চোখের সংকোচন ও প্রসারণ নবজাতকের কোন ধরণের ক্রিয়া?
A
সঞ্চালন মূলক
B
বিকাশ মূলক
C
প্রারম্ভিক
D
প্রতিবর্তী
উত্তরের বিবরণ
নবজাতক জন্মের পর থেকেই কিছু স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়াশীল ক্ষমতা নিয়ে আসে, যা তার জীবন রক্ষা ও নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। এই সহজাত প্রতিক্রিয়াগুলোকেই প্রতিবর্তী ক্রিয়া (Reflex Activity) বলা হয়, যা শিশুর স্নায়বিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
নবজাতকের বেশিরভাগ আচরণই প্রতিক্রিয়াজনিত (Reflexive), অর্থাৎ সচেতনভাবে নয় বরং স্বাভাবিক স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে।
-
এসব প্রতিবর্তী ক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুর স্নায়বিক বিকাশ, সংবেদনশীলতা ও জীবনীশক্তি মূল্যায়ন করা হয়।
-
অস্তিত্ব ও জীবনরক্ষাকারী প্রতিবর্তী ক্রিয়া (Survival Reflex) হলো এমন প্রতিক্রিয়া, যা শিশুর বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য এবং প্রায়ই পুনরাবৃত্তিমূলকভাবে ঘটে।
-
চোখের সংকোচন ও প্রসারণ (Pupillary Reflex): তীব্র আলো পড়লে নবজাতক চোখ সংকুচিত করে বা বন্ধ করে ফেলে, আবার মৃদু আলোয় চোখ প্রসারিত করে বস্তু স্পষ্টভাবে দেখার চেষ্টা করে। এটি জন্মের মুহূর্ত থেকেই উপস্থিত থাকে এবং শিশুর চক্ষু ও স্নায়ু কার্যকারিতার সুস্থতা নির্দেশ করে।
-
ত্বক সংবেদন বা রুটিং রিফ্লেক্স (Rooting Reflex): নবজাতকের গাল বা মুখে স্পর্শ করলে সে সেই দিকেই মাথা ঘুরিয়ে দেয়। এই প্রতিক্রিয়া তাকে দুধ পান বা স্তন্য অনুসন্ধানে সহায়তা করে। এটি সাময়িক প্রকৃতির এবং সাধারণত ছয় মাসের মধ্যে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়।

0
Updated: 1 day ago