শিশুর জন্য দুধ খাওয়া অত্যাবশ্যক কেন?
A
হাঁড় ও দাঁতের গঠনের জন্য
B
মেধাবিকাশের জন্য
C
রোগমুক্ত থাকার জন্য
D
সহজপাচ্য ও দ্রুত খাওয়া যায়
উত্তরের বিবরণ
দুধ শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও হাড়ের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ এতে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি উভয়ই পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। এই দুই পুষ্টি উপাদান একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, যা শরীরের হাড় ও দাঁতকে শক্তিশালী করে তোলে।
-
ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের গঠন, দৃঢ়তা ও সঠিক বিকাশে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
-
পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম না পেলে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং পরবর্তীকালে অস্টিওপরোসিস (Osteoporosis) নামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
-
ভিটামিন ডি দেহে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে, অর্থাৎ এটি ক্যালসিয়ামকে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে সাহায্য করে।
-
ভিটামিন ডি এর অভাব হলে ক্যালসিয়াম যথাযথভাবে শোষিত হয় না, ফলে হাড় নরম বা দুর্বল হতে পারে, যা রিকেটস (Rickets) নামক রোগের কারণ হতে পারে।
-
দুধে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি একত্রে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে।
-
এই কারণে দুধকে শিশু ও কিশোরদের জন্য সুষম খাদ্যের অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি ফ্যাশন চক্রের ধাপ?
Created: 1 day ago
A
প্রসার → প্রবর্তন → বিলুপ্তি
B
প্রবর্তন → বিলুপ্তি → প্রসার
C
প্রসার → বিলুপ্তি → প্রবর্তন
D
প্রবর্তন → প্রসার → বিলুপ্তি
ফ্যাশন চক্র হলো কোনো নির্দিষ্ট পোশাক, স্টাইল বা নকশার জনপ্রিয়তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটি দেখায় কীভাবে একটি নতুন ফ্যাশন সমাজে প্রবেশ করে, জনপ্রিয় হয় এবং সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যায়।
১. প্রবর্তন (Introduction) – এই ধাপে নতুন ফ্যাশন বা স্টাইল প্রথমবারের মতো বাজারে আসে। এটি সাধারণত ফ্যাশন ডিজাইনার, মডেল বা ট্রেন্ড-সচেতন অল্পসংখ্যক মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। দাম তুলনামূলক বেশি থাকে এবং জনসাধারণের আগ্রহ তখনও সীমিত থাকে।
২. প্রসার (Growth/Peak/Acceptance) – ফ্যাশনটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পায়। উৎপাদন বাড়ে, দাম তুলনামূলকভাবে কমে, এবং এটি মূলধারার ফ্যাশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। এই সময়েই ফ্যাশন তার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছায়।
৩. বিলুপ্তি (Decline/Obsolescence) – সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশনের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। নতুন স্টাইল আসার ফলে পুরনো ফ্যাশন ধীরে ধীরে অপ্রচলিত হয়ে বাজার থেকে হারিয়ে যায়।
এই চক্রের মাধ্যমে বোঝা যায়, ফ্যাশন একটি গতিশীল ও পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়া, যা সমাজ, সংস্কৃতি ও সময়ের প্রভাবের ওপর নির্ভর করে।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি স্বেচ্ছা সঞ্চয়?
Created: 41 minutes ago
A
পেনশন
B
প্রভিডেন্ড ফান্ড
C
জীবন বীমা
D
গ্র্যাচুইটি
স্বেচ্ছা সঞ্চয় হলো এমন একটি ব্যক্তিগত আর্থিক সিদ্ধান্ত, যেখানে ব্যক্তি নিজের ইচ্ছা ও সামর্থ্য অনুযায়ী ভবিষ্যতের নিরাপত্তা বা প্রয়োজন পূরণের জন্য অর্থ সঞ্চয় করেন। এই সঞ্চয় কোনো সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মে বাধ্যতামূলক নয়, বরং সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তির সচেতন পরিকল্পনার ফল।
-
জীবন বীমা (Life Insurance): এটি একটি স্বেচ্ছা সঞ্চয় পদ্ধতি, যেখানে ব্যক্তি নিজের ও পরিবারের ভবিষ্যৎ আর্থিক সুরক্ষার কথা ভেবে নিজ উদ্যোগে প্রিমিয়াম প্রদান করেন। এটি বাধ্যতামূলক নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এক মাধ্যম।
-
পেনশন (Pension): এটি সাধারণত সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বাধ্যতামূলক সঞ্চয় ব্যবস্থা, যা চাকরি শেষে অবসরকালীন ভাতা হিসেবে প্রদান করা হয়।
-
প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund - PF): এটি চাকরির শর্ত অনুযায়ী নিয়োগকর্তা ও কর্মচারী উভয়ের যৌথ অবদানে গঠিত, এবং চাকরির সময়ে এটি বাধ্যতামূলকভাবে কেটে রাখা হয়।
-
গ্র্যাচুইটি (Gratuity): এটি চাকরির নির্দিষ্ট মেয়াদ পূরণের পর নিয়োগকর্তার পক্ষ থেকে প্রদত্ত এককালীন অর্থ, যা কোনো সঞ্চয় নয় বরং একটি পুরস্কার বা সুবিধা হিসেবে বিবেচিত।
-
স্বেচ্ছা সঞ্চয় সাধারণত ব্যক্তির আত্মনিয়ন্ত্রণ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও আর্থিক সচেতনতার প্রতিফলন, যা ব্যক্তি ও পরিবারের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।

0
Updated: 41 minutes ago
কাজ সহজকরণে কোন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 day ago
A
ভারী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা
B
দেহের অবস্থান ও গতি ঠিক রাখা
C
দ্রুততার সাথে কাজ করা
D
কম দৈহিক শক্তি প্রয়োগ করা
কাজ সহজকরণ পদ্ধতি (Work Simplification System) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোনো কাজকে সহজ, দ্রুত এবং দক্ষ উপায়ে সম্পন্ন করা যায়। মার্কিন অধ্যাপক Lillian Moller Gilbreth–এর মতে, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কাজ করাই কাজ সহজকরণের মূল ভিত্তি। এর সংজ্ঞা অনুযায়ী—
Work Simplification হলো নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ও শক্তি ব্যবহার করে বেশি কাজ সম্পন্ন করা, অথবা একই কাজ সম্পন্ন করতে কম সময় ও শক্তি ব্যয় করা। এখানে মূল গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সময় ও শক্তি এই দুই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য Marvin E. Mundel পাঁচ প্রকার পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে প্রথমটি হলো দেহের অবস্থান ও গতির পরিবর্তন (Changes in body position and motions)। এর অধীনে কার্যকর কিছু নির্দেশনা হলো—
-
কাজের সময় দুই হাত ব্যবহার করা, যাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
-
কাজের ধারা এমনভাবে সাজানো উচিত যেন অতিরিক্ত শ্রম না পড়ে বা একাধিক কাজ একসাথে করা যায়।
-
সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রেখে কাজ করলে ক্লান্তি কমে এবং কাজের মান বাড়ে।
-
কাজের আগে ও চলাকালীন কাজের ধারা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি, যাতে সময় অপচয় না হয়।
-
ভারী কাজের পরপরই হালকা কাজ করা উচিত, যাতে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য বজায় থাকে।
এই নীতিগুলো মেনে চললে কাজ শুধু সহজ হয় না, বরং কর্মদক্ষতা ও উৎপাদনক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

0
Updated: 1 day ago