সাধারণ সম্পূরক ফিডিং প্রোগাম কোনটি?
A
রেশনিং এর মাধ্যমে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ
B
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর পুষ্টি পুনর্বাসন
C
স্কুল লাঞ্চ প্রোগ্রাম
D
শ্রমের বিনিময়ে খাদ্য
উত্তরের বিবরণ
সাধারণ সম্পূরক ফিডিং (General Supplementary Feeding) হলো এমন একটি পুষ্টি সহায়তা কর্মসূচি, যার মূল উদ্দেশ্য সাধারণ জনগোষ্ঠী, বিশেষত শিশুদের মধ্যে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করা এবং তাদের স্বাস্থ্য ও বিকাশে সহায়তা করা। এটি কোনো নির্দিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বা কর্মনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য নয়, বরং সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।
-
এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ বা বিদ্যালয়গামী শিশুরা অতিরিক্ত খাদ্য বা পুষ্টিসমৃদ্ধ আহার পায়।
-
স্কুল লাঞ্চ প্রোগ্রাম বা মিড-ডে মিল প্রোগ্রাম হলো এর অন্যতম উদাহরণ, যা বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের পুষ্টি ও উপস্থিতি বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
-
এই ধরণের কর্মসূচি নিরাপদ, সুষম ও সহজলভ্য খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে অপুষ্টি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
-
এতে দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শিক্ষাগত ও শারীরিক বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
-
যেহেতু এটি বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী বা শ্রম বিনিময়ভিত্তিক নয়, তাই এটি সাধারণ সম্পূরক ফিডিং প্রোগ্রাম হিসেবে শ্রেণিভুক্ত।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি শিল্পকলার নীতি?
Created: 1 hour ago
A
বিন্দু
B
ছন্দ
C
রং
D
রেখা
শিল্পকলার নীতি বা নকশার নীতি (Principles of Design) হলো এমন কিছু মৌলিক নির্দেশনা, যা শিল্পকর্মে ব্যবহৃত উপাদানগুলোর বিন্যাস, ভারসাম্য ও সৌন্দর্য নির্ধারণ করে। এগুলোর মাধ্যমে একটি শিল্পকর্মে শৃঙ্খলা, সামঞ্জস্য ও দৃষ্টিনন্দনতা সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, শিল্পকলার উপাদান (Elements of Art) হলো সেই মৌলিক উপকরণ, যেগুলোর মাধ্যমে শিল্পকর্ম গঠিত হয়।
-
শিল্পকলার নীতি:
-
ছন্দ (Rhythm): শিল্পকর্মে পুনরাবৃত্তি ও গতির অনুভূতি সৃষ্টি করে।
-
ভারসাম্য (Balance): উপাদানগুলির ওজন ও অবস্থান সুষমভাবে বণ্টন করা হয়, যাতে স্থিতি বজায় থাকে।
-
ঐক্য (Unity): সব উপাদান পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থেকে একসঙ্গে সম্পূর্ণ রূপ দেয়।
-
জোর (Emphasis): কোনো নির্দিষ্ট অংশকে গুরুত্ব দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
-
সাদৃশ্য (Harmony): রং, রেখা ও আকৃতির মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে মনোমুগ্ধকর প্রভাব সৃষ্টি করা হয়।
-
বৈসাদৃশ্য (Contrast): ভিন্ন উপাদানের পার্থক্যের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ ও বৈচিত্র্য সৃষ্টি করা হয়।
-
-
শিল্পকলার উপাদান:
-
বিন্দু (Point): শিল্পের ক্ষুদ্রতম একক, যা থেকে রেখা ও আকৃতি গঠিত হয়।
-
রেখা (Line): দিক, গতি ও সীমারেখা প্রকাশ করে।
-
আকৃতি (Shape): রেখা দ্বারা বেষ্টিত এলাকা বা গঠন।
-
রং (Color): দৃশ্যমান সৌন্দর্য ও অনুভূতির প্রকাশ ঘটায়।
-
মান (Value): রঙের উজ্জ্বলতা বা গাঢ়তার মাত্রা, যা গভীরতা তৈরি করে।
-
বুনট (Texture): বস্তুটির স্পর্শগত বা দৃষ্টিগত গঠন।
-
পরিসর (Space): শিল্পকর্মে ফাঁকা বা পূর্ণ স্থান, যা গভীরতা ও ভারসাম্য তৈরি করে।
-
এই নীতি ও উপাদান একসঙ্গে কাজ করে একটি শিল্পকর্মকে সুষম, অর্থবহ ও দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।

0
Updated: 1 hour ago
কোনটি নবজাতকের আদি প্রতিবর্তী ক্রিয়া?
Created: 1 day ago
A
ঠোঁট স্পর্শ করা মাত্র হা করা
B
মুখের কাজে জিনিস নিলেই চুষতে চাওয়া
C
চোখের পাতা খোলা ও বন্ধ করা
D
পায়ে স্পর্শ করলে আঙুল সম্প্রসারণ করে
আদি প্রতিবর্তী ক্রিয়া (Primitive Reflex) হলো এমন কিছু স্বতঃস্ফূর্ত শারীরিক প্রতিক্রিয়া, যা নবজাতকের জন্মের পরপরই দেখা যায় এবং শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশের সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যখন শিশু দৈহিক ও স্নায়বিক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অর্জন করে, তখন এই প্রতিক্রিয়াগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
-
এই প্রতিক্রিয়াগুলো মস্তিষ্কের নিম্নস্তরের স্নায়ুকেন্দ্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
এগুলো শিশুর বেঁচে থাকা, সুরক্ষা এবং প্রাথমিক মোটর বিকাশে সহায়তা করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, পায়ের আঙুল সম্প্রসারণ বা ব্যাবিনস্কি প্রতিবর্তী ক্রিয়া (Babinski Reflex)—যখন নবজাতকের পায়ের গোড়ালিতে বা তলায় আলতোভাবে স্পর্শ করা হয়, তখন পায়ের আঙুলগুলো প্রসারিত হয়ে যায়।
-
এই প্রতিক্রিয়া সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে বিলুপ্ত হয়, যা শিশুর স্নায়ুতন্ত্র পরিপক্বতার ইঙ্গিত দেয়।
-
যদি এই ক্রিয়া অতিরিক্ত সময় ধরে থাকে, তবে তা স্নায়বিক সমস্যা বা মস্তিষ্কের বিকাশজনিত বিলম্বের লক্ষণ হতে পারে।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ পরীক্ষা দ্বারা অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ চিহ্ন শনাক্ত করা হয়?
Created: 1 hour ago
A
এনথ্রোপোমেট্রি
B
ডাক্তারী পরীক্ষা
C
প্ৰাণ রাসায়নিক
D
প্রাণ ক্ষমতা পরিসংখ্যান
ডাক্তারী পরীক্ষা বা চিকিৎসাগত পরীক্ষা হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যার মাধ্যমে সরাসরি অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ ও চিহ্ন শনাক্ত করা যায়। এটি প্রশিক্ষিত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা সম্পন্ন হয়, যেখানে রোগীর দেহের বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণ করে নির্দিষ্ট পুষ্টির ঘাটতি নির্ণয় করা হয়।
-
পরীক্ষার ধরণ: এই পরীক্ষায় চিকিৎসক রোগীর চুল, ত্বক, চোখ, মুখ, মাড়ি ও নখ পর্যবেক্ষণ করেন।
-
চুল: সহজে উঠে যাওয়া বা রঙ পরিবর্তন প্রোটিনের অভাব নির্দেশ করে।
-
ত্বক: শুষ্ক, আঁশযুক্ত বা ফাটা ত্বক ভিটামিন এ বা বি কমপ্লেক্সের ঘাটতি বোঝায়।
-
চোখ: রাতকানা বা কনজাংটিভার শুষ্কতা ভিটামিন এ-এর অভাবের লক্ষণ।
-
অ্যানিমিয়া: চোখ ও নখের নিচের অংশ ফ্যাকাশে হওয়া লোহিত রক্তকণিকার অভাব বা লোহের ঘাটতির কারণে হয়।
-
ইডিমা (Edema): পা ফুলে যাওয়া মারাত্মক প্রোটিনের অভাবজনিত, যা কোয়াশিয়রকর রোগের ইঙ্গিত দেয়।
-
এনথ্রোপোমেট্রি (Anthropometry): এতে ওজন, উচ্চতা ও বাহুর পরিধি পরিমাপ করা হয়, যা খর্বতা ও কৃশতা নির্ধারণে সহায়ক, তবে এটি শারীরিক চিহ্ন শনাক্ত করে না।
-
প্রাণ রাসায়নিক (Biochemical) পরীক্ষা: রক্ত, প্রস্রাব বা টিস্যুর নমুনা বিশ্লেষণ করে পুষ্টি উপাদানের স্তর যেমন হিমোগ্লোবিন বা ভিটামিন ডি-এর মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
-
প্রাণ ক্ষমতা পরিসংখ্যান (Vital Statistics): এতে জন্মহার, মৃত্যুহার ও অসুস্থতার হার সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়, যা জনসংখ্যার পুষ্টিগত চিত্র বোঝাতে সাহায্য করে, যদিও এটি ব্যক্তিগত পুষ্টি অবস্থা সরাসরি নির্ধারণ করে না।
-
ডাক্তারী পরীক্ষা হলো অপুষ্টি নির্ণয়ের প্রাথমিক ও দ্রুততম পদ্ধতি, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষার পূর্বাভাস হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 1 hour ago