ফুড গাইড পিরামিডের কার্বোহাইড্রেট সবার নীচে থাকে কেন?
A
দেহ গঠনে তেমন ভূমিকা রাখে না
B
পরিমানগত চাহিদা বেশী
C
দামে সবচাইতে সন্তা
D
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই
উত্তরের বিবরণ
খাদ্য পিরামিড এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি স্পষ্টভাবে দেখায় কোন খাদ্য উপাদান দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। পিরামিডের গঠন অনুযায়ী নিচের স্তর সবচেয়ে প্রশস্ত, যা অধিক প্রয়োজনীয় খাদ্য নির্দেশ করে, আর উপরের স্তর অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় উপাদানকে নির্দেশ করে।
-
পিরামিডের ভিত্তি (Base) সবচেয়ে চওড়া অংশ, যেখানে থাকে শস্যজাতীয় খাদ্য যেমন ভাত, রুটি, পাউরুটি, আলু, ভুট্টা ইত্যাদি। এগুলো দৈনন্দিন খাদ্যের প্রধান অংশ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।
-
এই স্তরের খাদ্যগুলোতে প্রচুর শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা দেহের প্রধান শক্তির উৎস (Primary source of energy) হিসেবে কাজ করে।
-
কার্বোহাইড্রেট দেহকে দৈনন্দিন কাজ, শারীরিক পরিশ্রম ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে শক্তি প্রদান করে।
-
পিরামিডের উপরের স্তরগুলোতে থাকে কম পরিমাণে প্রয়োজনীয় উপাদান, যেমন প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন ও খনিজ, যেগুলো শক্তি ছাড়াও শরীরের বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে।
-
খাদ্য পিরামিডের এই বিন্যাস আমাদের শেখায় সুষম খাদ্যের অনুপাত, অর্থাৎ কোন খাদ্য বেশি ও কোন খাদ্য কম খাওয়া উচিত তা বোঝার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রদান করে।
-
এর মাধ্যমে বোঝা যায়, যেসব খাদ্যের চাহিদা শরীরে বেশি, তারা পিরামিডের নিচের স্তরে থাকে, আর যেগুলোর প্রয়োজন কম, তারা উপরের দিকে অবস্থান করে।

0
Updated: 1 day ago
মোম প্রয়োগ করে কাপড়ে রং লাগানোকে কি বলে?
Created: 1 day ago
A
টাই ডাই
B
ব্লক
C
বাটিক
D
স্ক্রিন
কাপড়ে মোম প্রয়োগ করে রং করার পদ্ধতিকে বাটিক (Batik) বলা হয়, যা একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পরীতি। এতে মোম ব্যবহারের মাধ্যমে কাপড়ে নকশা তৈরি করে রং প্রতিরোধ করা হয়, ফলে নকশার অংশটি রঙিন না হয়ে আলাদা ভাবে ফুটে ওঠে।
-
বাটিক প্রক্রিয়ায় প্রথমে কাপড়ের নির্দিষ্ট অংশে গলিত মোম দিয়ে নকশা আঁকা হয়।
-
মোমটি রং প্রতিরোধক (Resist Agent) হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ মোম দেওয়া স্থানে রং লাগে না।
-
এরপর কাপড়টি রঙের দ্রবণে ডুবিয়ে রঞ্জিত করা হয়।
-
রং শুকিয়ে গেলে মোম তুলে ফেললে কাপড়ের সেই অংশটি সাদা বা আসল রঙে থেকে যায়, যা নকশাকে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ করে।
-
এই প্রক্রিয়ায় তৈরি বস্ত্রের নকশাগুলো সাধারণত অতি সূক্ষ্ম ও বহুস্তর রঙিন হয়, যা শিল্পগুণে ভরপুর।
-
বাটিক শিল্পের উদ্ভব ইন্দোনেশিয়ায় হলেও এটি পরবর্তীতে ভারত, বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশেও জনপ্রিয়তা লাভ করে।
-
অনুরূপ অন্যান্য পদ্ধতি হলো—
-
টাই-ডাই (Tie-Dye): কাপড়ের নির্দিষ্ট অংশ দড়ি বা সুতা দিয়ে বেঁধে রেখে রং করা হয়, ফলে বেঁধে রাখা অংশে রং লাগে না।
-
ব্লক প্রিন্টিং (Block Printing): কাঠ বা ধাতুর ছাঁচ (Block) ব্যবহার করে কাপড়ে রং ছাপানো হয়।
-
স্ক্রিন প্রিন্টিং (Screen Printing): একটি সূক্ষ্ম জাল (Screen) এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট নকশা অনুসারে কাপড়ে রং ছড়ানো হয়।
-

0
Updated: 1 day ago
একজন রি-অ্যাকটিভ তরুণের মধ্যে কোন বৈশিষ্ট্যটি দেখা যায়?
Created: 1 hour ago
A
ধৈর্যশীল
B
আবেগ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা
C
হঠাৎ রেগে যাওয়া
D
অসামাজিক আচরণ
রি-অ্যাকটিভ তরুণ এমন ব্যক্তি, যিনি বাইরের পরিস্থিতি বা ঘটনার প্রতি দ্রুত আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা সাধারণত চিন্তা-ভাবনা না করে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়, যার ফলে তাদের আচরণ প্রায়ই অস্থির ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে ওঠে।
১. পরিস্থিতিনির্ভর প্রতিক্রিয়া: রি-অ্যাকটিভ তরুণ নিজের চিন্তা বা যুক্তির চেয়ে বাইরের ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হয়; অর্থাৎ পরিস্থিতিই তাদের আচরণ নির্ধারণ করে।
২. আবেগপ্রবণতা: তারা হঠাৎ রেগে যায় বা মনোভাব পরিবর্তন করে ফেলে। তাদের সিদ্ধান্ত ও আচরণ আবেগের বশে ঘটে, ফলে তারা পরবর্তীতে অনুতপ্ত হতে পারে।
৩. আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব: তারা আবেগ ও রাগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বল, যার ফলে সম্পর্ক ও সামাজিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
৪. তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া: চিন্তা বা বিশ্লেষণের সময় না নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো তাদের স্বভাবের অংশ।
৫. ব্যক্তিত্বগত প্রভাব: এই ধরনের আচরণ আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, মানসিক চাপ, বা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
৬. সামাজিক ও মানসিক ফলাফল: রি-অ্যাকটিভ আচরণের ফলে ব্যক্তি প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝি, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং মানসিক অস্থিরতার শিকার হয়।

0
Updated: 1 hour ago
কোন্ পরীক্ষা দ্বারা অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ চিহ্ন শনাক্ত করা হয়?
Created: 1 hour ago
A
এনথ্রোপোমেট্রি
B
ডাক্তারী পরীক্ষা
C
প্ৰাণ রাসায়নিক
D
প্রাণ ক্ষমতা পরিসংখ্যান
ডাক্তারী পরীক্ষা বা চিকিৎসাগত পরীক্ষা হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যার মাধ্যমে সরাসরি অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ ও চিহ্ন শনাক্ত করা যায়। এটি প্রশিক্ষিত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা সম্পন্ন হয়, যেখানে রোগীর দেহের বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণ করে নির্দিষ্ট পুষ্টির ঘাটতি নির্ণয় করা হয়।
-
পরীক্ষার ধরণ: এই পরীক্ষায় চিকিৎসক রোগীর চুল, ত্বক, চোখ, মুখ, মাড়ি ও নখ পর্যবেক্ষণ করেন।
-
চুল: সহজে উঠে যাওয়া বা রঙ পরিবর্তন প্রোটিনের অভাব নির্দেশ করে।
-
ত্বক: শুষ্ক, আঁশযুক্ত বা ফাটা ত্বক ভিটামিন এ বা বি কমপ্লেক্সের ঘাটতি বোঝায়।
-
চোখ: রাতকানা বা কনজাংটিভার শুষ্কতা ভিটামিন এ-এর অভাবের লক্ষণ।
-
অ্যানিমিয়া: চোখ ও নখের নিচের অংশ ফ্যাকাশে হওয়া লোহিত রক্তকণিকার অভাব বা লোহের ঘাটতির কারণে হয়।
-
ইডিমা (Edema): পা ফুলে যাওয়া মারাত্মক প্রোটিনের অভাবজনিত, যা কোয়াশিয়রকর রোগের ইঙ্গিত দেয়।
-
এনথ্রোপোমেট্রি (Anthropometry): এতে ওজন, উচ্চতা ও বাহুর পরিধি পরিমাপ করা হয়, যা খর্বতা ও কৃশতা নির্ধারণে সহায়ক, তবে এটি শারীরিক চিহ্ন শনাক্ত করে না।
-
প্রাণ রাসায়নিক (Biochemical) পরীক্ষা: রক্ত, প্রস্রাব বা টিস্যুর নমুনা বিশ্লেষণ করে পুষ্টি উপাদানের স্তর যেমন হিমোগ্লোবিন বা ভিটামিন ডি-এর মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
-
প্রাণ ক্ষমতা পরিসংখ্যান (Vital Statistics): এতে জন্মহার, মৃত্যুহার ও অসুস্থতার হার সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়, যা জনসংখ্যার পুষ্টিগত চিত্র বোঝাতে সাহায্য করে, যদিও এটি ব্যক্তিগত পুষ্টি অবস্থা সরাসরি নির্ধারণ করে না।
-
ডাক্তারী পরীক্ষা হলো অপুষ্টি নির্ণয়ের প্রাথমিক ও দ্রুততম পদ্ধতি, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষার পূর্বাভাস হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 1 hour ago