্রক্রিয়াজাত চিনির মতোই ক্ষতিকর, কারণ এর বিপাক প্রক্রিয়া রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।
-
কলিজা (Liver) একটি প্রাণিজ অঙ্গজাত খাদ্য, যা উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল ও সম্পৃক্ত চর্বি (Saturated Fat) ধারণ করে।
-
ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে হৃদরোগ, রক্তচাপ বৃদ্ধি ও ধমনির সংকোচন হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই তাদের উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য।
-
সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখতে ডায়াবেটিস রোগীদের ফাইবারসমৃদ্ধ, কম GI যুক্ত খাদ্য, যেমন শাকসবজি, গোটা শস্য ও কম চিনি যুক্ত ফল গ্রহণ করা উচিত।

0
Updated: 1 day ago
মাতৃগর্ভে শিশুর কোন অঙ্গের বিকাশ সবচেয়ে বেশি হয়?
Created: 41 minutes ago
A
হৃদপিন্ড
B
মস্তিক
C
যকৃত
D
ফুসফুস
মাতৃগর্ভে মস্তিষ্কের বিকাশ মানব শরীরের সবচেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলোর একটি। এটি শিশুর শারীরিক, মানসিক ও জ্ঞানীয় বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করে এবং জীবনের পরবর্তী সব আচরণ ও সক্ষমতার মূল নির্ধারক হিসেবে কাজ করে।
১. প্রারম্ভিক বিকাশ: নিষিক্তকরণের মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ শুরু হয়, যেখানে মস্তিষ্ক ও সুষুম্না কাণ্ডের গঠন ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ রূপ নিতে থাকে।
২. দ্রুত কোষ বিভাজন: গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে মস্তিষ্ক কোষ বা নিউরন অবিশ্বাস্য গতিতে বিভাজিত হয়। প্রতি মিনিটে লক্ষ লক্ষ নতুন কোষ তৈরি হয়ে স্নায়ু সংযোগ স্থাপন করে।
৩. সংযোগ স্থাপন ও স্নায়ু নেটওয়ার্ক: এই সময়ে নিউরনগুলোর মধ্যে জটিল সংযোগ তৈরি হয়, যা শিশুর ভবিষ্যৎ শেখার ক্ষমতা, স্মৃতি ও সংবেদনশীলতার ভিত্তি স্থাপন করে।
৪. কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে মস্তিষ্ক: মস্তিষ্ক দেহের সব অঙ্গের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে—হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্তসঞ্চালন, হরমোন নিঃসরণ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকাশ তার নির্দেশে পরিচালিত হয়।
৫. গর্ভাবস্থার পুষ্টি ও যত্নের গুরুত্ব: মস্তিষ্কের এই দ্রুত বিকাশ পর্যায়ে মাতৃপুষ্টি, অক্সিজেন সরবরাহ এবং মানসিক প্রশান্তি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কারণ এসব উপাদানই স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যকর গঠন ও কার্যকারিতাকে নিশ্চিত করে।
৬. ভবিষ্যৎ বিকাশের ভিত্তি: গর্ভকালীন মস্তিষ্কের বিকাশ শিশুর জন্মোত্তর চিন্তা, আবেগ, শেখা ও আচরণের সক্ষমতা নির্ধারণ করে, যা সুস্থ জীবনযাপনের মূল চাবিকাঠি।

0
Updated: 41 minutes ago
বর্ণ আভা কোনটি?
Created: 41 minutes ago
A
লাল+নীল=বেগুনী
B
লাল+কালো+মেরুন
C
লাল+হলুদ=কমলা
D
লাল+সাদা=গোলাপী
রঙের জগতে মৌলিক, গৌণ, প্রান্তিক ও শেড–টিন্টের ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলোর মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের রঙ তৈরি ও চিত্রকলায় ব্যবহার করা সম্ভব হয়। প্রতিটি রঙের ধরন নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং শিল্প, নকশা বা পোশাক নির্মাণে তা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
১. মৌলিক রং: লাল, হলুদ ও নীল এই তিনটি মৌলিক রং অন্য কোনো রঙের সংমিশ্রণে তৈরি করা যায় না। এদের মাধ্যমেই অন্যান্য সব রঙের জন্ম হয়।
২. গৌণ বা মিশ্র রং: দুটি মৌলিক রং সমপরিমাণে মিশিয়ে গৌণ বা মাধ্যমিক রং তৈরি করা হয়। উদাহরণ—
-
লাল + হলুদ = কমলা
-
নীল + হলুদ = সবুজ
-
লাল + নীল = বেগুনি
৩. প্রান্তিক রং: একটি মৌলিক রং ও একটি মাধ্যমিক রং মিশিয়ে প্রান্তিক রং তৈরি হয়। উদাহরণ— -
লাল + বেগুনি = লালচে বেগুনি
-
হলুদ + কমলা = হলুদাভ কমলা
-
নীল + সবুজ = নীলাভ সবুজ
৪. শেড (Shade): কোনো রঙের সঙ্গে কালো মেশালে যে গাঢ় রং তৈরি হয়, তাকে শেড বলা হয়। যেমন—লাল + কালো = মেরুন।
৫. টিন্ট (Tint) বা বর্ণ আভা: কোনো রঙের সঙ্গে সাদা মেশালে যে হালকা রং সৃষ্টি হয়, তাকে টিন্ট বলা হয়। যেমন—লাল + সাদা = গোলাপী।
৬. রঙের ভারসাম্য ও সৃজনশীলতা: এই মৌলিক নীতিগুলির সাহায্যে অসংখ্য নতুন রঙের সংমিশ্রণ তৈরি করা যায়, যা চিত্রকলা, পোশাক নকশা ও অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায় সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ দেয়।

0
Updated: 41 minutes ago