কাপড়ের শুষ্ক ধৌতকরণ পদ্ধতিতে কোন নিয়মটি পালন করতে হবে?
A
কাছাকাছি আগুন না রাখা
B
আবন্ধ স্থানে ধৌত করা
C
অধিক পানি ব্যবহার করা
D
রোদ্রের উপস্থিতিতে ধৌত করা
উত্তরের বিবরণ
শুষ্ক ধৌতকরণ একটি বিশেষ ধরণের পরিস্কার পদ্ধতি, যেখানে পানির পরিবর্তে জৈব দ্রাবক (organic solvent) ব্যবহার করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় কাপড়ের গঠন অক্ষুণ্ণ রেখে ময়লা ও তেলজাত দাগ কার্যকরভাবে দূর করা যায়, তবে এতে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বিদ্যমান।
১. শুষ্ক ধৌতকরণে সাধারণত পারক্লোরোইথিলিন (Perchloroethylene) বা অনুরূপ জৈব দ্রাবক ব্যবহৃত হয়, যা কাপড়ের আঁশে পানি শোষণের ঝুঁকি কমায়।
২. এই দ্রাবকগুলো অত্যন্ত দাহ্য (Highly Flammable), ফলে অল্প তাপ বা স্পার্ক পেলেও সহজেই আগুন ধরে যেতে পারে।
৩. দ্রাবকের বাষ্প বিস্ফোরণযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে পারে, তাই শুষ্ক ধৌতকরণ কক্ষে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক।
৪. নিরাপত্তার জন্য কাজের স্থানের আশেপাশে আগুন, ধূমপান, বৈদ্যুতিক স্পার্ক বা উচ্চ তাপের উৎস রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৫. শ্রমিকদের প্রতিরক্ষামূলক পোশাক, গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করা উচিত, যাতে দ্রাবকের সংস্পর্শে শ্বাসযন্ত্র বা ত্বকের ক্ষতি না হয়।
৬. ব্যবহৃত দ্রাবক পুনঃব্যবহারের আগে বিশুদ্ধকরণ (Distillation) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিল্টার করা প্রয়োজন, যাতে পরিবেশ দূষণ কমে এবং দ্রাবকের কার্যকারিতা বজায় থাকে।
এইভাবে শুষ্ক ধৌতকরণ পদ্ধতি কার্যকর হলেও সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুসরণ না করলে তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

0
Updated: 22 hours ago
কোনটি নবজাতকের আদি প্রতিবর্তী ক্রিয়া?
Created: 22 hours ago
A
ঠোঁট স্পর্শ করা মাত্র হা করা
B
মুখের কাজে জিনিস নিলেই চুষতে চাওয়া
C
চোখের পাতা খোলা ও বন্ধ করা
D
পায়ে স্পর্শ করলে আঙুল সম্প্রসারণ করে
আদি প্রতিবর্তী ক্রিয়া (Primitive Reflex) হলো এমন কিছু স্বতঃস্ফূর্ত শারীরিক প্রতিক্রিয়া, যা নবজাতকের জন্মের পরপরই দেখা যায় এবং শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশের সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যখন শিশু দৈহিক ও স্নায়বিক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অর্জন করে, তখন এই প্রতিক্রিয়াগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
-
এই প্রতিক্রিয়াগুলো মস্তিষ্কের নিম্নস্তরের স্নায়ুকেন্দ্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
এগুলো শিশুর বেঁচে থাকা, সুরক্ষা এবং প্রাথমিক মোটর বিকাশে সহায়তা করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, পায়ের আঙুল সম্প্রসারণ বা ব্যাবিনস্কি প্রতিবর্তী ক্রিয়া (Babinski Reflex)—যখন নবজাতকের পায়ের গোড়ালিতে বা তলায় আলতোভাবে স্পর্শ করা হয়, তখন পায়ের আঙুলগুলো প্রসারিত হয়ে যায়।
-
এই প্রতিক্রিয়া সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে বিলুপ্ত হয়, যা শিশুর স্নায়ুতন্ত্র পরিপক্বতার ইঙ্গিত দেয়।
-
যদি এই ক্রিয়া অতিরিক্ত সময় ধরে থাকে, তবে তা স্নায়বিক সমস্যা বা মস্তিষ্কের বিকাশজনিত বিলম্বের লক্ষণ হতে পারে।

0
Updated: 22 hours ago
রেশম তন্তুকে পোড়ালে কী ধরনের গন্ধ পাওয়া যায়?
Created: 4 minutes ago
A
চুল পোড়া
B
কাপড় পোড়া
C
রাসায়নিক গন্ধ
D
মাংস পোড়া
রেশম একটি প্রাকৃতিক তন্তু যা বিশেষ ধরনের লার্ভা বা সিল্ক ওর্ম দ্বারা তৈরি হয়। এটি প্রোটিনজাত পদার্থ ফিব্রিন দিয়ে গঠিত, যা গঠনে মানুষের চুলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
-
রেশম উৎপাদনকারী প্রাণী হলো প্রধানত প্রজাপতি বা কাঁকড়ি প্রজাতির লার্ভা।
-
রেশমের প্রধান উপাদান ফিব্রিন, যা একটি প্রোটিন এবং এর গঠন চুলের মতো তন্তুযুক্ত।
-
রেশম পোড়ালে প্রোটিন দাহ হয়ে চুল পোড়ার মতো গন্ধ সৃষ্টি করে, যা বেকিংয়ের গন্ধের সঙ্গেও তুলনীয়।
-
এই গন্ধের কারণ হলো প্রোটিন দহন প্রক্রিয়ায় অ্যামাইন যৌগের ভাঙন, যা একই ধরনের গন্ধ তৈরি করে।
-
রেশম পোড়ানোর সময় তন্তুটি কালচে ছাই রেখে যায় এবং সহজে ভস্মে পরিণত হয় না।

0
Updated: 4 minutes ago
কোন পদ্ধতিকে বন্ত্র রং করলে সব ক্ষেত্রেই সৃজনশীল নকশা পাওয়া যায়?
Created: 22 hours ago
A
স্ক্রিন
B
টাই
C
ব্লক
D
রোলার
বিভিন্ন প্রিন্টিং পদ্ধতির মাধ্যমে কাপড়ে নকশা তৈরির কৌশল ভিন্ন হয়। প্রতিটি পদ্ধতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকলেও, সৃজনশীলতার পরিমাণ সব ক্ষেত্রে সমান নয়। নিচে প্রতিটি পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য ও সৃজনশীলতার মাত্রা তুলে ধরা হলো।
১. স্ফিন (Screen Printing) – নির্দিষ্ট ছাঁচ বা স্ক্রিনের মাধ্যমে আগে থেকে তৈরি নকশা কাপড়ে ছাপানো হয়। প্রতিবার একই স্ক্রিন ব্যবহৃত হওয়ায় নকশা একরূপ থাকে এবং নতুন সৃষ্টির সুযোগ কম।
২. টাই অ্যান্ড ডাই (Tie and Dye) – কাপড়ের অংশবিশেষ বেঁধে রং দেওয়ায় প্রতিবার রঙের ছড়ানো ভিন্নভাবে ঘটে। ফলে প্রতিবার নতুন ও অভিনব নকশা সৃষ্টি হয়, যা এই পদ্ধতিকে অত্যন্ত সৃজনশীল করে তোলে।
৩. ব্লক প্রিন্টিং (Block Printing) – কাঠ বা ধাতুর ব্লক দিয়ে নকশা ছাপানো হয়। একই ব্লক ব্যবহারে নকশা পুনরাবৃত্তি হয়, তাই এতে সৃজনশীলতা সীমিত থাকে।
৪. রোলার প্রিন্টিং (Roller Printing) – বৃহৎ যন্ত্র বা রোলারের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে একই নকশা ব্যাপকভাবে ছাপানো হয়। এটি মূলত শিল্পোৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত, ফলে নকশায় বৈচিত্র্য বা নতুনত্বের সুযোগ কম।
এই তুলনায় দেখা যায়, টাই অ্যান্ড ডাই পদ্ধতিই একমাত্র এমন প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতিবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে নতুন নকশা সৃষ্টি হয়।

0
Updated: 22 hours ago