কাজ সহজকরণে কোন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়?
A
ভারী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা
B
দেহের অবস্থান ও গতি ঠিক রাখা
C
দ্রুততার সাথে কাজ করা
D
কম দৈহিক শক্তি প্রয়োগ করা
উত্তরের বিবরণ
কাজ সহজকরণ পদ্ধতি (Work Simplification System) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোনো কাজকে সহজ, দ্রুত এবং দক্ষ উপায়ে সম্পন্ন করা যায়। মার্কিন অধ্যাপক Lillian Moller Gilbreth–এর মতে, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কাজ করাই কাজ সহজকরণের মূল ভিত্তি। এর সংজ্ঞা অনুযায়ী—
Work Simplification হলো নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ও শক্তি ব্যবহার করে বেশি কাজ সম্পন্ন করা, অথবা একই কাজ সম্পন্ন করতে কম সময় ও শক্তি ব্যয় করা। এখানে মূল গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সময় ও শক্তি এই দুই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য Marvin E. Mundel পাঁচ প্রকার পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে প্রথমটি হলো দেহের অবস্থান ও গতির পরিবর্তন (Changes in body position and motions)। এর অধীনে কার্যকর কিছু নির্দেশনা হলো—
-
কাজের সময় দুই হাত ব্যবহার করা, যাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
-
কাজের ধারা এমনভাবে সাজানো উচিত যেন অতিরিক্ত শ্রম না পড়ে বা একাধিক কাজ একসাথে করা যায়।
-
সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রেখে কাজ করলে ক্লান্তি কমে এবং কাজের মান বাড়ে।
-
কাজের আগে ও চলাকালীন কাজের ধারা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি, যাতে সময় অপচয় না হয়।
-
ভারী কাজের পরপরই হালকা কাজ করা উচিত, যাতে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য বজায় থাকে।
এই নীতিগুলো মেনে চললে কাজ শুধু সহজ হয় না, বরং কর্মদক্ষতা ও উৎপাদনক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

0
Updated: 1 day ago
গৃহ ব্যবস্থাপনায় সংগঠন বলতে কি বোঝায়?
Created: 1 hour ago
A
কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন
B
কাজের সাফল্য ও ব্যর্থতা পরিমাপ
C
পারিবারিক মূলাবোধের সর্বোচ্চ ব্যবহার
D
গৃহে সবার মধ্যে কর্ম বন্টন ও সমন্বয় সাধন
গৃহ ব্যবস্থাপনায় সংগঠন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যার মাধ্যমে পরিকল্পনাকে বাস্তবে কার্যকর করার জন্য পরিবারে শ্রম, সম্পদ ও সময়কে সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যস্ত করা হয়। এটি পরিবারের দক্ষতা বৃদ্ধি ও লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।
১. কর্ম বণ্টন (Division of Work): পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের যোগ্যতা, আগ্রহ ও সময় অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়, যাতে সবাই নিজ নিজ দায়িত্বে কার্যকরভাবে অবদান রাখতে পারে।
২. দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব নির্ধারণ: কে কোন কাজ করবে এবং সেই কাজের জন্য কে দায়িত্ব নেবে তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়। এতে দায়িত্বজ্ঞান বাড়ে ও বিভ্রান্তি কমে।
৩. সমন্বয় সাধন (Coordination): পরিবারের সব সদস্যের কাজ যেন একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, সে জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়া জরুরি। সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিবারের সব প্রচেষ্টা একটি অভিন্ন লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।
৪. কার্যকর যোগাযোগ: সংগঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো স্পষ্ট ও ইতিবাচক যোগাযোগ, যা ভুল বোঝাবুঝি কমিয়ে পারিবারিক ঐক্য বজায় রাখে।
৫. সম্পদ ব্যবস্থাপনা: মানবশক্তি ছাড়াও সময়, অর্থ ও উপকরণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে একটি।
৬. ফলাফল মূল্যায়ন: নির্ধারিত কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনে পরিবর্তন আনার মাধ্যমেও সংগঠন কার্যকর রাখা যায়।

0
Updated: 1 hour ago
বসবাসের জন্য কোনমূখী গৃহ উত্তম?
Created: 41 minutes ago
A
উত্তর-দক্ষিণ
B
পূর্ব-পশ্চিম
C
দক্ষিণ-পূর্ব
D
উত্তর-পশ্চিম
দক্ষিণ-পূর্বমুখী গৃহকে সাধারণত বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে ধরা হয়, বিশেষত গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে। এই দিকের ঘরগুলো আলো, বাতাস ও তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে, যা বাসিন্দাদের আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রদান করে।
-
আলো ও তাপের নিয়ন্ত্রণ: পূর্ব-পশ্চিমমুখী ঘরে দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তীব্র আলো পড়ে, যা ঘরকে অতিরিক্ত গরম করে তোলে। দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে এই সমস্যা কম থাকে।
-
সকালের সূর্যালোক প্রবেশ: সূর্য দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে উদয় হয়, ফলে সকালে ঘরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো ও তাপ প্রবেশ করে। এতে ঘর শুকনো থাকে এবং জীবাণু ধ্বংসে সহায়তা করে।
-
দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস প্রবাহ: বাংলাদেশের জলবায়ু অনুযায়ী দক্ষিণ দিক থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত হয়, যা দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে সহজেই প্রবেশ করে ঘরকে ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখে।
-
দুপুরের প্রচণ্ড রোদ থেকে সুরক্ষা: পশ্চিম দিকের রোদ সবচেয়ে তীব্র, কিন্তু দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘর পশ্চিম রোদের সরাসরি প্রভাব থেকে আংশিক সুরক্ষা পায়, ফলে ঘরের ভেতর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে।
-
বাতাস ও আলোয় ভারসাম্য: সকালে পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং বিকেলে হালকা ছায়া ঘরে আলো-অন্ধকার ও তাপমাত্রার সুষম পরিবেশ সৃষ্টি করে।
-
স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক পরিবেশ: এই দিকের ঘরগুলোতে বাতাস চলাচল ভালো হয়, আর্দ্রতা কম থাকে এবং আলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্য উপযোগী।

0
Updated: 41 minutes ago
মাতৃগর্ভে শিশুর কোন অঙ্গের বিকাশ সবচেয়ে বেশি হয়?
Created: 41 minutes ago
A
হৃদপিন্ড
B
মস্তিক
C
যকৃত
D
ফুসফুস
মাতৃগর্ভে মস্তিষ্কের বিকাশ মানব শরীরের সবচেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলোর একটি। এটি শিশুর শারীরিক, মানসিক ও জ্ঞানীয় বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করে এবং জীবনের পরবর্তী সব আচরণ ও সক্ষমতার মূল নির্ধারক হিসেবে কাজ করে।
১. প্রারম্ভিক বিকাশ: নিষিক্তকরণের মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ শুরু হয়, যেখানে মস্তিষ্ক ও সুষুম্না কাণ্ডের গঠন ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ রূপ নিতে থাকে।
২. দ্রুত কোষ বিভাজন: গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে মস্তিষ্ক কোষ বা নিউরন অবিশ্বাস্য গতিতে বিভাজিত হয়। প্রতি মিনিটে লক্ষ লক্ষ নতুন কোষ তৈরি হয়ে স্নায়ু সংযোগ স্থাপন করে।
৩. সংযোগ স্থাপন ও স্নায়ু নেটওয়ার্ক: এই সময়ে নিউরনগুলোর মধ্যে জটিল সংযোগ তৈরি হয়, যা শিশুর ভবিষ্যৎ শেখার ক্ষমতা, স্মৃতি ও সংবেদনশীলতার ভিত্তি স্থাপন করে।
৪. কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে মস্তিষ্ক: মস্তিষ্ক দেহের সব অঙ্গের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে—হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্তসঞ্চালন, হরমোন নিঃসরণ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকাশ তার নির্দেশে পরিচালিত হয়।
৫. গর্ভাবস্থার পুষ্টি ও যত্নের গুরুত্ব: মস্তিষ্কের এই দ্রুত বিকাশ পর্যায়ে মাতৃপুষ্টি, অক্সিজেন সরবরাহ এবং মানসিক প্রশান্তি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কারণ এসব উপাদানই স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যকর গঠন ও কার্যকারিতাকে নিশ্চিত করে।
৬. ভবিষ্যৎ বিকাশের ভিত্তি: গর্ভকালীন মস্তিষ্কের বিকাশ শিশুর জন্মোত্তর চিন্তা, আবেগ, শেখা ও আচরণের সক্ষমতা নির্ধারণ করে, যা সুস্থ জীবনযাপনের মূল চাবিকাঠি।

0
Updated: 41 minutes ago